চাঁদাবাজ ধরে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিলেন জবি শিক্ষার্থীরা

জবি সংবাদদাতা 
প্রকাশ : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ২২: ৫১
আপডেট : ০৭ আগস্ট ২০২৪, ২৩: ১৭

পুরান ঢাকার লালকুঠি ঘাটসংলগ্ন এলাকায় চাঁদাবাজি করা অবস্থায় এক ব্যক্তিকে হাতেনাতে আটক এবং তাঁকে ছাড়াতে আসা যুবদল পরিচয়দানকারী আরেক ব্যক্তিকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। 

আজ বুধবার সন্ধ্যার দিকে এ দুজনকে সেনাবাহিনীর হাতে তুলে দেন তাঁরা। এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় লালকুঠি ঘাটে চাঁদাবাজেরা সদরঘাট এলাকায় ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করা সাতজন ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করে। 

পরে খবর পেয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সদরঘাটে গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে আটক করে ক্যাম্পাসে তুলে নিয়ে আসেন। পরে ক্যাম্পাসের মূল ফটকের সঙ্গে তাঁকে কিছুক্ষণ বেঁধে রাখেন শিক্ষার্থীরা। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীদের সূত্রে জানা যায়, সদরঘাট এলাকায় ওই ব্যক্তিসহ আরও কয়েকজন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজি করছিলেন। ওই এলাকায় শরবত বিক্রি করা একজন সদরঘাটে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব পালন করা ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের খবর দেন। পরে শিক্ষার্থীরা এগিয়ে গেলে তাঁদের ওপর হামলা করে কয়েকজন শিক্ষার্থীকে আটকে রাখে চাঁদাবাজেরা। 

পরে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে একজন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে শিক্ষার্থীদের জানালে শিক্ষার্থীরা চাঁদাবাজদের একজনকে তুলে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসেন। পরবর্তী সময় চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসেন আরেক ব্যক্তি। তিনি নিজেকে যুবদল নেতা বলে পরিচয় দেন। তারপর তাঁদের উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা জানান, ছাড়াতে আসা ব্যক্তির নাম হাসান। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরে। তিনি নিজেকে চাঁদপুর শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক পরিচয় দিয়েছেন। তবে আটক অপর ব্যক্তির নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থী তানভীর আহমেদ ইমন বলেন, ‘আমরা কয়েকজন শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্ব পালন করেছিলাম। চাঁদাবাজি করতে দেখলে, আমরা প্রতিবাদ করি। আমাদের তারা ঘিরে ধরে। আমাদের গালি দেয়। পরে দ্রুত আমি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে এসে ভাইদের চাঁদাবাজির ঘটনাটি বলি। তাঁরা সদরঘাট গিয়ে একজন চাঁদাবাজকে ধরেন।’ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক সোহান প্রামাণিক বলেন, ‘আমাদের সমন্বয়কদের সিদ্ধান্তক্রমে কিছু শিক্ষার্থী সদরঘাটে স্বেচ্ছাসেবীর কাজ করছিল। তাদের আটকে রেখেছিল কিছু চাঁদাবাজ। জানতে পেরে আমরা তাকে নিয়ে উদ্ধার করি। সঙ্গে একজন চাঁদাবাজকে ধরে ক্যাম্পাসে নিয়ে আসি। চাঁদাবাজকে ছাড়াতে আসে আরেক ব্যক্তি। জিজ্ঞাসাবাদে সে চাঁদাবাজের পরিচিত বলে দাবি করে। পরে আবার অস্বীকার করে। পরে উভয়কে সেনাবাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আবু সাঈদকে ৪–৫ ঘণ্টা পরে হাসপাতালে নেওয়া হয়—শেখ হাসিনার দাবির সত্যতা কতটুকু

মেট্রোরেল থেকে আমলাদের বিদায়, অগ্রাধিকার প্রকৌশলীদের

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

বিমানবন্দরে সাংবাদিক নূরুল কবীরকে হয়রানির তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ৩৫ কলেজের শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত