Ajker Patrika

দেশে উৎপাদন হবে চীনের টিকাও

নিজস্ব প্রতিবেদক
দেশে উৎপাদন হবে চীনের টিকাও

ঢাকা: রাশিয়ার স্পুটনিক ভি–এর পর চীনের সিনোফোর্মের টিকাও দেশে উৎপাদনের নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। কয়েকটি ওষুধ কোম্পানির মাধ্যমে এ টিকা উৎপাদনে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক সম্পর্কিত মন্ত্রিসভার কমিটি। তবে এবার তৃতীয় কোনো পক্ষ নয়, উৎপাদিত টিকা সরাসরি বিতরণ করবে সরকার।

চীনের সিনোফোর্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। আজ বুধবার প্রতিষ্ঠানটির একাধিক কর্মকর্তা বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে আজ অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ভার্চুয়াল বৈঠকে চীন ও রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়।

সম্প্রতি উপহার হিসেবে পাঁচ লাখ টিকা দেওয়ার প্রস্তাব দেয় চীন। প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে দেশেই সেই টিকা উৎপাদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। যদিও চীনের টিকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কর্তৃক অনুমোদিত নয়। তবে চীনের দেওয়া বিভিন্ন নথি পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ঔষধ প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। অবশ্য কবে নাগাদ উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হবে সেটি এখনো স্পষ্ট নয়।

এর আগে রাশিয়ার তৈরি স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী মে মাসেই প্রথম দফায় ৪০ লাখ টিকা আসবে। এরপর ফর্মুলা গোপনের শর্ত মেনে রাশিয়ার টিকা উৎপাদন করবে বাংলাদেশ। এমনকি এ টিকা রপ্তানিও করা যাবে।

আজ বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে দেশে চীন ও রাশিয়ার টিকা উৎপাদনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যেসব কোম্পানির সঙ্গে ওই দুটি দেশের চুক্তি হবে তারা টিকা উৎপাদন শুরু করবে। তবে আমাদের পক্ষ থেকে আজকের বৈঠকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, আপাতত নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে যখন চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ওষুধ কোম্পানির চূড়ান্ত চুক্তি হবে তখন অর্থ ছাড়ের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হবে।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল রাশিয়ার সঙ্গে যৌথভাবে করোনার টিকা উৎপাদনের জন্য চুক্তি সই করে বাংলাদেশ। তবে পাশাপাশি দেশটি থেকে টিকা আমদানিও করবে সরকার।

ভারত টিকা রপ্তানি স্থগিত করায় চুক্তি অনুযায়ী সরবরাহ করতে পারছে না সেরাম ইনস্টিটিউট। এর পরিপ্রেক্ষিতেই চীন ও রাশিয়া থেকে টিকা আনার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। তিন কোটি টিকা কিনতে গত বছরের নভেম্বরে সেরামের সঙ্গে ত্রিপক্ষীয় চুক্তি করে বাংলাদেশ। টিকা পেতে অগ্রিম অর্থও পরিশোধ করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত দুই দফায় ৭০ লাখ টিকা পেয়েছে সরকার। অথচ প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে মে মাসের মধ্যে দেড় কোটি টিকা পাওয়ার কথা ছিল।

ভারত সরকারের উপহারের ৩৩ লাখসহ মোট টিকা পৌঁছেছে ১ কোটি ৩ লাখ। এরই মধ্যেই প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ মিলে প্রায় ৮৪ লাখ ডোজ দেওয়া শেষ করেছে বাংলাদেশ। টিকা পাওয়ার অনিশ্চয়তায় বন্ধ করা হয়েছে প্রথম ডোজের টিকাদান। সবমিলে এখন পর্যন্ত ঘাটতি রয়েছে ১৫ লাখ ডোজের বেশি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত হয়নি, নাহিদের মন্তব্যের জবাবে উমামা

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

আ.লীগ নেতার গ্রেপ্তার নিয়ে রাজশাহীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ

খামেনিকে চিঠি দিয়ে যে প্রস্তাব দিলেন ট্রাম্প

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারী বাধ্যতামূলক ছুটিতে, মামলা এখন আদালতের এখতিয়ারে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত