জাবি প্রতিনিধি
শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যকে নিজ কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে একটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কার্যালয়ের ফটক আটকে রাখেন তাঁরা।
পরে বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক নিয়োগের জন্য পূর্বনির্ধারিত নিয়োগ বোর্ড ছিল। তবে এর আগেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে প্রার্থীদের বের করে দিয়ে গেট আটকে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রার্থী জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের জোরপূর্বক বলেন আজকে বোর্ড হবে না। তাঁদের চলে যেতে বলেন। পরে দুপুর ১২টায় উপাচার্যের নির্দেশনায় তাঁর একান্ত সচিব গৌতম কুমার বিশ্বাস গিয়ে অনিবার্য কারণে বোর্ড স্থগিতের বিষয়টি জানান। এ ছাড়া বোর্ড কবে বসানো হবে, তা পরবর্তী সময় জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক আশরাফুল গোলদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাই না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অনেকবার জানিয়েছি। উপাচার্য স্যার আজকে অপারগ হয়ে জানিয়েছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোকদের চান, কিন্তু অনেকের চাপে তা সম্ভব হয় না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী লোকদের শিক্ষক হিসেবে চাই না।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাখা ছাত্রলীগ কোনো শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বাধা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচির সঙ্গে ওই বিভাগের নিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিন পাপড়িকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বোর্ড বসানোর আগেই শাখা সভাপতির নেতৃত্বে একাধিকবার উপাচার্য ও সাবেক উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে পদটি ফাঁকা রাখে। এ কারণে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমকে অবরুদ্ধ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রার্থীদের বের করে দেয়। ফলে বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত থাকার পরও নিয়োগ বোর্ড বসানো যায়নি। তারা স্বাধীনতাবিরোধী কাউকে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, আমার হাত দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী কারও নিয়োগ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।’
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইনস্টিটিউটে শিক্ষক নিয়োগ খুবই জরুরি। একটি শূন্য পদের বিপরীতে ২৩ জন ক্যান্ডিডেট ছিল। তবে বোর্ড স্থগিত হওয়া খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
শিক্ষক নিয়োগকে কেন্দ্র করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্যকে নিজ কার্যালয়ে প্রায় তিন ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। এতে একটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষক নিয়োগ বোর্ড স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ রোববার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় উপাচার্যের দপ্তরের সামনে অবস্থান নেন শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় কার্যালয়ের ফটক আটকে রাখেন তাঁরা।
পরে বেলা ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য নেতা-কর্মীদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠকে বসেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলম। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোস্তফা ফিরোজ, ট্রেজারার অধ্যাপক রাশেদা আখতার ও প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
রেজিস্ট্রার অফিস সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএস ইনস্টিটিউটের একজন শিক্ষক নিয়োগের জন্য পূর্বনির্ধারিত নিয়োগ বোর্ড ছিল। তবে এর আগেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপাচার্যের দপ্তরে গিয়ে প্রার্থীদের বের করে দিয়ে গেট আটকে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ প্রার্থী জানান, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের জোরপূর্বক বলেন আজকে বোর্ড হবে না। তাঁদের চলে যেতে বলেন। পরে দুপুর ১২টায় উপাচার্যের নির্দেশনায় তাঁর একান্ত সচিব গৌতম কুমার বিশ্বাস গিয়ে অনিবার্য কারণে বোর্ড স্থগিতের বিষয়টি জানান। এ ছাড়া বোর্ড কবে বসানো হবে, তা পরবর্তী সময় জানানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
শাখা ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক আশরাফুল গোলদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর আদর্শের বাইরে কাউকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাই না। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অনেকবার জানিয়েছি। উপাচার্য স্যার আজকে অপারগ হয়ে জানিয়েছেন, তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোকদের চান, কিন্তু অনেকের চাপে তা সম্ভব হয় না। আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পরিপন্থী লোকদের শিক্ষক হিসেবে চাই না।’
তবে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শাখা ছাত্রলীগ কোনো শিক্ষক নিয়োগ বোর্ডে বাধা দেয়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে স্বাধীনতাবিরোধী ও জামায়াত-বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। এ কর্মসূচির সঙ্গে ওই বিভাগের নিয়োগের কোনো সম্পর্ক নেই।’
এ বিষয়ে কয়েকজন সিনিয়র ছাত্রলীগ নেতা আজকের পত্রিকাকে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রভাষক পদে শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সাদিয়া আফরিন পাপড়িকে নিয়োগ দেওয়ার জন্য বোর্ড বসানোর আগেই শাখা সভাপতির নেতৃত্বে একাধিকবার উপাচার্য ও সাবেক উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাঁকে নিয়োগ না দিয়ে পদটি ফাঁকা রাখে। এ কারণে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নির্দেশে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমকে অবরুদ্ধ করেছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রার্থীদের বের করে দেয়। ফলে বোর্ডের সদস্যরা উপস্থিত থাকার পরও নিয়োগ বোর্ড বসানো যায়নি। তারা স্বাধীনতাবিরোধী কাউকে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দাবি জানিয়েছে। তাদের আশ্বস্ত করেছি, আমার হাত দিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী কারও নিয়োগ এই বিশ্ববিদ্যালয়ে হবে না।’
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেনসিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের ইনস্টিটিউটে শিক্ষক নিয়োগ খুবই জরুরি। একটি শূন্য পদের বিপরীতে ২৩ জন ক্যান্ডিডেট ছিল। তবে বোর্ড স্থগিত হওয়া খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।’
বগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৬ মিনিট আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
১৯ মিনিট আগেনেত্রকোনার কেন্দুয়ায় দুই সাংবাদিককে জিম্মি করে বেধড়ক মারধরের পর মুক্তিপণ আদায় করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে গাজীপুরে এই ঘটনা ঘটে। পরে সেখানে সড়কের পাশে তাঁদের ফেলে রেখে যায়।
২৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১ ঘণ্টা আগে