হরিরামপুরে থামছেই না পদ্মার ভাঙন, ২০০ বসতভিটা নদীগর্ভে বিলীন

হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৩: ৩৭
আপডেট : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪: ২৯

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের চরাঞ্চলের লেছড়াগঞ্জ, আজিমনগর ও সুতালড়ি ইউনিয়নে পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে দুই শতাধিক বসতভিটা। ফসলি জমি, বসতভিটা হারিয়ে অনেকে এখন নিঃস্ব। নদীভাঙন ঠেকাতে সরকারের সাহায্য চায় ভাঙনকবলিত এলাকার মানুষ। 

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়নের হরিহরদিয়া, গঙ্গাধরদী, সেলিমপুর ও পাটগ্রামে শত শত বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। এ ছাড়া হরিহরদিয়া ও গঙ্গাধরদী গ্রামের দুই শতাধিক পরিবারের বসতভিটা পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। হরিহরদিয়া এলাকার নটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গঙ্গাধরদী এলাকায় পাঠানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ তিনটি ইউনিয়নের শত শত বিঘা ফসলি জমি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। 

পদ্মাপাড়ে কথা হয় গঙ্গাধরদী গ্রামের ফজর আলীর সঙ্গে। তিনি বলেন, গত বছর সেলিমপুরে ৩০০-৪০০ বাড়ি পদ্মায় ভেঙে গেছে। এ বছর তাঁদের বাড়ি ভেঙেছে। ২২ বছর ধরে গঙ্গাধরদী গ্রামের এই বাড়িতে ছিলেন। পদ্মার মাঝে চর জেগে উঠছে, তাই পানির স্রোত এসে পদ্মার পাড়ে আঘাত দিচ্ছে। এতেই ভাঙছে পাড়। 

লেছড়াগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য গঙ্গাধরদী গ্রামের বাসিন্দা নান্নু প্রামাণিক বলেন, দুই শতাধিক বাড়িঘর এবার পদ্মায় ভেঙেছে। তার নিজের বাড়িসহ ২০০ থেকে ৩০০ বিঘা ফসলি জমিও পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। 

এদিকে পদ্মা ভাঙন রোধ ও স্থায়ী বেড়িবাঁধের দাবিতে গঙ্গাধরদী পদ্মাপাড়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে চরাঞ্চলের মানুষ, বারসিক ও সবুজ সংহতি হরিরামপুরের আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গঙ্গাধরদী, হরিহরদিয়া এলাকার দুই শতাধিক বাড়িঘর, সেলিমপুর ও পাটগ্রামের শত শত একর ফসলি জমি, আজিমনগর ও সুতালড়ি এলাকায়ও শত শত বিঘা ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। ফসলি জমি ও বাড়ি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলের বাসিন্দারা। 

এ বছর হরিহরদিয়া এলাকার নটাখোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও গঙ্গাধরদী এলাকায় পাঠানকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। মানববন্ধনে লেছড়াগঞ্জ ইউপির চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন, সাবেক চেয়ারম্যান আলমাছ মাতব্বর, নটাখোলা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, গোলাম মহীউদ্দীন উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহমান, ৩ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য নান্নু প্রামাণিকসহ চার শতাধিক চরাঞ্চলের বাসিন্দা উপস্থিত ছিলেন। 

মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষসহ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত