গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় হ‌ুমায়ূন আহমেদকে স্মরণ

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৯ জুলাই ২০২৩, ১৬: ৩৯

জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হ‌ুমায়ূন আহমেদের একাদশ মৃত্যুবার্ষিকী আজ (১৯ জুলাই)। নিজের গড়ে তোলা নন্দন-কানন নুহাশপল্লী, যেখানে তিনি চিরশায়িত, সেখানে আজ নানা আয়োজনে স্বজন ও শুভানুধ্যায়ীরা লেখককে স্মরণ করেছেন।

প্রতিবারের মতো এবারও সকাল থেকে হ‌ুমায়ূন পরিবার, তাঁর ভক্ত, কবি, লেখক, নাট্যজনেরা ফুল হাতে শ্রদ্ধা জানাতে ভিড় করেন নুহাশপল্লীর লিচুতলায়। নন্দিত লেখকের প্রিয় চরিত্র হলুদ পাঞ্জাবিতে হিমু এবং নীল শাড়িতে রুপা সেজে আসেন ভক্ত ও পাঠকেরা। এ সময় তাঁরা লেখকের প্রতি অতল শ্রদ্ধা ও ভালোবাসার কথা জানান।

সকালে হ‌ুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন দুই ছেলে নিষাদ ও নিনিতকে নিয়ে হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবর জিয়ারত, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিনা পারভীনসহ হ‌ুমায়ূন আহমেদের শুভানুধ্যায়ী ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন। এ ছাড়া আয়োজন করা হয় কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের। মোনাজাত পরিচালনা করেন নুহাশপল্লী মসজিদের ইমাম হাফেজ মুজিবুর রহমান।

এ সময় হ‌ুমায়ূন-ভক্ত হিমেল বলেন, ‘আমাদের প্রিয় স্যার তাঁর নির্মল ও জীবনঘনিষ্ঠ লেখনী দিয়ে পাঠকসমাজকে আনন্দ দিয়েছেন। বাংলা ভাষা যত দিন থাকবে, হ‌ুমায়ূন আহমেদ তত দিন পাঠক হৃদয়ে সমাসীন থাকবেন।’

কলেজ শিক্ষার্থী ফারজানা হক বলেন, কথাশিল্পী হ‌ুমায়ূন আহমেদ তাঁর সৃষ্টিশীল কর্মের মাধ্যমে এ দেশের সকল ভক্ত ও অনুরাগীর হৃদয়ে চিরকাল বেঁচে থাকবেন।

হ‌ুমায়ূন আহমেদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। ছবি: আজকের পত্রিকাকবর জিয়ারত শেষে মেহের আফরোজ শাওন হ‌ুমায়ূনের স্বপ্ন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করেন। হ‌ুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন বলেন, ছোট দুই সন্তান অকালে পিতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ব্যাপারটি আমাকে ভীষণ কষ্টতাড়িত করে। হ‌ুমায়ূন আহমেদ কত বড়মাপের একজন লেখক, পরিচালক ও গীতিকার ছিলেন, কত বড়মাপের সৃষ্টিশীল সত্তা ছিলেন, তাঁর শূন্যতা তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন অনুধাবন করা যায়।’

এ সময় মেহের আফরোজ শাওন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে হ‌ুমায়ূন পরিবারের অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন নাটক ও সিনেমা প্রদর্শন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলে তা বন্ধের দাবি জানান।

নুহাশপল্লীর ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম বুলবুল বলেন, নুহাশপল্লীতে প্রবেশ করতে প্রাপ্তবয়স্কদের গুনতে হয় ২০০ টাকা। তবে লেখকের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রবেশ ফ্রি করে দেওয়া হয়েছে। প্রতিবছরের মতো এবারও লেখকের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে সকালে পরিবারের সদস্য, প্রকাশক ও ভক্তদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। এরপর দুপুরে দুই শ এতিমকে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

জনপ্রিয় এ লেখক ১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বর নেত্রকোনা জেলার কেন্দুয়া উপজেলার কুতুবপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা ফয়েজুর রহমান ও মা আয়েশা ফয়েজ। ২০১২ সালে ১৯ জুলাই মরণব্যাধি ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে তিনি নিউইয়র্কের একটি হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর তাঁকে গাজীপুর সদর উপজেলার পিরুজালী গ্রামে নিজ হাতে গড়া স্বপ্নের নুহাশপল্লীতে সমাহিত করা হয়।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণের ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত