গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
গোপালগঞ্জে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ মোহাম্মদ রুবেল এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী পাঁচটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ২৩ জনের কথা তুলে ধরেন। তাঁদের মধ্যে গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন সরদার ও তাঁর বাবা প্রয়াত আবুল হাসেম সরদারের নামও উল্লেখ করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। জামালপুরের নুর রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্যও করেন রিজভী। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে ও পরদিন যুগান্তরের প্রথম ও ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় আওয়ামী লীগে ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী আছে শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে সিআইডি রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আজ বুধবার মামলায় রুহুল কবির রিজভীর আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও গোপালগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২০১৮ সালে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া পাঁচটি বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে আমি ও আমার বাবা আবুল হাসেম সরদারকে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী বলে আখ্যায়িত করেন। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ও আমার বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ আলম সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজির হতে পারেননি, এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তিনি আদালতে হাজির হওয়ার তারিখের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। এ ধরনের মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়েছে। বাস্তবে এ ধরনের মামলা হয়রানি ছাড়া আর কিছু না। রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা হওয়া খুব আশ্চর্যজনক।
আলম সেলিম আরও বলেন, যে বিষয় নিয়ে মামলাটি করা হয়েছে সেটি আইনত চলে না। মামলায় বলা হয়েছে, রুহুল কবির রিজভীর কথায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। কারও সম্মানহানি যদি হয়, তাহলে আইনের বিধান মোতাবেক তাঁকেই মামলা করতে হয়। অথবা তাঁর অনুমতি নিয়ে মামলা করতে হয়। যিনি মামলাটি করেছেন, তিনি নিজে ব্যক্তি না এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই মানহানির মামলাটি করেছেন।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গত ১৮ এপ্রিল রুহুল কবির রিজভী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ৯ মে মামলাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। ২২ জুন এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ রিজভীর জামিন আবেদন বাতিল করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ রুবেল তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
গোপালগঞ্জে দায়ের হওয়া মানহানি মামলায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বুধবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শেখ মোহাম্মদ রুবেল এ পরোয়ানা জারি করেন।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী পাঁচটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা ও মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ২৩ জনের কথা তুলে ধরেন। তাঁদের মধ্যে গোপালগঞ্জের আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন সরদার ও তাঁর বাবা প্রয়াত আবুল হাসেম সরদারের নামও উল্লেখ করেন।
মামলার বিবরণে বলা হয়, সংবাদ সম্মেলনে রিজভী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করেন। জামালপুরের নুর রাজাকারের গাড়িতে প্রথম পতাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী এমন মন্তব্যও করেন রিজভী। দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য সংবাদ সম্মেলনে পাঠ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি ২০১৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর দৈনিক যুগান্তরের অনলাইনে ও পরদিন যুগান্তরের প্রথম ও ১৪ নম্বর পৃষ্ঠায় আওয়ামী লীগে ২৩ জন যুদ্ধাপরাধী আছে শিরোনামে প্রকাশিত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি দেলোয়ার হোসেন সরদার বাদী হয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং দৈনিক যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও প্রকাশক সালমা ইসলামকে আসামি করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন।
তদন্ত শেষে সিআইডি রুহুল কবির রিজভীকে অভিযুক্ত করে এবং দৈনিক যুগান্তরের প্রকাশক সালমা ইসলাম ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। আজ বুধবার মামলায় রুহুল কবির রিজভীর আদালতে হাজির হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তিনি হাজির না হওয়ায় বিচারক তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
এ বিষয়ে মামলার বাদী ও গোপালগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন সরদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ২০১৮ সালে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া পাঁচটি বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে আমি ও আমার বাবা আবুল হাসেম সরদারকে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতা, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী বলে আখ্যায়িত করেন। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ও আমার বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী। তা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মানহানি মামলা করি। আমি এর সঠিক বিচার চাই।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী এম এ আলম সেলিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজির হতে পারেননি, এ জন্য তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। তবে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, তিনি আদালতে হাজির হওয়ার তারিখের বিষয়ে অবগত ছিলেন না। এ ধরনের মামলা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে হয়েছে। বাস্তবে এ ধরনের মামলা হয়রানি ছাড়া আর কিছু না। রুহুল কবির রিজভীর মতো নেতাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের মামলা হওয়া খুব আশ্চর্যজনক।
আলম সেলিম আরও বলেন, যে বিষয় নিয়ে মামলাটি করা হয়েছে সেটি আইনত চলে না। মামলায় বলা হয়েছে, রুহুল কবির রিজভীর কথায় প্রধানমন্ত্রীর সম্মানহানি হয়েছে। কারও সম্মানহানি যদি হয়, তাহলে আইনের বিধান মোতাবেক তাঁকেই মামলা করতে হয়। অথবা তাঁর অনুমতি নিয়ে মামলা করতে হয়। যিনি মামলাটি করেছেন, তিনি নিজে ব্যক্তি না এবং প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি না নিয়েই মানহানির মামলাটি করেছেন।
উল্লেখ্য, এ মামলায় গত ১৮ এপ্রিল রুহুল কবির রিজভী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ৯ মে মামলাটি সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়। ২২ জুন এ মামলার অভিযোগ গঠনের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময় চেয়ে আসছিলেন। সর্বশেষ রিজভীর জামিন আবেদন বাতিল করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শেখ মোহাম্মদ রুবেল তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৩৮ মিনিট আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
২ ঘণ্টা আগেবগুড়া সদরের নুনগোলা ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি আবু ছালেককে হত্যায় মামলায় গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বগুড়া সদরের ঘোড়াধাপ বন্দর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২ ঘণ্টা আগেবিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, রাষ্ট্র ও সংবিধান সংস্কারের বিষয়ে ছাত্ররা কথা বলছেন, তবে এটি একটি কমিটির মাধ্যমে সম্ভব নয়। এর জন্য সাংবিধানিক বা সংসদের প্রতিনিধি প্রয়োজন। পাশাপাশি, সবার আগে প্রয়োজন সুষ্ঠু নির্বাচন।
২ ঘণ্টা আগে