Ajker Patrika

আ.লীগ এমন দল, বাপের খুনিকেও প্রয়োজনে মাথায় তুলে নেয়: বঙ্গবীর

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ জানুয়ারি ২০২৩, ১৮: ৪৪
আ.লীগ এমন দল, বাপের খুনিকেও প্রয়োজনে মাথায় তুলে নেয়: বঙ্গবীর

আওয়ামী লীগ এমন একটি দল যে তার বাবার খুনিকেও প্রয়োজনে মাথায় তুলে নেয়। একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল নিয়াজি যদি বেঁচে থাকতেন এবং তাঁকে আওয়ামী লীগে আনা হলে তাঁরও অনুগত হতো দলটির লোকেরা!

আজ শুক্রবার টাঙ্গাইলে এক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের নেতা বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম।

দুপুর ১২টার দিকে সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজ মাঠে টাঙ্গাইল-৮ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য কৃষিবিদ শওকত মোমেন শাহজাহানের নবম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘যদি জেনারেল নিয়াজি বেঁচে থাকতেন, তাঁকেও যদি আওয়ামী লীগে আনা হতো, তাহলেও আওয়ামী লীগের লোকেরা তাঁর অনুগত হতো। আওয়ামী লীগ এমন একটি দল, বাপকে খুন করলেও প্রয়োজন হলে তাঁকে মাথায় তুলে নেয়।’ 

সাবেক ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীকে উদ্দেশ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘গতকালও বড় একজন নেতা আমাকে বলেছেন—ভাই, মতিয়া চৌধুরীকে নিয়ে আর কিছু বইলেন না। আমি তাঁকে বলেছি, মৃত্যু পর্যন্ত বলব। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও এই মহিলার বিষয়ে বলেছি। আমার বাবাকে কেউ গালি দেবে, আর আমি তাঁকে ছেড়ে কথা বলব? মৃত্যু পর্যন্ত বলতেই থাকব।’

আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খান ও হাসানুল হক ইনুর নাম উল্লেখ করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এদের আওয়ামী লীগে আনায় কী লাভ হয়েছে? আপনারা লাভ মনে করতে পারেন, আমি করি না। ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষের ঘাড়ের রগ একটু বাঁকা থাকে, আমারটা একটু বেশি বাঁকা।’ 

বিএনপির প্রসঙ্গ তুলে বঙ্গবীর কাদের বলেন, ‘বিএনপির মিটিংয়ে বাধা না দিলে অর্ধেক লোকজন হতো। তাদের ৩ ঘণ্টার মিটিং ৩০ থেকে ৫০ ঘণ্টা দীর্ঘ হতো না। ৮ থেকে ১০টা মিটিং করতে গিয়ে—কে কোথায় বসবে এ নিয়ে তারা নিজেরাই মারামারি করত।’

মুক্তিযুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বীর উত্তম কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু একটি বক্তৃতা করেছিলেন, যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে শত্রুর মোকাবিলা করো। আমার কাছে মনে হয়েছিল, তিনি আমাকে লক্ষ্য করেই বক্তৃতাটি করেছেন। আমার কাছে যা ছিল তাই নিয়েই মোকাবিলা করেছিলাম।’

এ আলোচনা সভায় সখীপুর আবাসিক মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এস এম জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার হায়দার কামাল, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হানিফ আজাদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন খোকা, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত শিকদার, সাধারণ সম্পাদক ও প্রয়াত শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে অনুপম শাহজাহান জয়, সাবেক সভাপতি কুতুব উদ্দিন আহমেদ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার এম ও গণিসহ উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মী ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত