নরসিংদীর রায়পুরায় পিকআপ-ট্রেন সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। তাঁরা সবাই পিকআপের যাত্রী ছিলেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার আমিরগঞ্জ ইউনিয়নের হাসনাবাদ বাজার রেলক্রসিংয়ে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা উপজেলার কালিহর মাইজপাড়া এলাকার চাঁন মিয়ার ছেলে সুজাত মিয়া (২৫), একই এলাকার ইব্রাহীম খানের ছেলে আনিস খান (২৪) ও আব্দুর রশিদের ছেলে শাহীন মিয়া (২৩)।

রেলওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হাসনাবাদ বাজার রোড থেকে রায়পুরা নরসিংদী মহাসড়কে আসার পথে একটি পিকআপ ভ্যান অরক্ষিত হাসনাবাদ রেলক্রসিং পার হচ্ছিল। এ সময় ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ৫১৭ ট্রেনটি পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ভেতরে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন। এতে আহত হয় আরও তিনজন। আহত তিনজনকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নরসিংদীর সদর হাসপাতালের নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান।

খবর পেয়ে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ি পুলিশ তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। নিহতদের সঙ্গে থাকা জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইলের সূত্র ধরে তাঁদের পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় বাসিন্দা জানান, এই অরক্ষিত রেলক্রসিংটিতে প্রায়ই বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। গত মাসেও একটি বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে দ্রুত গেটম্যানসহ লেভেল ক্রসিং দেওয়া হোক। না হলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতেই থাকবে।

মো. সাদ্দাম হোসাইন নামে স্থানীয় একজন বলেন, পিকআপে ড্রাইভারসহ মোট ৬ জন ছিল। দুজন ঘটনাস্থলেই মারা গেছে। এই রেল ক্রসিংটিতে কোনো গেটম্যান থাকে না।

আমিরগঞ্জ রেলস্টেশনের স্টেশন মাস্টার মো ইমন খান জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ৫১৭ ট্রেনটি সাড়ে বারটায় ২৫৯ নম্বর লাইনে থাকা পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ভেতরে থাকা দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

এ বিষয়ে নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক ইমায়েদুল জাহেদী বলেন, ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।