Ajker Patrika

কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ঘিওরের কিষানিরা

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০: ৩০
কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন ঘিওরের কিষানিরা

কেঁচো সার তৈরি করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কিষানিরা। সংসারে এনেছেন সচ্ছলতা। গ্রামীণ নারীদের অর্থনৈতিক কাজের পরিধি ও আয় বৃদ্ধির পাশাপাশি ক্রমেই চাষিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে এই ভার্মি কম্পোস্ট সারের ব্যবহার। 

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার জাবরা, সাইংজুরী, কাউটিয়া, নালী, গোয়ালডাঙ্গী, তরা, আশাপুর, বড়টিয়া, সিংজুরীসহপাড়া, বিভিন্ন গ্রামে কেঁচো সার উৎপাদন করছেন কমপক্ষে অর্ধশতাধিক নারী। স্বল্প পুঁজি ও কম পরিশ্রমে কেঁচো সার উৎপাদন করে পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা এনেছেন তাঁরা। 

উপজেলা কৃষি বিভাগ বলছে, জৈব সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে দিতে কাজ করছেন তাঁরা। এতে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপাশি বাড়বে ফসলের মান ও উৎপাদন। 

উপজেলার বানিয়াজুরী ইউনিয়নের জাবরা গ্রামের রহিমা বেগম (৫২) বাড়ির উঠানের একপাশে ১৬টি বড় রিং বসিয়েছেন কেঁচো পালনের জন্য। প্রতি মাসে এই রিং থেকে ৮০০ থেকে ১ হাজার কেজি জৈব সার উৎপাদিত হচ্ছে। খরচ বাদে মাসিক আয় থাকছে ১০ হাজার টাকার বেশি। রহিমার পরিবেশবান্ধব এই সার চলে যাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। তাঁর দেখাদেখি ওই গ্রামের বেশ কয়েকজন গৃহবধূ এ কাজ শুরু করেছেন। 

রামেশ্বরপট্টি গ্রামের কিষানি হোসনেয়ারা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রাকৃতিক কৃষি কেন্দ্র প্রথম কেঁচো সার উৎপাদনের পরামর্শ দেয়। রিংয়ের মধ্যে গোবর আর কেঁচো দিয়ে সার তৈরি করি। প্রতি কেজি সার বিক্রি হয় ১২ থেকে ১৫ টাকা। মাসে ৬ হাজার টাকার টাকার ওপরে আয় হয়।’ 

জাবরা গ্রামে রহিমা বেগমের বাড়িতে দেখা যায়, একটি টিনের নিচে রিং বসিয়ে তিনি কেঁচো সার উৎপাদন করছেন। তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালে তরা গ্রামের কৃষক এমদাদুলের ভার্মি কম্পোস্ট সার উৎপাদন দেখে অনুপ্রাণিত হই। তারপর কেঁচো সংগ্রহ করে অল্প পরিসরে পাঁচটা পাত্রে সার তৈরি করি। এখন আমার রিংয়ের সংখ্যা ১৬টি। মাসে আয় করছি ১০-১২ হাজার টাকা।’ 

তরা গ্রামের কেঁচো সার উৎপাদনকারী গৃহবধূ রোজিনা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রথমে অনেকে কেঁচো পালন বিষয়টি ভালোভাবে নিতেন না। এখন কদর বাড়ছে। প্রতি কেজি সার ১৫ টাকা, কেঁচো ৬০০ টাকায় বিক্রি করি। আমাদের সংসার ভালোই চলছে। ভবিষ্যতে বেশি পরিমাণ কেঁচো সার উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে।’ 

বারসিকের কৃষি উন্নয়ন কর্মকর্তা সুবীর কুমার সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ অঞ্চলে ভার্মি কম্পোস্টকে কেন্দ্র করে উদ্যোক্তা তৈরি হচ্ছে। জৈব সারের যতই ব্যবহার বাড়বে, ততই ক্ষতিকর রাসায়নিক সারের ব্যবহার কমে আসবে, ততই এলাকার প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষা পাবে।’ 

কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার কিষানিরা। ছবি: আজকের পত্রিকাজৈব সার ব্যবহারকারী কৃষক দেলোয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাসায়নিক সারের তুলনায় জৈব সারে ফসল উৎপাদন ভালো হয়। সেই সঙ্গে সাশ্রয়ীও। শুধু এই সার ব্যবহারে চলতি বছর সবজির স্বাস্থ্যসম্মত অধিক ফলন পেয়েছি।’ 
 
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা চিত্রা সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কেঁচো সার উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা। চাষিদের সবজিখেতে ও ফলের বাগানে ভার্মি কম্পোস্ট সার প্রয়োগ করার পরামর্শ দিচ্ছি। তাঁদের এ ধরনের উদ্যোগে যাবতীয় প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

প্রবাসীর স্ত্রীর বঁটির কোপে ভাশুর নিহত

ফরিদপুর প্রতিনিধি
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাসপাতালে শোকার্ত স্বজনেরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত টুকু মোল্লা গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।

অভিযুক্ত নারী হলেন সীমা বেগম। তিনি গুনপালদী গ্ৰামের তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী। সম্পর্কে নিহত টুকু সীমা বেগমের ভাশুর হন।

নিহত টুকুর চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে টুকু বাড়িতে আসে। আজ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় টুকু তার (সীমার) ঘরে গিয়ে হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে সীমা হাতে থাকা বঁটি দিয়ে টুকুকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় টুকুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।’

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সীমা বেগমকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মোটরসাইকেলের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

শরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।

শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা
হাতিয়ায় এনসিপি নেতা হান্নান মাসউদকে হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।

আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।

বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।

উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।

বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।

প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির জানাজা ঘিরে যান চলাচল নিয়ে ডিএমপির নির্দেশনা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ২৮
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত
শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হবে আগামীকাল জোহর নামাজের পর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সংগৃহীত

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।

আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

বিকল্প সড়কসমূহ

১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।

২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।

৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।

৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।

৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।

৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র‍্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র‍্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।

নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাশিয়াকে এস-৪০০ আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা ফেরত নিতে বলছে তুরস্ক, কিন্তু কেন

প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ

তাহলে কি বাংলাদেশ-ভারত ফাইনাল

গণমাধ্যমে হামলা ও ময়মনসিংহে নৃশংসতায় জড়িতদের ছাড় দেওয়া হবে না, সরকারের বিবৃতি

‘কোম্পানির লোকেরাই আমার ভাইকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে’

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত