নরসিংদী প্রতিনিধি
নরসিংদীর মাধবদীতে মাদ্রাসার শৌচাগার থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যা দাবি করে মানববন্ধন করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা। মাইশা আক্তারের (১০) হত্যার পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তাঁরা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার আহ্বান জানালে তারা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
আজ সোমবার দুপুরে মাধবদী থানার শেখেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে মহাসড়কের দু-পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে মাইশার পরিবার, এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীসহ কয়েকশত লোক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাইশার পরিবার প্রথম থেকেই বলে আসছে, এটা আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা। ১০ বছরের একটি শিশু প্রায় ৭ ফুট উঁচুতে ওড়না ও গামছা জোড়া দিয়ে কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। দেড় মাস আগে এই মাদ্রাসার আরেকটি শৌচাগার থেকে আরেকটি ১৬ বছরের ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। পরপর এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় ধারণা করা যাচ্ছে, মাদ্রাসাটির ভেতরে অবশ্যই কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশকে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ জানান তারা। আর তা যদি না করা হয় তবে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। তাদের দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাইশাকে হত্যা করে পুলিশ ও পরিবারকে না জানিয়ে মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এখন আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিশু মাইশার স্বজন মো. শাহাদাত হোসেন, মো. আলম মিয়া, মো. রোমান মিয়া, মো. বেলায়েত মেম্বার, মো. আল আমিন প্রধান। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেয় মাধবদী ব্লাড ডোনার ক্লাব, সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক), বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, মাইশার শ্রেণিকক্ষ তৃতীয় তলায় হলেও তাকে পাওয়া যায় চতুর্থ তলার শৌচাগারে। তৃতীয় তলার শৌচাগারে না গিয়ে চতুর্থ তলায় সে কেন গিয়েছিল? মাইশার মরদেহ শৌচাগারে ঝুলে থাকলেও তার পা ফ্লোরের কাছেই পড়ে ছিল। গলায় প্যাঁচানো ওড়না ও রডে বাঁধা থাকা গামছাটিও তাঁর নিজের নয়। অন্যদিকে মাইশা কপালের দুই দিকে আঘাত পেল কীভাবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলেই বোঝা যাবে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় ছাত্রী মাইশার বাবা নেছার উদ্দিন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত যেসব ব্যক্তিদের নাম পুলিশি তদন্তে আসবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে শেখেরচরের কুড়েরপাড় এলাকার জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার শৌচাগার থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাইশা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১০ বছর বয়সী মাইশা মাধবদী ভগীরথপুর গ্রামের মো. নেছারউদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনার দিন সকালে বাবা নেছারউদ্দিন ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দুপুরে খাওয়ার জন্য মাইশার হাতে ঘরে রান্না করা খাবার দিয়ে আসেন। দুপুরে পরিবারটির সবাই পলাশের ঘোড়াশালের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। সেখানে থাকা অবস্থাতেই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নেছারউদ্দিনের মোবাইলে মাদ্রাসার এক হুজুরের কল আসে। মোবাইলে মাইশার অসুস্থতার কথা জানিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আসতে বলেন। তিনিসহ পরিবারটির কয়েকজন সদস্য ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে মাইশাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার কপালসহ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে তাকে জানানো হয়, মাইশা মাদ্রাসাটির শৌচাগারের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নরসিংদীর মাধবদীতে মাদ্রাসার শৌচাগার থেকে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে হত্যা দাবি করে মানববন্ধন করেছেন পরিবার ও স্থানীয়রা। মাইশা আক্তারের (১০) হত্যার পেছনে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন তাঁরা। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মহাসড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করার আহ্বান জানালে তারা মহাসড়ক থেকে সরে যান।
আজ সোমবার দুপুরে মাধবদী থানার শেখেরচর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন স্থানে মহাসড়কের দু-পাশে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই মানববন্ধনে মাইশার পরিবার, এলাকাবাসী ও সামাজিক সংগঠনের কর্মীসহ কয়েকশত লোক অংশ নেন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাইশার পরিবার প্রথম থেকেই বলে আসছে, এটা আত্মহত্যা নয় পরিকল্পিত হত্যা। ১০ বছরের একটি শিশু প্রায় ৭ ফুট উঁচুতে ওড়না ও গামছা জোড়া দিয়ে কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারে না। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে এখন আত্মহত্যা বলা হচ্ছে। দেড় মাস আগে এই মাদ্রাসার আরেকটি শৌচাগার থেকে আরেকটি ১৬ বছরের ছাত্রীর মরদেহ পাওয়া গিয়েছিল। পরপর এমন ঘটনা ঘটতে থাকায় ধারণা করা যাচ্ছে, মাদ্রাসাটির ভেতরে অবশ্যই কোনো রহস্য লুকিয়ে আছে। মাদ্রাসাটি বন্ধ ঘোষণা করে পুলিশকে রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনার অনুরোধ জানান তারা। আর তা যদি না করা হয় তবে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে। তাদের দাবি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ মাইশাকে হত্যা করে পুলিশ ও পরিবারকে না জানিয়ে মরদেহ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে এখন আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন শিশু মাইশার স্বজন মো. শাহাদাত হোসেন, মো. আলম মিয়া, মো. রোমান মিয়া, মো. বেলায়েত মেম্বার, মো. আল আমিন প্রধান। এ সময় ব্যানার-ফেস্টুন হাতে মানববন্ধনে অংশ নেয় মাধবদী ব্লাড ডোনার ক্লাব, সচেতন নাগরিক সমাজ (সনাক), বাংলাদেশ বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডসহ স্থানীয় বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
স্থানীয়দের প্রশ্ন, মাইশার শ্রেণিকক্ষ তৃতীয় তলায় হলেও তাকে পাওয়া যায় চতুর্থ তলার শৌচাগারে। তৃতীয় তলার শৌচাগারে না গিয়ে চতুর্থ তলায় সে কেন গিয়েছিল? মাইশার মরদেহ শৌচাগারে ঝুলে থাকলেও তার পা ফ্লোরের কাছেই পড়ে ছিল। গলায় প্যাঁচানো ওড়না ও রডে বাঁধা থাকা গামছাটিও তাঁর নিজের নয়। অন্যদিকে মাইশা কপালের দুই দিকে আঘাত পেল কীভাবে? এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেলেই বোঝা যাবে, এটি হত্যাকাণ্ড নাকি আত্মহত্যা।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুজ্জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় ছাত্রী মাইশার বাবা নেছার উদ্দিন থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেছেন। এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জড়িত যেসব ব্যক্তিদের নাম পুলিশি তদন্তে আসবে তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বিকেলে সাড়ে ৪টার দিকে শেখেরচরের কুড়েরপাড় এলাকার জামিয়া কওমিয়া মহিলা মাদ্রাসার শৌচাগার থেকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় মাইশা আক্তারকে উদ্ধার করা হয়। পরে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ১০ বছর বয়সী মাইশা মাধবদী ভগীরথপুর গ্রামের মো. নেছারউদ্দিনের মেয়ে।
ঘটনার দিন সকালে বাবা নেছারউদ্দিন ওই মাদ্রাসায় গিয়ে দুপুরে খাওয়ার জন্য মাইশার হাতে ঘরে রান্না করা খাবার দিয়ে আসেন। দুপুরে পরিবারটির সবাই পলাশের ঘোড়াশালের এক আত্মীয়ের বাড়িতে দাওয়াত খেতে যান। সেখানে থাকা অবস্থাতেই বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে নেছারউদ্দিনের মোবাইলে মাদ্রাসার এক হুজুরের কল আসে। মোবাইলে মাইশার অসুস্থতার কথা জানিয়ে নরসিংদী সদর হাসপাতালে আসতে বলেন। তিনিসহ পরিবারটির কয়েকজন সদস্য ওই হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গিয়ে মাইশাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় তার কপালসহ আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান। পরে তাকে জানানো হয়, মাইশা মাদ্রাসাটির শৌচাগারের ভেতরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
নুর নবী সরকার কালাইয়ের কিডনি বেচাকেনার দালাল চক্রের সদস্য। এ অপরাধে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে কিডনি, অস্ত্র ও মানবপাচারসহ একাধিক মামলা চলমান।
১৬ মিনিট আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনগণের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা ধাক্কা খেয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার হবে। যেখানে গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী দলের প্রতিনিধিরা থাকবেন। কিন্তু দুঃখজনক...
২ ঘণ্টা আগেসেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে খুলনার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার সম্পন্ন করে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছেন। আজ শনিবার...
২ ঘণ্টা আগেভোজ্যতেলের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ সংকটের প্রেক্ষাপটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আজ শনিবার সিটি গ্রুপের ভোজ্যতেল পরিশোধন কারখানা ও বোতলজাতকরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ সময় তাঁরা সিটি গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
৩ ঘণ্টা আগে