কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী নাজিরদীঘি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাজিরদীঘি গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছে। অভিযুক্ত মোশাররফ বাজিতপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নাজিরদীঘি গ্রামবাসীর পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান বাছির, আব্দুল কাইয়ুম, নূর মোহাম্মদ, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে তাঁরা বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী আমাদের নাজিরদীঘি। আমাদের জন্মের আগে থেকে এই দীঘির নামে একটি গ্রাম, একটি মৌজা হয়েছে। এই দিঘি সরকারি সম্পদ, আমাদের ঐতিহ্য। এই দিঘিটি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে। সরকারি এই দিঘি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নাজিরদীঘি গ্রামের ২০০ কৃষক এই দিঘি থেকে পানি নিয়ে জমিতে সেচ দেয়। মোশাররফ জাল জালিয়াতি করে এই দিঘিটি দখল করার চেষ্টা করছেন। মোশাররফসহ এর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি চাই।’ পরে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গ্রামবাসী স্মারকলিপি দেয়।
এ বিষয়ে আদালতে করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচর নাজিরদীঘি মৌজায় ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১১১২ নম্বর এএস দাগে (১৫৩২ নম্বর আরএস দাগ) ২৪ দশমিক ৮৪ একর আয়তনের নাজিরদীঘি জলমহাল রয়েছে। যা ১৩৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন মৎস্যজীবীর কাছে লিজ দিয়ে রাজস্ব আয় করছে সরকার। বাজিতপুরের নোয়াপাড়ার হামিদ উদ্দিন আহমেদ ১৪১৫-১৭ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৪১ টাকায় পুকুরটি লিজ নিয়েছিলেন। পুকুরের দখলনামায় একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দেন।
পরে ১৪২০-২২ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় পূর্ব নাজিরদীঘি পুকুরপাড় মৎস্যজীবী সমিতির অনুকূলে আব্দুস ছাত্তারকে জলমহালটি লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু তা দখলে নিতে মোশাররফ হোসেন ও তাঁর মা হালিমা খাতুন মালিক সেজে ২ নম্বর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সরকারের লিজ কার্যক্রমে তাঁরা নিষেধাজ্ঞা আদায় করে নেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, জালিয়াতি করে প্রতিপক্ষ মোশাররফ জলমহালের মালিকানা দাবি করছেন। মামলায় তিনি ৪ নম্বর সিএস খতিয়ানের যে স্বাক্ষরিত কপি জমা দিয়েছেন, তাতে জলমহালসহ ৯টি দাগের উল্লেখ রয়েছে। অথচ মূল বালাম বইয়ে ৪ নম্বর সিএস খতিয়ানে আটটি দাগের উল্লেখ আছে। সেখানে ১১১২ নম্বর দাগের উল্লেখ নেই। ফলে ৪ নম্বর খতিয়ানের নকলটি জাল। মোশাররফ তাঁর মামলায় আদালতে জাল নকল জমা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন এডিসি (রাজস্ব) নুরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তদন্তে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিও জালিয়াতির প্রমাণ পায়। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় জালিয়াতি করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। মোশাররফ হোসেনকে জালিয়াতিতে সহযোগিতা করার দায়ে কুলিয়ারচর উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তৎকালীন সহকারী তহসিলদার সাইফুল ইসলাম বরখাস্ত হন। তদন্তের স্বার্থে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচরের ওসমানপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মনির উদ্দিন আহমাদ বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন দিঘি/জলমহালটি দাবি করছেন ৪ নম্বর খতিয়ানের মূলে। মূলত এটি ১১১২ নম্বর দাগ ১ নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ নম্বর খতিয়ানে ১১১২ দাগ উল্লেখ করে মালিকানা দাবি করছেন। যার কোনো ভিত্তি নেই। এ ছাড়া সরকারি সব রেকর্ডে দিঘিটি সরকারি সম্পত্তি হিসেবেই উল্লেখ আছে।’
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আপনি চাইলে আমি আমার সকল কাগজপত্র দেখাতে পারি।’
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অলরেডি দুদকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের স্টাফসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত, তা তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও চলছে। আইনগতভাবে যেটুকু করার কথা ছিল, জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে।’
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে মোশাররফ হোসেন নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী নাজিরদীঘি জাল দলিলের মাধ্যমে দখল চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাজিরদীঘি গ্রামবাসী মানববন্ধন করেছে। অভিযুক্ত মোশাররফ বাজিতপুর উপজেলার নোয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
নাজিরদীঘি গ্রামবাসীর পক্ষে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য সাইদুর রহমান বাছির, আব্দুল কাইয়ুম, নূর মোহাম্মদ, বোরহান উদ্দিন প্রমুখ। মানববন্ধনে তাঁরা বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলের ঐতিহ্যবাহী আমাদের নাজিরদীঘি। আমাদের জন্মের আগে থেকে এই দীঘির নামে একটি গ্রাম, একটি মৌজা হয়েছে। এই দিঘি সরকারি সম্পদ, আমাদের ঐতিহ্য। এই দিঘিটি সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ানে। সরকারি এই দিঘি নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে। নাজিরদীঘি গ্রামের ২০০ কৃষক এই দিঘি থেকে পানি নিয়ে জমিতে সেচ দেয়। মোশাররফ জাল জালিয়াতি করে এই দিঘিটি দখল করার চেষ্টা করছেন। মোশাররফসহ এর সঙ্গে জড়িত সবার বিচার দাবি চাই।’ পরে এর প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে গ্রামবাসী স্মারকলিপি দেয়।
এ বিষয়ে আদালতে করা মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুলিয়ারচর নাজিরদীঘি মৌজায় ১ নম্বর খতিয়ানভুক্ত ১১১২ নম্বর এএস দাগে (১৫৩২ নম্বর আরএস দাগ) ২৪ দশমিক ৮৪ একর আয়তনের নাজিরদীঘি জলমহাল রয়েছে। যা ১৩৯৮ সাল থেকে বিভিন্ন মৎস্যজীবীর কাছে লিজ দিয়ে রাজস্ব আয় করছে সরকার। বাজিতপুরের নোয়াপাড়ার হামিদ উদ্দিন আহমেদ ১৪১৫-১৭ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৮ লাখ ১৮ হাজার ৬৪১ টাকায় পুকুরটি লিজ নিয়েছিলেন। পুকুরের দখলনামায় একই গ্রামের মোশাররফ হোসেন সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর দেন।
পরে ১৪২০-২২ বঙ্গাব্দ মেয়াদে ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকায় পূর্ব নাজিরদীঘি পুকুরপাড় মৎস্যজীবী সমিতির অনুকূলে আব্দুস ছাত্তারকে জলমহালটি লিজ দেওয়া হয়। কিন্তু তা দখলে নিতে মোশাররফ হোসেন ও তাঁর মা হালিমা খাতুন মালিক সেজে ২ নম্বর যুগ্ম জেলা জজ আদালতে মামলা করেন। আদালতের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি সরকারের লিজ কার্যক্রমে তাঁরা নিষেধাজ্ঞা আদায় করে নেন।
মামলার আরজিতে বলা হয়, জালিয়াতি করে প্রতিপক্ষ মোশাররফ জলমহালের মালিকানা দাবি করছেন। মামলায় তিনি ৪ নম্বর সিএস খতিয়ানের যে স্বাক্ষরিত কপি জমা দিয়েছেন, তাতে জলমহালসহ ৯টি দাগের উল্লেখ রয়েছে। অথচ মূল বালাম বইয়ে ৪ নম্বর সিএস খতিয়ানে আটটি দাগের উল্লেখ আছে। সেখানে ১১১২ নম্বর দাগের উল্লেখ নেই। ফলে ৪ নম্বর খতিয়ানের নকলটি জাল। মোশাররফ তাঁর মামলায় আদালতে জাল নকল জমা দিয়েছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন জেলা প্রশাসক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন। সেই কমিটি ২০২৩ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন এডিসি (রাজস্ব) নুরুজ্জামানের কাছে প্রতিবেদন জমা দেয়। ওই তদন্তে তৎকালীন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীকে নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটিও জালিয়াতির প্রমাণ পায়। সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় জালিয়াতি করার বিষয়টি প্রমাণিত হয়। মোশাররফ হোসেনকে জালিয়াতিতে সহযোগিতা করার দায়ে কুলিয়ারচর উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তৎকালীন সহকারী তহসিলদার সাইফুল ইসলাম বরখাস্ত হন। তদন্তের স্বার্থে জালিয়াতির সঙ্গে জড়িতদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এ বিষয়ে কুলিয়ারচরের ওসমানপুর ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মনির উদ্দিন আহমাদ বলেন, ‘মোশাররফ হোসেন দিঘি/জলমহালটি দাবি করছেন ৪ নম্বর খতিয়ানের মূলে। মূলত এটি ১১১২ নম্বর দাগ ১ নম্বর খতিয়ানে অন্তর্ভুক্ত। তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে ৪ নম্বর খতিয়ানে ১১১২ দাগ উল্লেখ করে মালিকানা দাবি করছেন। যার কোনো ভিত্তি নেই। এ ছাড়া সরকারি সব রেকর্ডে দিঘিটি সরকারি সম্পত্তি হিসেবেই উল্লেখ আছে।’
অভিযুক্ত মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ শতভাগ মিথ্যা। আপনি চাইলে আমি আমার সকল কাগজপত্র দেখাতে পারি।’
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, ‘জেলা প্রশাসক বরাবর একটি স্মারকলিপি আমার কাছে জমা দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ফৌজিয়া খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অলরেডি দুদকে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। আমাদের স্টাফসহ যারা এর সঙ্গে জড়িত, তা তদন্তাধীন রয়েছে। এ বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে মামলাও চলছে। আইনগতভাবে যেটুকু করার কথা ছিল, জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যে সব পদক্ষেপ নিয়েছে।’
ডিসেম্বরের ২০ তারিখ বিয়ে। অনুষ্ঠানের জন্য ঠিক করা হয়েছে ক্লাবও। পরিবারের পক্ষ থেকে চলছিল কেনাকাটাসহ বিয়ের নানা আয়োজন। এরমধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইশরাত জাহান তামান্না (২০)। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার রাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
১৮ মিনিট আগেরাজশাহীতে দুই পক্ষের মীমাংসার সময় বিএনপির এক নেতাকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরের ভদ্রা এলাকায় রাজশাহী মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক বজলুর রহমান মন্টুর ওপর এ হামলা হয়। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগেচাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পূর্ব এলাকার সাহেলা বেগম নিজের ও তাঁর সন্তানের চিকিৎসার জন্য এসেছিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক না থাকায় ফেরত যেতে বাধ্য হন তিনি। অন্যদিকে চরমথুরার শ্বাসকষ্টের রোগী আবুল কালাম সকাল ১০টায় এসে লাইনে দাঁড়িয়ে দুপুর ১২টার সময়ও চিকিৎসক দেখাতে
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) দৈনিক মজুরিভিত্তিক ১৫৯ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া একই কারণে সিটি করপোরেশনের স্থায়ী দুই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে