নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাঁরা সাক্ষ্য দেন।
যে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন—দৈনিক দিনকালের হিসাব রক্ষক সৈয়দ আজাদ ইকবাল ও ইমরাজ আলী শিকদার। বিচারক মো. আছাদুজ্জামান সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আগামী ২৮ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পর্কে দুদকের বিশেষ পি পি মোশারফ হোসেন কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার দুই হিসাব রক্ষক সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা জব্দ তালিকার সাক্ষী। তাঁদের সামনে অভিযোগ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছিল। এই কাগজপত্রের মধ্যে টাকা পয়সা লেনদানের ভাউচারে তারেক রহমানের স্বাক্ষর শনাক্ত করেন তাঁরা।
এ মামলায় মোট তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। গত ২১ মে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ড. মো. জহিরুল হুদা সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এই দুজনই পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আবেদন ওই দিন নামঞ্জুর করা হয়।
এই মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্নের জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে ডা. জোবায়দাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা। গত বছর ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবায়দার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলা থেকে হাইকোর্ট অব্যাহতি দেন।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মামলায় আরও দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ ও মহানগর দায়রা জজ আদালতে তাঁরা সাক্ষ্য দেন।
যে দুজন সাক্ষ্য দিয়েছেন তাঁরা হলেন—দৈনিক দিনকালের হিসাব রক্ষক সৈয়দ আজাদ ইকবাল ও ইমরাজ আলী শিকদার। বিচারক মো. আছাদুজ্জামান সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে আগামী ২৮ মে পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পর্কে দুদকের বিশেষ পি পি মোশারফ হোসেন কাজল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দৈনিক দিনকাল পত্রিকার দুই হিসাব রক্ষক সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁরা জব্দ তালিকার সাক্ষী। তাঁদের সামনে অভিযোগ সংক্রান্ত কিছু কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছিল। এই কাগজপত্রের মধ্যে টাকা পয়সা লেনদানের ভাউচারে তারেক রহমানের স্বাক্ষর শনাক্ত করেন তাঁরা।
এ মামলায় মোট তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হলো। গত ২১ মে মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপপরিচালক ড. মো. জহিরুল হুদা সাক্ষ্য দেন।
এর আগে গত ১৩ এপ্রিল তারেক রহমান ও ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। এই দুজনই পলাতক থাকায় তাঁদের পক্ষে ব্যক্তিগত আইনজীবী নিয়োগের আবেদন ওই দিন নামঞ্জুর করা হয়।
এই মামলায় গত ৩১ জানুয়ারি তারেক রহমান ও জোবায়দা রহমানকে আদালতে হাজির হতে বিজ্ঞপ্তি (গেজেট) প্রকাশ করা হয়। সরকারি মুদ্রণালয় থেকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, তারেক রহমান ও তাঁর স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে। আদালত বিশ্বাস করার যুক্তিসংগত কারণ রয়েছে যে, তাঁরা গ্রেপ্তার ও বিচার এড়াতে আত্মগোপনে রয়েছেন। সেহেতু তাঁদের ধার্য তারিখের (গত ৬ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্ন করা হবে। গত ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তাঁরা আদালতে হাজির না হওয়ায় অনুপস্থিতিতে বিচারকাজ সম্পন্নের জন্য মামলা প্রস্তুত করা হয়।
গত ৫ জানুয়ারি দুজনের সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দেন একই আদালত। গত বছরের ১ নভেম্বর এই দুজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ওই দিন দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) গ্রহণ করে পরোয়ানা জারি করা হয়।
২০০৮ সালে ডা. জোবায়দাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। অন্য দুজন হলেন তারেক রহমান ও জোবায়দার মা ইকবাল মান্দ বানু। এরপরই মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন জোবায়দা। ওই বছরই এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে আপিল বিভাগ হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল হাইকোর্ট জোবায়দার করা মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ (রুল ডিসচার্জ) করে রায় দেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় আট সপ্তাহের মধ্যে জোবায়দাকে বিচারিক আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেওয়া হয়। উচ্চ আদালতের এই খারিজ আদেশের বিরুদ্ধে ওই বছরই লিভ-টু-আপিল করেন জোবায়দা। গত বছর ১৩ এপ্রিল প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ লিভ-টু-আপিল খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রাখেন। এর ফলে ডা. জোবায়দার বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা চলতে আইনগত বাধা কেটে যায়। এই পরিস্থিতিতে নিম্ন আদালতে জোবায়দার মামলা আবার সচল হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ঘোষিত আয়ের বাইরে ৪ কোটি ৮১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৬১ টাকার মালিক হওয়া এবং সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর কাফরুল থানায় এই মামলা করে দুদক। মামলায় তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও তাঁর মা অর্থাৎ তারেক রহমানের শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করা হয়। তারেক রহমানের শাশুড়িকে মামলা থেকে হাইকোর্ট অব্যাহতি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
৩৩ মিনিট আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
৪৩ মিনিট আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে