সৌগত বসু, গাজীপুর থেকে
গাজীপুর সিটি করপোরেশন ঘোষণা করার পর ২০১৩ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র হন বিএনপির প্রয়াত নেতা অধ্যাপক এম এ মান্নান। তবে তিনি মেয়র পদে বেশি দিন থাকতে পারেননি। দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন ১৮ মাস। বিভিন্ন মামলায় তাঁকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই সময়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ।
এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও এই পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলীয় পদ হারানোর পর ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মেয়র হিসেবেও বরখাস্ত হন তিনি। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছেন কিরণ।
পরপর দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র পেলেও গাজীপুরবাসী মেয়রের পূর্ণ ক্ষমতার স্বাদ পাননি। তাই এবার তাঁরা মেয়র হিসেবে যে ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে চাইছেন।
আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন প্রত্যাশার কথা জানা যায়। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ণ মেয়াদে মেয়র না পাওয়ায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এতে সিটি করপোরেশনের উন্নতি ব্যাহত হয়েছে। একই সঙ্গে নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও বিঘ্নিত হয়েছে। তাই এবার যিনি মেয়র হবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে থাকতে হবে বলে মনে করেন নগরবাসী।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার দলিল লেখক আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইবার মেয়র পদে যিনি আসবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে থাকতে হবে। যেসব ঝামেলার কারণে তাঁরা থাকতে পারেন না, সেগুলো যেন না হয় তাতে নজর দিতে হবে।
একই ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ বলেন, মেয়র পূর্ণ মেয়াদে না থাকলে উন্নয়ন ঠিকভাবে হয় না। রাস্তা করা হয়েছে তবে সেগুলো তাঁর পরে দেখাশোনা করার কেউ নাই। এভাবে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কীভাবে চলে?
৫৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম বলেন, তাঁদের কোনো মেয়র ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় অনেক নাগরিক সমস্যার সমাধান হয়নি।
কেয়া বিলকিস নামে এক নারী বলেন, কোনো অভিযোগ এলেই পদ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। এতে গাজীপুরের বড় ক্ষতি হচ্ছে। এখানে সবকিছুই অর্ধেক অবস্থায় আছে। যিনি ভারপ্রাপ্ত হন, তাঁর সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক কম।
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাল মিয়া জাহাঙ্গীর আলমের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি মেয়র থাকাকালে সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান হওয়ার সুযোগ থাকত। কিন্তু পরে মেয়র পদ চলে যাওয়ায় সেই সুযোগ আর থাকে না।
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কেউ পূর্ণ মেয়াদে থাকতে পারেননি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না নগরবাসী। ঢাকার কাছে থেকেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গাজীপুরে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে প্রথম দফায় ২৭ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন আসাদুর রহমান কিরণ। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি জনগণকে বঞ্চিত করা। যিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন সেটি তাঁর ব্যক্তি হিসেবে সাজা বা মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু যাঁরা তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছেন, তাঁরা তাঁদের অধিকার ও দাবির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন। কোনো ঠুনকো কারণে বা অভিযোগ দিয়ে এভাবে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কখনোই কাম্য নয়।
এবার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮৬ জন ভোটারের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। ৪৮০টি কেন্দ্রের জন্য মোট ৫ হাজার ২৪৬টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন ঘোষণা করার পর ২০১৩ সালে প্রথম সিটি নির্বাচনে মেয়র হন বিএনপির প্রয়াত নেতা অধ্যাপক এম এ মান্নান। তবে তিনি মেয়র পদে বেশি দিন থাকতে পারেননি। দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছিলেন ১৮ মাস। বিভিন্ন মামলায় তাঁকে মেয়র পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। এই সময়ে মেয়র পদে দায়িত্ব পালন করেন ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুর রহমান কিরণ।
এরপর ২০১৮ সালে দ্বিতীয়বার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র হন জাহাঙ্গীর আলম। তিনিও এই পদে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কটূক্তি ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দলীয় পদ হারানোর পর ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর মেয়র হিসেবেও বরখাস্ত হন তিনি। সেই সময় থেকে এখন পর্যন্ত মেয়র পদে ভারপ্রাপ্ত হিসেবে কাজ করছেন কিরণ।
পরপর দুটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নির্বাচিত মেয়র পেলেও গাজীপুরবাসী মেয়রের পূর্ণ ক্ষমতার স্বাদ পাননি। তাই এবার তাঁরা মেয়র হিসেবে যে ব্যক্তিকে নির্বাচিত করবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে চাইছেন।
আজ গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের এমন প্রত্যাশার কথা জানা যায়। ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ণ মেয়াদে মেয়র না পাওয়ায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ আছে। এতে সিটি করপোরেশনের উন্নতি ব্যাহত হয়েছে। একই সঙ্গে নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও বিঘ্নিত হয়েছে। তাই এবার যিনি মেয়র হবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে থাকতে হবে বলে মনে করেন নগরবাসী।
২৮ নম্বর ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা ও ভোটার দলিল লেখক আব্দুল হামিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এইবার মেয়র পদে যিনি আসবেন, তাঁকে পূর্ণ মেয়াদে থাকতে হবে। যেসব ঝামেলার কারণে তাঁরা থাকতে পারেন না, সেগুলো যেন না হয় তাতে নজর দিতে হবে।
একই ওয়ার্ডের ব্যবসায়ী ফরিদ আহমেদ বলেন, মেয়র পূর্ণ মেয়াদে না থাকলে উন্নয়ন ঠিকভাবে হয় না। রাস্তা করা হয়েছে তবে সেগুলো তাঁর পরে দেখাশোনা করার কেউ নাই। এভাবে ভারপ্রাপ্ত দিয়ে কীভাবে চলে?
৫৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দা ফেরদৌসী বেগম বলেন, তাঁদের কোনো মেয়র ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে না পারায় অনেক নাগরিক সমস্যার সমাধান হয়নি।
কেয়া বিলকিস নামে এক নারী বলেন, কোনো অভিযোগ এলেই পদ থেকে বহিষ্কার করে দেওয়া হয়। এতে গাজীপুরের বড় ক্ষতি হচ্ছে। এখানে সবকিছুই অর্ধেক অবস্থায় আছে। যিনি ভারপ্রাপ্ত হন, তাঁর সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক কম।
৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলাল মিয়া জাহাঙ্গীর আলমের কথা উল্লেখ করে বলেন, তিনি মেয়র থাকাকালে সমস্যা নিয়ে গেলে সমাধান হওয়ার সুযোগ থাকত। কিন্তু পরে মেয়র পদ চলে যাওয়ায় সেই সুযোগ আর থাকে না।
গাজীপুর নাগরিক ফোরামের সভাপতি অ্যাডভোকেট জালাল উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক যে কেউ পূর্ণ মেয়াদে থাকতে পারেননি। এতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছে না নগরবাসী। ঢাকার কাছে থেকেও উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
গাজীপুরে ভারপ্রাপ্ত মেয়র হিসেবে প্রথম দফায় ২৭ মাস ১০ দিন দায়িত্ব পালন করেছেন আসাদুর রহমান কিরণ। এরপর দ্বিতীয় দফায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, এটি জনগণকে বঞ্চিত করা। যিনি বহিষ্কৃত হয়েছেন সেটি তাঁর ব্যক্তি হিসেবে সাজা বা মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। কিন্তু যাঁরা তাঁকে পাঁচ বছরের জন্য নির্বাচিত করেছেন, তাঁরা তাঁদের অধিকার ও দাবির ক্ষেত্রে বঞ্চিত হয়েছেন। কোনো ঠুনকো কারণে বা অভিযোগ দিয়ে এভাবে মেয়র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কখনোই কাম্য নয়।
এবার ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৪৮৬ জন ভোটারের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতি ব্যবহার করছে নির্বাচন কমিশন। ৪৮০টি কেন্দ্রের জন্য মোট ৫ হাজার ২৪৬টি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আজ নির্বাচনে মেয়র পদে আটজন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ২৪৩ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নির্বাচনে ৫৭টি ওয়ার্ডে ৪৮০টি ভোটকেন্দ্রে ৩ হাজার ৪৯৭টি ভোটকক্ষে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
১১ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
১৬ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২৬ মিনিট আগে