Ajker Patrika

পানির সংকট, পাঁচ ঘণ্টা পরও জ্বলছে শ্রীপুরের সেই তুলার গুদাম

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
পানির সংকট, পাঁচ ঘণ্টা পরও জ্বলছে শ্রীপুরের সেই তুলার গুদাম

গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি টেক্সটাইল কারখানার গুদামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে গুদামে মজুত করা বিপুল পরিমাণ তুলা ও সুতা পুড়ে গেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। কারখানায় স্থায়ী অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কারখানা কর্তৃপক্ষ। বাইরে থেকে পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের কেওয়া নতুন বাজার এলাকায় এসবিএস টেক্সটাইল কারখানার গুদামে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থল পৌঁছে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশাল এলাকা নিয়ে গড়ে ওঠা তুলার গুদামের ভেতর জ্বলছে আগুনের লেলিহান শিখা। ফায়ার সার্ভিস বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্য ও কারখানার বিভিন্ন পর্যায়ের শ্রমিক কর্মকর্তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের সহযোগিতা করছে। ফায়ার সার্ভিস পাশের একটি কারখানা থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। 

এ ছাড়াও আশপাশের বাসাবাড়ি থেকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা পানি এনে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ করে। আগুনের ঘটনায় কারখানার আশপাশের রাস্তায় জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। এতে শ্রীপুর-মাওনা সংযোগ সড়কে সকল ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকে দুই ঘণ্টা। ফলে সড়কের দু পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুর্ভোগে পড়ে শত শত যাত্রী। 

এদিকে আগুন লাগার খবরে ঘটনাস্থলে আসেন শ্রীপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শামসুল আলম প্রধান, শ্রীপুর পৌর মেয়র আনিছুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তরিকুল ইসলাম। 

কারখানার মানব সম্পদ বিভাগের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আজমল হোসেন জানান, কারখানা থেকে প্রায় ৩০০ ফুট দূরে গুদামটি। এতে বিপুল পরিমাণ তুলা ও উৎপাদিত সুতা মজুত ছিল। বৃহস্পতিবার দুপুর দিকে হঠাৎ সেখানে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা পুরো গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। 

কারখানায় কী অগ্নিনির্বাপণ স্থায়ী ব্যবস্থা ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা না বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে চলে যান। 

গাজীপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, শ্রীপুর, কাপাসিয়া, জয়দেবপুর ও ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থল পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে, বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। 

তিনি আরও জানান, কারখানাটিতে অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না। বাইরে থেকে পানির ব্যবস্থা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় বেশি লেগেছে। তিনি জানান, অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতির পরিমাণ এখনো নিরূপণ করা হয়নি। তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লাগার কারণও জানা যায়নি। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত