মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করার দায়ে নারীর কারাদণ্ড 

ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ২২: ৩০

মিথ্যা ধর্ষণ মামলা করায় মানিকগঞ্জের শিবালয়ে আমেনা বেগম নামে এক নারীকে এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল। আজ সোমবার মানিকগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল এই রায় দেন। সেই সঙ্গে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

দণ্ডপ্রাপ্ত আমেনা বেগম (৩৯) নওগাঁর আত্রাই উপজেলার ভূপাড়া এলাকার মোহাম্মদ আরিফ হোসেনের স্ত্রী। কাজের সুবাদে তিনি শিবালয়ের টেপড়া এলাকায় থাকতেন। ভুক্তভোগী শাহীনুজ্জামান বাবু শিবালয়ের শিবরামপুর এলাকার বাসিন্দা। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১৭ সালের ২৬ মে শাহীনুজ্জামান বাবুকে আসামি করে শিবালয় থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণ মামলা করেন আমেনা বেগম। এরপর ২০১৭ সালের ৯ জুন অভিযুক্ত শাহীনুজ্জামান বাবুকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। চার মাস কারাভোগের পর শাহীনুজ্জামান জামিনে বের হন। 

পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগটি তদন্ত করেন এবং এ বিষয়ের সত্যতা ও সাক্ষী না পাওয়ায় অভিযোগটি মিথ্যা বলে ট্রাইব্যুনালে চার্জশিট দাখিল করেন। একই সঙ্গে মামলার বাদী আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন। 

 ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি মামলাটি খারিজ করেন বিচারক। এরপর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১৭ ধারায় আমেনা বেগমের বিরুদ্ধে শাহীনুজ্জামান বাবু বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার পর থেকে আসামি আমেনা বেগম পলাতক রয়েছেন। 

মামলায় পাঁচজনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আইনজীবীদের যুক্তিতর্ক শেষে দোষী প্রমাণিত হওয়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম তানিয়া কামাল আমেনা বেগমকে এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দেন। 

রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি একেএম নুরুল হুদা রুবেল সন্তোষ প্রকাশ করেন। তবে মামলার শুরু থেকে আসামি পলাতক ছিলেন, তার পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত