ফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের মধুখালীতে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সৌগত বসুর বাড়িতে ঢুকে বাবা-মাসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় করা মামলায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি হামলাকারী নন। ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী সাংবাদিক সৌগত বসু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। ছবি দেখে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অভিযুক্ত নন উল্লেখ করার পরও কেন তাঁকে আসামি করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি।’
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ডুমাইন পূর্বপাড়ার বোস বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সৌগত বসুর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), মা কাকলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালো (১৫) আহত হন। তাঁরা সবাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরদিন শনিবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মধুখালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। রাতে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়। ওই মামলায় তাঁদেরই গ্রামের পরিমল কুমার রায়ের ছেলে পল্লব কুমারকে (১৯) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাবি, ঘটনার রাতেই পল্লবকে আটক করা হয়। তখন বিশেষায়িত স্টিলের তৈরি লাঠি ও একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়। এ দুটি আলামত ও আসামির স্বীকারোক্তিতে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) ইমরুল হাসান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. নুরুজ্জামান ও তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা তখন উপস্থিত ছিলেন।
রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি পুলিশের
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের’ এক পর্যায়ে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। চুরির উদ্দেশ্যেই সে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পল্লব কেন চুরি করতে গেল— এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য গিয়েছিল।’
পুলিশ সুপারের দাবি, পল্লব গাঁজা সেবন করে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন এবং সে নিজেও স্বীকার করেছে। এক সময় তাকে ফরিদপুরে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল।

আসামি যেভাবে শনাক্ত করে পুলিশ
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা আমাদের জানায়, তাঁরা হামলাকারীকে নির্দিষ্ট করে চিনতে পারেননি, দেখলে চিনতে পারবেন। ভুক্তভোগীরা যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আসেন, তখন তাঁরা একজনের নাম বলেছেন বলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক (টুটুল) ও তাঁদের সঙ্গে আসা মজনু নামে একজন জানিয়েছেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর পল্লবের নাম বলা হয়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা যাকে ধরেছি, ঘটনার সঙ্গে তাঁর বক্তব্য এবং উদ্ধারকৃত আলামতের মিল আছে কি-না সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বাদী বলেছেন, তাদের বাড়ি উঁচু বাউন্ডারি ঘেরা থাকায় চোর বাড়ির পেছনের স্কুল দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। পরে আসামিও জানায়, স্কুলের পাশে চিপাগলি দিয়ে গাছ বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে সে।’
গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগীদের সামনে আসামিকে উপস্থাপন করা হয়েছে কি না— এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আসামি আমরা দেখিয়েছি, কিন্তু তাঁরা ওইভাবে বলেননি।’
তবে পল্লবকে সশরীরে ভুক্তভোগী আহতদের সামনে হাজির করা হয়নি। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মোবাইল ফোনে ধারণ করা পল্লবের ছবি আহতদের দেখায়। ওই ছবি দেখেই তাঁরা ‘হামলাকারী পল্লব নন’ বলে শনাক্ত করেন।
আহত তিনজনকে কোপানো হয়নি, দাবি পুলিশের
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, হামলায় আহত শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), কাকলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালোকে (১৫) কোপানো হয়নি। তবে ‘মেডিকেল রিপোর্ট’ এলে চূড়ান্তভাবে জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগীদের স্টিলের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। লাঠিটি পল্লব সঙ্গে করে নিয়ে আসে। শ্যামলেন্দু বসু তাকে ধরার চেষ্টা করলে পল্লব লাঠি দিয়ে তাঁকে তিনটি আঘাত করে। পরে অন্যদেরও আঘাত করে স্টিলের লাঠি ফেলেই পল্লব পালিয়ে যায়।
বিশেষ স্টিলের লাঠিটা পল্লব কোথায় পেল
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নিজ গ্রাম ও পাশের গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় নেশা করতে গিয়ে নাকি এই লাঠি তাঁর পায়ে বাঁধে, এভাবে সে লাঠিটা পেয়ে যায়। এককথায়, এটা কুড়িয়ে পাওয়া লাঠি।
যিনি গ্রেপ্তার, তিনি হামলাকারী নন
গ্রেপ্তার আসামি নিয়ে ভুক্তভোগী ও বাদীর বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন হওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগী কাকলী বসু ও কিশোরী প্রীতি মালোর দাবি, ওই বাড়িতে পল্লব নয়, অন্য একজন প্রবেশ করেছিলেন, যিনি ওই বাড়িতে ভ্যানে করে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতেন। তিনি একই এলাকার রেজাউল মীরের ছেলে ইমরান মীর (১৮)।
মামলার বাদী সৌগত বসু বলেন, তাঁর মা (কাকলী বসু) ও প্রীতি মালোকে পুলিশ ঘটনার পরদিন পল্লবের ছবি দেখালে তাঁরা জানিয়েছেন, পল্লব হামলাকারী নন। বরং ইমরানের সঙ্গে হামলাকারী ব্যক্তির চেহারা, আকার-আকৃতিতে মিল রয়েছে।
কাকলী বসু বলেন, ‘ওই রাতে যে এসেছিল, সে বেশি লম্বা ছিল না। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের ও মাথায় বাটি ছাট (এক ধরনের স্টাইল) চুল ছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে দেখিয়েছে, তাঁর মাথায় সামনের দিকে লম্বা চুল ছিল।’
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রীতি রোববার রাতে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলে, ‘পল্লবকে আমি চিনি। রাতে পল্লব আসেনি। ঠাকুমাদের বাসায় (সৌগতদের বাসায়) একটা লোক গ্যাস দিয়ে যেত, রাতে ওই লোকই এসেছিল।’
প্রীতি আরও বলে, ‘রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন আসছিলাম, তখন দাদু (শ্যামলেন্দু বসু) আহত অবস্থায় বারবার জানতে চাচ্ছিল, তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল। পল্লব এসেছিল কি না (পল্লব মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত)। তখন আমি বলেছিলাম, না। ওই সময় ড্রাইভার টুটুল ও যে আমাদের সঙ্গে এসেছিল, তাঁরা মনে করে, ঘটনাটি পল্লব ঘটিয়েছে। পরে তারাই পুলিশকে পল্লবের নাম জানায়। কিন্তু পল্লব চুরি করতে আসেনি।’
মামলার বাদী সাংবাদিক সৌগত বসু বলেন, ‘পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। গ্রেপ্তারকৃতের ছবি দেখে শনাক্ত না করার পরও কেন তাকে আসামি করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি। পুলিশকে বলা হয়েছে আরও একজনের (ইমরান) নাম। আহতদের সবার মাথায় আঘাত থাকায় ঘটনার পর তাঁদের মধ্যে নাম ও চেহারা নিয়ে এক রকম দ্বিধা ছিল। এজন্য ঘটনার দিন আমাদের পক্ষ থেকে কেউ নাম বলেনি। পরদিন পুলিশ আমাদের জানায়, তাঁরা পল্লবকে আটক করেছেন। তখন আমরা ‘হামলাকারী পল্লব নয়’ বলেছি, ইমরানের কথাও বলেছি। আমরা পুলিশের মাধ্যমেই জেনেছি, ইমরান ফোন বন্ধ করে পলাতক আছেন।’
বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তাঁরা সন্দেহ করল কি না করল, তার থেকে বড় কথা আমরা তদন্তে এবং বাস্তবতায় কী পেয়েছি। এছাড়া এজাহার দায়েরের সময় আমি বলেছিলাম, যাকে সন্দেহ করছেন, তাঁর নামটা দেন। কিন্তু তাঁরা নামটা দেননি।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘রাতে পুলিশকে তাঁরা (ভুক্তভোগীরা) এমন কিছু বলেননি। পরদিন সকালে তাঁর ছেলে (বাদী) জানায়, এখানে ইমরান নামে একজনের নাম এসেছে, তখন আমি বলেছি, আপনার মা এবং যারা সঙ্গে এসেছিল, তাঁরা পল্লবের নাম বলেছে।’
এজাহারে কারও নাম উল্লেখ না থাকার ব্যাখ্যা দিয়ে সৌগত বসু বলেন, ‘আমরা চাইনি কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। পুলিশ ঘটনার পর ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছে। যখন যে তথ্য চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। পল্লবকে হামলাকারী নয় বলে মা (কাকলী বসু) ও প্রীতি শনাক্ত করার পর আমি নিজেও পুলিশকে জানিয়েছি। ইমরানের কথাও বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। ইমরান পলাতক সেটাও দেখছি। পুলিশ বলছে, পল্লবকে ঘুম থেকে আটক করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব, যার চেহারা মা ও প্রীতি দেখে ফেলেছে, সে এমন ঘটনার পর বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবে! আর যার প্রতি সন্দেহ, সে কিন্তু পালিয়েছে।’
সবাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে- পুলিশের এই বক্তব্যে সৌগত বসু বলেন, তাঁর বাবাকে প্রথমে লাঠি দিয়ে কপালের মাঝ বরাবর আঘাত করা হয়— সেটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে মাথায় আরও তিনটি ক্ষত আছে, যেগুলো লাঠির আঘাতের নয়, ধারালো অস্ত্রের কোপে চিড়ে যাওয়ার ক্ষত। তবে হামলাকারী তাঁর মা ও প্রীতিকে স্টিলের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। যে দা উদ্ধার করা হয়েছে, তাতেও রক্ত ছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ইমরান মীর নামে ওই যুবক পালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া ইমরানের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাড়িতে নেই বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জীবন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে পল্লবের বাড়ির ঠিকানা চায়। তখন পুলিশ এলে আমিও সঙ্গে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পল্লব ঘুমিয়ে রয়েছে। ওর বাবা জানায়, রাত ৯টায় বাড়িতে ফিরে এসেছে। এ ছাড়া সারা দিন মাঠে পেঁয়াজ লাগিয়েছে।’

ফরিদপুরের মধুখালীতে আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক সৌগত বসুর বাড়িতে ঢুকে বাবা-মাসহ তিনজনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি করছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় করা মামলায় যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, তিনি হামলাকারী নন। ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মামলার বাদী সাংবাদিক সৌগত বসু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। ছবি দেখে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তি অভিযুক্ত নন উল্লেখ করার পরও কেন তাঁকে আসামি করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি।’
গত শুক্রবার রাতে উপজেলার ডুমাইন পূর্বপাড়ার বোস বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে সৌগত বসুর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), মা কাকলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালো (১৫) আহত হন। তাঁরা সবাই ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরদিন শনিবার বিকেলে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির নামে মধুখালী থানায় এজাহার দাখিল করেন। রাতে তা মামলা হিসেবে নেওয়া হয়। ওই মামলায় তাঁদেরই গ্রামের পরিমল কুমার রায়ের ছেলে পল্লব কুমারকে (১৯) গ্রেপ্তার দেখিয়ে গতকাল রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
পুলিশের দাবি, ঘটনার রাতেই পল্লবকে আটক করা হয়। তখন বিশেষায়িত স্টিলের তৈরি লাঠি ও একটি ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে কার্যবিধি ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেয়। এ দুটি আলামত ও আসামির স্বীকারোক্তিতে ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুর পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) ইমরুল হাসান, মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. নুরুজ্জামান ও তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মোক্তার হোসেনসহ পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা তখন উপস্থিত ছিলেন।
রহস্য উদ্ঘাটনের দাবি পুলিশের
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, ‘ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের’ এক পর্যায়ে আসামি ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। চুরির উদ্দেশ্যেই সে ওই বাড়িতে ঢুকেছিল। আদালতে সোপর্দ করা হলে সে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
পল্লব কেন চুরি করতে গেল— এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘নেশার টাকা জোগাড় করার জন্য গিয়েছিল।’
পুলিশ সুপারের দাবি, পল্লব গাঁজা সেবন করে বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন এবং সে নিজেও স্বীকার করেছে। এক সময় তাকে ফরিদপুরে মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছিল।

আসামি যেভাবে শনাক্ত করে পুলিশ
পুলিশ সুপার বলেন, ‘ভুক্তভোগীরা আমাদের জানায়, তাঁরা হামলাকারীকে নির্দিষ্ট করে চিনতে পারেননি, দেখলে চিনতে পারবেন। ভুক্তভোগীরা যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আসেন, তখন তাঁরা একজনের নাম বলেছেন বলে অ্যাম্বুলেন্সের চালক (টুটুল) ও তাঁদের সঙ্গে আসা মজনু নামে একজন জানিয়েছেন। হাসপাতালে যাওয়ার পর পল্লবের নাম বলা হয়।’
পুলিশ সুপার বলেন, ‘আমরা যাকে ধরেছি, ঘটনার সঙ্গে তাঁর বক্তব্য এবং উদ্ধারকৃত আলামতের মিল আছে কি-না সেটা গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়া বাদী বলেছেন, তাদের বাড়ি উঁচু বাউন্ডারি ঘেরা থাকায় চোর বাড়ির পেছনের স্কুল দিয়ে প্রবেশ করতে পারে। পরে আসামিও জানায়, স্কুলের পাশে চিপাগলি দিয়ে গাছ বেয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে সে।’
গ্রেপ্তারের পর ভুক্তভোগীদের সামনে আসামিকে উপস্থাপন করা হয়েছে কি না— এই প্রশ্নের জবাবে পুলিশ সুপার বলেন, ‘আসামি আমরা দেখিয়েছি, কিন্তু তাঁরা ওইভাবে বলেননি।’
তবে পল্লবকে সশরীরে ভুক্তভোগী আহতদের সামনে হাজির করা হয়নি। পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে মোবাইল ফোনে ধারণ করা পল্লবের ছবি আহতদের দেখায়। ওই ছবি দেখেই তাঁরা ‘হামলাকারী পল্লব নন’ বলে শনাক্ত করেন।
আহত তিনজনকে কোপানো হয়নি, দাবি পুলিশের
পুলিশ সুপার আব্দুল জলিল বলেন, হামলায় আহত শ্যামলেন্দু বসু (৬৫), কাকলী বসু (৬০) ও প্রতিবেশী কিশোরী প্রীতি মালোকে (১৫) কোপানো হয়নি। তবে ‘মেডিকেল রিপোর্ট’ এলে চূড়ান্তভাবে জানা যাবে।
তিনি আরো বলেন, ভুক্তভোগীদের স্টিলের লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়। লাঠিটি পল্লব সঙ্গে করে নিয়ে আসে। শ্যামলেন্দু বসু তাকে ধরার চেষ্টা করলে পল্লব লাঠি দিয়ে তাঁকে তিনটি আঘাত করে। পরে অন্যদেরও আঘাত করে স্টিলের লাঠি ফেলেই পল্লব পালিয়ে যায়।
বিশেষ স্টিলের লাঠিটা পল্লব কোথায় পেল
আসামির বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, নিজ গ্রাম ও পাশের গ্রামের মাঝামাঝি এলাকায় নেশা করতে গিয়ে নাকি এই লাঠি তাঁর পায়ে বাঁধে, এভাবে সে লাঠিটা পেয়ে যায়। এককথায়, এটা কুড়িয়ে পাওয়া লাঠি।
যিনি গ্রেপ্তার, তিনি হামলাকারী নন
গ্রেপ্তার আসামি নিয়ে ভুক্তভোগী ও বাদীর বক্তব্যের সঙ্গে পুলিশের বক্তব্য ভিন্ন হওয়ায় মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভুক্তভোগী কাকলী বসু ও কিশোরী প্রীতি মালোর দাবি, ওই বাড়িতে পল্লব নয়, অন্য একজন প্রবেশ করেছিলেন, যিনি ওই বাড়িতে ভ্যানে করে গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করতেন। তিনি একই এলাকার রেজাউল মীরের ছেলে ইমরান মীর (১৮)।
মামলার বাদী সৌগত বসু বলেন, তাঁর মা (কাকলী বসু) ও প্রীতি মালোকে পুলিশ ঘটনার পরদিন পল্লবের ছবি দেখালে তাঁরা জানিয়েছেন, পল্লব হামলাকারী নন। বরং ইমরানের সঙ্গে হামলাকারী ব্যক্তির চেহারা, আকার-আকৃতিতে মিল রয়েছে।
কাকলী বসু বলেন, ‘ওই রাতে যে এসেছিল, সে বেশি লম্বা ছিল না। উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের ও মাথায় বাটি ছাট (এক ধরনের স্টাইল) চুল ছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে দেখিয়েছে, তাঁর মাথায় সামনের দিকে লম্বা চুল ছিল।’
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রীতি রোববার রাতে আজকের পত্রিকার প্রতিনিধিকে বলে, ‘পল্লবকে আমি চিনি। রাতে পল্লব আসেনি। ঠাকুমাদের বাসায় (সৌগতদের বাসায়) একটা লোক গ্যাস দিয়ে যেত, রাতে ওই লোকই এসেছিল।’
প্রীতি আরও বলে, ‘রাতে অ্যাম্বুলেন্সে করে যখন আসছিলাম, তখন দাদু (শ্যামলেন্দু বসু) আহত অবস্থায় বারবার জানতে চাচ্ছিল, তাঁর সঙ্গে কী হয়েছিল। পল্লব এসেছিল কি না (পল্লব মাদকাসক্ত হিসেবে পরিচিত)। তখন আমি বলেছিলাম, না। ওই সময় ড্রাইভার টুটুল ও যে আমাদের সঙ্গে এসেছিল, তাঁরা মনে করে, ঘটনাটি পল্লব ঘটিয়েছে। পরে তারাই পুলিশকে পল্লবের নাম জানায়। কিন্তু পল্লব চুরি করতে আসেনি।’
মামলার বাদী সাংবাদিক সৌগত বসু বলেন, ‘পুলিশ প্রকৃত আসামিকে গ্রেপ্তার করেনি। গ্রেপ্তারকৃতের ছবি দেখে শনাক্ত না করার পরও কেন তাকে আসামি করা হলো, আমি বুঝতে পারিনি। পুলিশকে বলা হয়েছে আরও একজনের (ইমরান) নাম। আহতদের সবার মাথায় আঘাত থাকায় ঘটনার পর তাঁদের মধ্যে নাম ও চেহারা নিয়ে এক রকম দ্বিধা ছিল। এজন্য ঘটনার দিন আমাদের পক্ষ থেকে কেউ নাম বলেনি। পরদিন পুলিশ আমাদের জানায়, তাঁরা পল্লবকে আটক করেছেন। তখন আমরা ‘হামলাকারী পল্লব নয়’ বলেছি, ইমরানের কথাও বলেছি। আমরা পুলিশের মাধ্যমেই জেনেছি, ইমরান ফোন বন্ধ করে পলাতক আছেন।’
বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, ‘তাঁরা সন্দেহ করল কি না করল, তার থেকে বড় কথা আমরা তদন্তে এবং বাস্তবতায় কী পেয়েছি। এছাড়া এজাহার দায়েরের সময় আমি বলেছিলাম, যাকে সন্দেহ করছেন, তাঁর নামটা দেন। কিন্তু তাঁরা নামটা দেননি।’
পুলিশ সুপার আরও বলেন, ‘রাতে পুলিশকে তাঁরা (ভুক্তভোগীরা) এমন কিছু বলেননি। পরদিন সকালে তাঁর ছেলে (বাদী) জানায়, এখানে ইমরান নামে একজনের নাম এসেছে, তখন আমি বলেছি, আপনার মা এবং যারা সঙ্গে এসেছিল, তাঁরা পল্লবের নাম বলেছে।’
এজাহারে কারও নাম উল্লেখ না থাকার ব্যাখ্যা দিয়ে সৌগত বসু বলেন, ‘আমরা চাইনি কোনো নিরপরাধ মানুষকে হয়রানি করা হোক। পুলিশ ঘটনার পর ব্যাপক তৎপরতা দেখিয়েছে। যখন যে তথ্য চেয়েছে, আমরা দিয়েছি। পল্লবকে হামলাকারী নয় বলে মা (কাকলী বসু) ও প্রীতি শনাক্ত করার পর আমি নিজেও পুলিশকে জানিয়েছি। ইমরানের কথাও বারবার উল্লেখ করা হয়েছে। ইমরান পলাতক সেটাও দেখছি। পুলিশ বলছে, পল্লবকে ঘুম থেকে আটক করা হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব, যার চেহারা মা ও প্রীতি দেখে ফেলেছে, সে এমন ঘটনার পর বাড়িতে ঘুমিয়ে থাকবে! আর যার প্রতি সন্দেহ, সে কিন্তু পালিয়েছে।’
সবাইকে লাঠি দিয়ে আঘাত করা হয়েছে- পুলিশের এই বক্তব্যে সৌগত বসু বলেন, তাঁর বাবাকে প্রথমে লাঠি দিয়ে কপালের মাঝ বরাবর আঘাত করা হয়— সেটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তবে মাথায় আরও তিনটি ক্ষত আছে, যেগুলো লাঠির আঘাতের নয়, ধারালো অস্ত্রের কোপে চিড়ে যাওয়ার ক্ষত। তবে হামলাকারী তাঁর মা ও প্রীতিকে স্টিলের লাঠি দিয়ে আঘাত করে। যে দা উদ্ধার করা হয়েছে, তাতেও রক্ত ছিল।
এদিকে ঘটনার পর থেকেই ইমরান মীর নামে ওই যুবক পালিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া ইমরানের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বাড়িতে নেই বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জীবন বিশ্বাস নিশ্চিত করেছেন।
ইউপি সদস্য আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঘটনার দিন রাত ১২টার দিকে পুলিশ আমাকে ফোন দিয়ে পল্লবের বাড়ির ঠিকানা চায়। তখন পুলিশ এলে আমিও সঙ্গে যাই। বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, পল্লব ঘুমিয়ে রয়েছে। ওর বাবা জানায়, রাত ৯টায় বাড়িতে ফিরে এসেছে। এ ছাড়া সারা দিন মাঠে পেঁয়াজ লাগিয়েছে।’

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৬ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
১৯ মিনিট আগে
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেশরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
১৯ মিনিট আগে
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
১৯ মিনিট আগে
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।
আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিকল্প সড়কসমূহ
১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।
৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।
৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।
আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিকল্প সড়কসমূহ
১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।
৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।
৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৬ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের পূর্ব তুরুং গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান এবং একই এলাকার বরম সিদ্দিপুরের আজমন আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খাসিয়াদের সুপারিপুঞ্জিতে ঢুকলে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। লাশ দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া সীমান্ত পিলার নম্বর ১২৬০/৪-এসের পাশ দিয়ে বাংলাদেশি কয়েক ব্যক্তি আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রাজন টিলার সুপারিবাগানে ঢোকে।
এ সময় সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বাগানমালিক খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুকের কয়েক রাউন্ডটি গুলি ছোড়ে। এতে মো. আশিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা লাশ বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বরম সিদ্দিপুর নামক স্থান দিয়ে দুই ব্যক্তি সুপারিবাগানে ঢুকলে খাসিয়ারা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মো. ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইয়াকুবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তে পৃথক স্থানে ভারতীয় খাসিয়াদের গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার উপজেলায় সীমান্তের দুটি স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তিরা হলেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার উত্তর রনিখাই ইউনিয়নের পূর্ব তুরুং গ্রামের মো. বোরহান উদ্দিনের ছেলে মো. আশিকুর রহমান এবং একই এলাকার বরম সিদ্দিপুরের আজমন আলীর ছেলে মো. ইয়াকুব আলী।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সফিকুল ইসলাম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, অবৈধভাবে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে খাসিয়াদের সুপারিপুঞ্জিতে ঢুকলে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে দুজন মারা যান। লাশ দুটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আইনিপ্রক্রিয়া শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার দমদমিয়া সীমান্ত পিলার নম্বর ১২৬০/৪-এসের পাশ দিয়ে বাংলাদেশি কয়েক ব্যক্তি আনুমানিক এক থেকে দেড় কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে রাজন টিলার সুপারিবাগানে ঢোকে।
এ সময় সেখানে অবস্থানরত ভারতীয় বাগানমালিক খাসিয়ারা তাদের লক্ষ্য করে বন্দুকের কয়েক রাউন্ডটি গুলি ছোড়ে। এতে মো. আশিকুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে তাঁর সঙ্গে থাকা অন্যরা লাশ বাংলাদেশে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
অন্যদিকে একই দিন বেলা ৩টায় সীমান্ত পিলার ১২৫৫/২ এস থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে বরম সিদ্দিপুর নামক স্থান দিয়ে দুই ব্যক্তি সুপারিবাগানে ঢুকলে খাসিয়ারা তাঁদের লক্ষ্য করে ছররা গুলি ছোড়ে। এতে মো. ইয়াকুব আলী নামের এক যুবক গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহত ইয়াকুবকে উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

যাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তিনি ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন বলে মামলার বাদী ও ভুক্তভোগীদের দাবি। তাঁরা বলছেন, তাঁদের বাড়িতে একজনই ঢুকে হামলা করেছিল। কিন্তু পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছে, ছবি দেখে সেই ব্যক্তি ‘হামলাকারী নন’ বলে ভুক্তভোগীরা শনাক্ত করার পরও তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
০৬ জানুয়ারি ২০২৫
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৬ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
১৬ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
১৯ মিনিট আগে