কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে মীর মোহাম্মদ মিলন নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।
মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন উভয় পক্ষের ১৫ জন।
নিহত মীর মোহাম্মদ মিলন (৫০) উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের পূর্ব ছয়সূতী গ্রামের হাজী জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছয়সূতী বাজারের জুতা ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য। ছয়সূতী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, এজাহারভুক্ত আসামি ছয়সূতী গ্রামের মরহুম সৈয়দ মঞ্জুরুল হামিদের ছেলে সৈয়দ ফয়জুল আল আমিন (৪৮), সৈয়দ ফয়জুল মুরসালিন (৪৪), মো. ছেনু মিয়ার ছেলে মো. রাজু মিয়া (২৪), মো. হানিফ মিয়ার ছেলে মো. শাহিদ মিয়া ওরফে শহিদ (২৩), রঙ্গু ভূইয়ার ছেলে আমির মিয়া (৪০), খুর্শিদ খানের ছেলে চান মিয়া (৪০), ছোট ছয়সূতী গ্রামের শুক্কর আলীর ছেলে শফিকুল মিয়া (৪০), সন্দিগ্ধ ছয়সূতী প্রতাপনাথ বাজারের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. তুষার মিয়া (১৮) ও ছোট ছয়সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. রকি মিয়া (২০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছয়সূতী ইউনিয়নে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে জশনে জুলুস ও মাহফিল আয়োজনের কথা ছিল। অপরদিকে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকেও একটি মাহফিলের আয়োজনের কথা ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত রোববার দুই পক্ষের অনুষ্ঠানই বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে পরে পৃথক সময়ে দুই পক্ষকেই অনুমতি দেওয়া হয়।
গতকাল সকালে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে জশনে জুলুস বের হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন মিছিলটি ছয়সুতি বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। কিন্তু মিছিলটি ছয়সুতি বাজারে এলে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে বাধে।
সংঘর্ষের সময় ছয়সুতি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং মাজার, ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মীর মিলন নামে একজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী উলামা পরিষদ নেতা মাওলানা তানভীর আহমেদ বলেন, হামলার সময় মসজিদ সংলগ্ন খাদেমুল ইসলাম হোসাইনিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে মসজিদের মাইকে স্থানীয়দের কাছে সহায়তা চায়। একপর্যায়ে সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পিছু হটে। পরে উলামাদের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে ছয়সুতী গাউছিয়া দরবার শরীফ ও বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এদিকে ঘটনার পর বেলা ২টার দিকে ছয়সূতী খাদেমুল ইসলাম হোসাইনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা চত্বরে উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জামিয়া নূরুল উলুম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি নাছির উদ্দিন রহমানিয়া বলেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। বেলা ১১টায় বেদাতিরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মসজিদে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বাজারের একজন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।’ প্রশাসনের এত নজরধারীর পরও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিলেও পরে তা করেনি ইমাম উলামা পরিষদ।
ছয়সূতী গাউছিয়া দরবার শরীফের পীর মরহুম শাহ সুফী সৈয়দ মঞ্জুরুল হামিদের বড় ছেলে সৈয়দ ফয়জুল আল আমিন বলেন, ‘আমাদের এখানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী আসার কথা ছিল। মাহফিল বন্ধ করা হলেও প্রশাসনের রোডম্যাপ অনুযায়ী জশনে জুলুসের মিছিল করার অনুমতি ছিল। কিন্তু আমাদের মিছিলের কিছু লোক রোডম্যাপের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমাদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। মাজার ভাঙচুরসহ আরও ১০টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।’ তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবি করেন।
নিহতের ভাই আলফাজ ও ছোট বোন আছমা আক্তার বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষ ফেরাতে গেলে মীর মোহাম্মদ মিলন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের লোকজনের মাধ্যমে হামলার শিকার হয়। তাঁরাই ভাইকে পিটিয়ে মেরেছেন বলে দাবি তাঁদের।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ইমাম ওলামাদের মাহফিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয় বেলা ১টার পর। কিন্তু আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ২০-২৫ জনের একটা ছোট দল মসজিদের সামনে দিয়ে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থল ও আশপাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, আজ মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলা করার সময় নিহতের ছেলে ও শ্যালক উপস্থিত ছিল। নিহতের পরিবারের সম্মতিতেই আবু হানিফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আয়োজিত জশনে জুলুসকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে মীর মোহাম্মদ মিলন নামের এক ব্যক্তি নিহতের ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে এ মামলা করেছে।
মামলায় নয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে গতকাল সোমবার দুপুরে কুলিয়ারচর উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন উভয় পক্ষের ১৫ জন।
নিহত মীর মোহাম্মদ মিলন (৫০) উপজেলার ছয়সূতী ইউনিয়নের পূর্ব ছয়সূতী গ্রামের হাজী জমির উদ্দিনের ছেলে। তিনি ছয়সূতী বাজারের জুতা ব্যবসায়ী এবং স্থানীয় ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি ও উপজেলা বিএনপির সদস্য। ছয়সূতী ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ কমিটির সদস্যও ছিলেন তিনি।
মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন, এজাহারভুক্ত আসামি ছয়সূতী গ্রামের মরহুম সৈয়দ মঞ্জুরুল হামিদের ছেলে সৈয়দ ফয়জুল আল আমিন (৪৮), সৈয়দ ফয়জুল মুরসালিন (৪৪), মো. ছেনু মিয়ার ছেলে মো. রাজু মিয়া (২৪), মো. হানিফ মিয়ার ছেলে মো. শাহিদ মিয়া ওরফে শহিদ (২৩), রঙ্গু ভূইয়ার ছেলে আমির মিয়া (৪০), খুর্শিদ খানের ছেলে চান মিয়া (৪০), ছোট ছয়সূতী গ্রামের শুক্কর আলীর ছেলে শফিকুল মিয়া (৪০), সন্দিগ্ধ ছয়সূতী প্রতাপনাথ বাজারের মো. সিদ্দিক মিয়ার ছেলে মো. তুষার মিয়া (১৮) ও ছোট ছয়সূতী পূর্বপাড়া গ্রামের মো. রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে মো. রকি মিয়া (২০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ছয়সূতী ইউনিয়নে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে জশনে জুলুস ও মাহফিল আয়োজনের কথা ছিল। অপরদিকে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকেও একটি মাহফিলের আয়োজনের কথা ছিল। দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত রোববার দুই পক্ষের অনুষ্ঠানই বন্ধ রাখতে বলা হয়। তবে পরে পৃথক সময়ে দুই পক্ষকেই অনুমতি দেওয়া হয়।
গতকাল সকালে আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের পক্ষ থেকে জশনে জুলুস বের হয়। তবে উপজেলা প্রশাসন মিছিলটি ছয়সুতি বাজারে প্রবেশ করতে নিষেধ করে। কিন্তু মিছিলটি ছয়সুতি বাজারে এলে ইমাম ওলামা পরিষদের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়া হয়। এতে দুই পক্ষের মাঝে সংঘর্ষে বাধে।
সংঘর্ষের সময় ছয়সুতি ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে এবং মাজার, ঘরবাড়িও ভাঙচুর করা হয়। সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় বাজিতপুরের জহিরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে মীর মিলন নামে একজনের মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও উপজেলা প্রশাসনের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
প্রত্যক্ষদর্শী উলামা পরিষদ নেতা মাওলানা তানভীর আহমেদ বলেন, হামলার সময় মসজিদ সংলগ্ন খাদেমুল ইসলাম হোসাইনিয়া মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়লে মসজিদের মাইকে স্থানীয়দের কাছে সহায়তা চায়। একপর্যায়ে সর্বস্তরের মানুষ এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা পিছু হটে। পরে উলামাদের সমর্থকেরা মিছিল নিয়ে ছয়সুতী গাউছিয়া দরবার শরীফ ও বাড়িঘরে হামলা চালায়।
এদিকে ঘটনার পর বেলা ২টার দিকে ছয়সূতী খাদেমুল ইসলাম হোসাইনিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা চত্বরে উপজেলা ইমাম উলামা পরিষদের পক্ষ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে।
সংবাদ সম্মেলনে জামিয়া নূরুল উলুম কুলিয়ারচর মাদ্রাসার প্রধান মুফতি নাছির উদ্দিন রহমানিয়া বলেন, ‘প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা সিরাতুন্নবী মাহফিল বন্ধ রাখি। বেলা ১১টায় বেদাতিরা পরিকল্পিতভাবে আমাদের মসজিদে হামলা চালায়। এ ঘটনায় বাজারের একজন ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন।’ প্রশাসনের এত নজরধারীর পরও এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি একটি ন্যক্কারজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি এর বিচার দাবি করেন।
এদিকে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ছয়সূতী বাসস্ট্যান্ডে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল করার ঘোষণা দিলেও পরে তা করেনি ইমাম উলামা পরিষদ।
ছয়সূতী গাউছিয়া দরবার শরীফের পীর মরহুম শাহ সুফী সৈয়দ মঞ্জুরুল হামিদের বড় ছেলে সৈয়দ ফয়জুল আল আমিন বলেন, ‘আমাদের এখানে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে গিয়াস উদ্দিন আত্ব-তাহেরী আসার কথা ছিল। মাহফিল বন্ধ করা হলেও প্রশাসনের রোডম্যাপ অনুযায়ী জশনে জুলুসের মিছিল করার অনুমতি ছিল। কিন্তু আমাদের মিছিলের কিছু লোক রোডম্যাপের বাইরে চলে গিয়েছিল। আমাদের ওপর তারা হামলা চালিয়েছে। মাজার ভাঙচুরসহ আরও ১০টি বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করেছে।’ তিনি সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবি করেন।
নিহতের ভাই আলফাজ ও ছোট বোন আছমা আক্তার বলেন, দুপক্ষের সংঘর্ষ ফেরাতে গেলে মীর মোহাম্মদ মিলন আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের লোকজনের মাধ্যমে হামলার শিকার হয়। তাঁরাই ভাইকে পিটিয়ে মেরেছেন বলে দাবি তাঁদের।
কুলিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাবিহা ফাতেমাতুজ-জোহরা বলেন, সকাল থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে মিছিলের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। অপরদিকে ইমাম ওলামাদের মাহফিলের জন্য অনুমতি দেওয়া হয় বেলা ১টার পর। কিন্তু আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের ২০-২৫ জনের একটা ছোট দল মসজিদের সামনে দিয়ে গেলে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনাস্থল ও আশপাশে পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে।
কুলিয়ারচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সারোয়ার জাহান বলেন, আজ মঙ্গলবার ইমাম উলামা পরিষদের নেতা ও ছয়সূতী জামে মসজিদের খতিব আবু হানিফ বাদী হয়ে ৬৮ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। মামলায় ২০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। মামলা করার সময় নিহতের ছেলে ও শ্যালক উপস্থিত ছিল। নিহতের পরিবারের সম্মতিতেই আবু হানিফ বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন বলে জানিয়েছেন ওসি।
রাজধানীর জুরাইনে সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করে রাখা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ ঘটনায় বেলা পৌনে ১২টা থেকে ঢাকা-পদ্মা সেতু রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল। পরে চালকেরা অবরোধ তুলে নিলে ৩ ঘণ্টা পর বেলা ৩টার দিকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১০ মিনিট আগেপ্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, সংস্কৃতির নতুন রূপ হচ্ছে সিনেমা, যা সমাজ পরিবর্তনে ভূমিকা রেখে চলেছে। সিনেমার মাধ্যমে একটি জাতিকে উজ্জীবিত করা যায়। তাই ভালো সিনেমা বিনির্মাণের বিকল্প নেই।
২২ মিনিট আগেচট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শাহ আমানত সেতুর টোলবক্সের সঙ্গে ধাক্কা লেগে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে পড়ে। এতে বাসটির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে গেছে।
৪২ মিনিট আগেআহত শিক্ষার্থী সোহেলুল হক বলেন, “আমরা গিয়ে বলেছিলাম স্যার আমাদের জীবনটা বাঁচান স্যার। তিন বছরেও আপনি কিছু করতে পারেননি। আমরা এনওসি এনেছি। আপনি সাইন করে দেন। এনওসিতে লেখা ছিল, ‘আমরা যেহেতু ওদের নিবন্ধনের ব্যবস্থা করতে পারছি না। অন্য কোথাও পড়াশোনা করলে আমাদের আপত্তি নেই।’ এই এনওসিতে তিনি...
১ ঘণ্টা আগে