ইসির অগাধ ক্ষমতা থাকলেও প্রয়োগে সমস্যা ছিল: বদিউল আলম মজুমদার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২৪, ১৮: ৪৩
ড. বদিউল আলম মজুমদার। ফাইল ছবি

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অগাধ ক্ষমতা থাকলেও বিগত সময়ে তা প্রয়োগে সমস্যা ছিল। এই সমস্যাটা দুরীভূত করতে হবে বলে মনে করেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। আজ বুধবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

ড. বদিউল আলম বলেন, উনারা (ইসি কর্মকর্তা) অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। কী বিষয়ে আমাদের মনোযোগ দেওয়া দরকার এবং অগ্রাধিকার দেওয়া দরকার, সে মতামত নিয়েছি। সুস্পষ্ট বিষয়ে তারা লিখিত দেবেন যে ব্যাপারে আমাদের প্রশ্ন ছিল। আলোচনা ফলপ্রসু হয়েছে।

নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়া, পদ্ধতি সম্পর্কে ইসি কর্মকর্তাদের অগাধ অভিজ্ঞতা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের আইন-কানুন, বিধি-বিধানকে আরও শক্তিশালী এবং কার্যকর করা দরকার। কমিশনের ক্ষমতা এবং কার্যকারিতা কীভাবে বাড়ানো যায়, সেগুলোর ব্যাপারে অভিজ্ঞতার আলোকে তাদের পরামর্শ ছিল। মাঠ প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ যারাই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করে তারা যেন আরও সঠিক়ভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারে সেসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের আইন কানুন বিধি বিধানের কিছু সীমাবদ্ধতা আছে, সেগুলো দূরীভূত করা দরকার। কিন্তু সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো প্রয়োগ। নির্বাচন কমিশনকে সংবিধান ও আদালতের মাধ্যমে অগাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। আপিল বিভাগের একটা রায়ে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের অন্তর্নিহীত ক্ষমতা আছে। সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের খাতিরে তারা বিধি বিধানের সঙ্গে সংযোজনও করতে পারে। অগাধ ক্ষমতা দেওয়া ছিল। ক্ষমতা প্রয়োগের সমস্যা ছিল। এই সমস্যাটা দুরীভূত করতে হবে।

এ সময় ইসি সচিব শফিউল আজিম বলেন, আমাদের অঙ্গিকার, সংবিধানেরও অঙ্গিকার হলো গণপ্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা। সেটি নিশ্চিত করার জন্য সংবিধানই দায়িত্ব দিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। এখানে অনেকগুলো ভালো জিনিস আছে। কিন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে দুর্বলতা আছে, আমরা সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করেছি।

তিনি বলেন, হস্তক্ষেপ কোত্থেকে কীভাবে হয় এবং আইনগত কর্তৃত্বের বাইরে নির্বাচনকে কেউ কীভাবে নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করে, এগুলো নিয়ে আমরা খোলামেলা আলোচনা করেছি। যাতে সংস্কার কার্যক্রম ফলপ্রসু হয়। আলমেটলি মানুষের আশা যেটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং সর্বজন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য যা যা করা দরকার সে সমস্ত সুপারিশ আমরা করেছি।

তিনি আরও বলেন, সুনির্দিষ্টভাবে আমরা যেটা বলেছি, নির্বাচন কমিশন তো নির্বাচন একা করে না। রাষ্ট্রের সমস্ত অর্গান নির্বাচন কমিশনের অধীনে কাজ করে এবং সংবিধান ও আইনে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে। এই আইনটি যাতে পুরোপুরি প্রয়োগ করা যায়, আইনের প্রয়োগ কিন্তু পুরোপুরি হয় না।

আইনের প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যাতে নির্বাচন কমিশন, নির্বাচন কমিশনাররা, নির্বাচনি কর্মকর্তারা যেন কোনো ধরনের অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ দ্বারা যাতে বাধাগ্রস্ত না হন, অন্য কেউ যাতে এখানে হস্তক্ষেপ করতে না পারে ভবিষ্যতে আমাদের সেই সুপারিশ আছে।

ইসি সচিব বলেন, সংবিধানে নির্বাচন কমিশনকে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, সেটি কীভাবে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায় আইনের মাধ্যমে, আরেকটা হলো নির্বাচন ব্যয় ও নির্বাচনি অপরাধের বিচার যাতে আরও সুনির্দিষ্ট করা যায়। অর্থাৎ নির্বাচনের সময় কোনো কুকর্ম করে থাকলে পরবর্তীতেও যেন বিচার করা যায় সেই ক্ষমতা যেন ইসির থাকে, সেই সুপারিশও করেছি।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

টাঙ্গাইলে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার

পুলিশ ফাঁড়ি দখল করে অফিস বানিয়েছেন সন্ত্রাসী নুরু

ঢাকার রাস্তায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালকদের বিক্ষোভ, জনদুর্ভোগ চরমে

শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ সুরক্ষায় নতুন উদ্যোগ

জাতিকে ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন উপহার দিতে চাই: নতুন সিইসি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত