সরকার দাম বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছে: জোনায়েদ সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৩, ২০: ১৮

বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পর নতুন করে আরও এক দফা গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, ‘সরকার দাম বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছে।’

আজ বুধবার বিকেলে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি ও নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেলের পাঠানো যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

নেতৃবৃন্দ বলেন, সরকার প্রতি মাসে যখন খুশি তখন দাম বাড়ানোটাকে নিরঙ্কুশ করতেই মন্ত্রণালয়ের হাতে এই ক্ষমতা নিয়ে নেয়। সরাসরি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সরকার কর্তৃক গ্যাস-বিদ্যুৎসহ কৌশলগত জ্বালানি পণ্যের দাম নির্ধারণের এই প্রক্রিয়া চরম অগণতান্ত্রিক। বাস্তবে এটা আইনি প্রক্রিয়ায় লুটপাটের একটা রাস্তা মাত্র। বাংলাদেশের বর্তমান উৎপাদিত বিদ্যুতের প্রায় ৫০ শতাংশ গ্যাসের মাধ্যমে উৎপাদিত হয়ে আসছে। সুতরাং গ্যাসের দাম বাড়লে আবারও বিদ্যুতের দাম বাড়ানো অপরিহার্য হয়ে পড়বে। সুতরাং দেখা যাচ্ছে দাম বাড়ানোর খেলায় মেতে উঠেছে সরকার। 

অবিলম্বে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির ঘোষণা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, জনগণের পকেট কাটতে ও লুটপাটের টাকার জোগান দিতেই আবারও গ্যাসের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে সরকার। জনগণ ও দেশের কথা বিবেচনায় না নিয়ে কয়েক দিন আগে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। বিইআরসিকে গণশুনানির মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে গ্যাস ও বিদ্যুৎসহ জ্বালানি পণ্যের মূল্য নির্ধারণের এখতিয়ার দিলেও সেটাকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। 

শিল্প, বিদ্যুৎ ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর অর্থ হচ্ছে দেশের অর্থনীতিকে আরও ভয়াবহতার মুখে ঠেলে দেওয়া উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, মাঝারি শিল্প এবং বৃহৎ শিল্প সবখানে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ৩ গুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করা হয়েছে। আগে যা ছিল ১২ টাকার কম। এ রকম জবরদস্তি ও জবাবদিহিতা ছাড়া একটি দেশ চলতে পারে না।

শাসনতন্ত্রের পরিবর্তন না ঘটালে ফ্যাসিবাদী সরকার জনগণকে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ বিপদের মুখে ফেলবে জানিয়ে তারা বলেন, এই সরকার যত দিন ক্ষমতায় থাকবে জনগণের দুর্ভোগ ক্রমাগত বাড়তেই থাকবে। এই সরকারকে বিদায় দিয়ে মানুষের পক্ষের সরকার প্রতিষ্ঠা করা এখন প্রধান কাজ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত