বিদ্যালয় পরিবর্তন করায় শিক্ষার্থীকে মারধর শিক্ষকের

গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১১: ৪৬
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১২: ৪৪

গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল এলাকায় বিদ্যালয় পরিবর্তন করায় তৃতীয় শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে মারধর ও শ্বাসরোধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আগের বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে পুবাইল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তবে অভিযোগ দেওয়ার পর বিষয়টি আপস-মীমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম নাসির (১০)। সে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার কুতুবের পাড়া এলাকার আ. আলীমের ছেলে। গাজীপুর মহানগরীর পুবাইল থানাধীন ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কুদাব এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকে তার মা-বাবা। তার বাবা স্থানীয় পোশাক কারখানায় কাজ করেন।

অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম মামুন ভূঁইয়া (৪০)। তিনি ইউনাইটেড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। ৪০ নম্বর ওয়ার্ডের কুদাব এলাকার মতিন ভূঁইয়ার ছেলে তিনি।

থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসির গত বছর স্থানীয় ইউনাইটেড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত। চলতি বছর তাকে ক্রিয়েটিভ আইডিয়াল স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি করে পরিবার। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ক্রিয়েটিভ আইডিয়াল স্কুলে অনুষ্ঠান দেখছিল সে। এ সময় ইউনাইটেড স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষক মামুন ভূঁইয়া সেখান থেকে নাসিরকে ডেকে নিয়ে কুদাব সাকিন এলাকার ক্রিয়েটিভ আইডিয়াল স্কুলের সামনের গলিতে নিয়ে যান।

সেখানে মামুন শিশুশিক্ষার্থী নাসিরকে স্কুল পরিবর্তনের কারণ জানতে চান। একপর্যায়ে তিনি কিল-ঘুষি-লাথি মারেন এবং হত্যার উদ্দেশ্যে গলা টিপে ধরেন নাসিরের। তখন নাসির চিৎকার দিলে এলাকার লোকজন এগিয়ে আসে। তখন মামুন হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান। স্থানীয়দের সহযোগিতায় নাসির বাসায় ফিরে ঘটনাটি মা-বাবাকে জানায়।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মামুন ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা। একটি মহল ষড়যন্ত্র করে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পর শনিবার রাতেই স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির মাধ্যমে বিষয়টির আপস-মীমাংসা হয়ে গেছে। এখন আমাদের একে অন্যের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই।’

ঘটনার বিষয়ে পুবাইল থানার ওসি কামরুজ্জামান বলেন, ‘একজন শিশুছাত্রকে মারধরের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছিলাম। অভিযোগ দেওয়ার পরপরই আবার অভিযোগকারী নিজে থানায় এসে লিখিতভাবে তাঁর অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।’

এ বিষয়ে অভিযোগকারী নাজমা বেগমের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে ছাত্রের বাবা আ. আলীমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমরা অভিযোগ করার পর আপস হয়েছে। স্থানীয়ভাবে বিষয়টির মীমাংসা হওয়ায় আমাদের কোনো অভিযোগ নেই।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত