হল-মার্কের অর্থ পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো এস কে সুরকে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ৫৮
Thumbnail image
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর। ছবি সংগৃহীত

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুরকে (এস কে সুর) আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারি মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এই গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।

আজ এস কে সুরকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটের পরিদর্শক ছায়েদুর রহমান মামলার সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আবেদন করেন। সুরের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। আদালত এস কে সুরের বক্তব্য শোনেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন এবং কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

আইনজীবী না থাকায় আদালত এস কে সুরের কোনো বক্তব্য আছে কি না জানতে চাইলে তিনি আদালতকে বলেন, এ মামলার বিষয়ে কিছু জানেন না।

দুদকের উপসহকারী পরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিন উভয়েই হল-মার্ক গ্রুপের কর্মচারী ছিলেন।

তুষার আহমেদের বক্তব্য অনুসারে, তিনি হল-মার্ক গ্রুপের জিএম (কমার্শিয়াল) হিসেবে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা বেতন পেতেন এবং বেতন রেজিস্ট্রারের রেকর্ডও তা সমর্থন করে। আসলাম উদ্দিন তুষার আহমেদের আগে থেকেই হল-মার্ক গ্রুপে চাকরি করেন। অনুসন্ধানকালে গৃহীত তাঁর বক্তব্য অনুসারে তিনিও ২০১১ সালে জিএম হিসেবে পদোন্নতি পাওয়ার পর হল-মার্ক গ্রুপ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা মাসিক বেতন পেয়েছেন অল্প কিছুদিন। তার আগে তাদের বেতন ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়। হল-মার্ক গ্রুপে চাকরিকালীন ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত সময়ে তুষার আহমেদ ও আসলাম উদ্দিনের যৌথ নামে ঢাকা ব্যাংক, আসলাম উদ্দিনের একক নামে ঢাকা ব্যাংক ও তুষার আহমেদের একক নামে ঢাকা ব্যাংক প্লাটিনাম হিসাব পরিচালিত হয়েছে।

এ অবস্থায় আসামি তুষার আহমেদ, মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন, সুমন ভূঁইয়া অপরাধলব্ধ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক লেয়ারিং করেছেন। এই লেনদেনের কোনো বৈধ উৎস নেই।

এস কে সুরকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে বলা হয়েছে, মামলা তদন্তকালে দেখা যায়, এজাহারনামীয় আসামি তুষার আহমেদ, মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন ও সুমন ভূঁইয়া পরস্পর যোগসাজশে অপরাধলব্ধ ১৩ কোটি ৫০ লাখ টাকার অবৈধ উৎস গোপন করার লক্ষ্যে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে হস্তান্তর ও স্থানান্তরপূর্বক লেয়ারিং করে অর্থ পাচার করেছেন।

হল-মার্কের এই কেলেঙ্কারির সময় সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এই মামলার ঘটনা-সংক্রান্তে সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা বিশেষ প্রয়োজন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

তাই মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে মামলার ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজতি আসামি সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ (সংশোধনী/২০১৫)-এর ৪ ধারা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন।

গত ১৪ জানুয়ারি দুদকের একটি দল রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক এই ডেপুটি গভর্নরকে গ্রেপ্তার করে দুদক।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত