গোপালপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন প্রধান শিক্ষকের কাছে বিয়ের নোটিশ পাওয়া সেই সহকারী শিক্ষক। গত শুক্রবার বিয়ের আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন করেছেন তিনি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিয়ের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছেন টাঙ্গাইল গোপালপুর সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের রনি প্রতাপ পাল নামের ওই সহকারী শিক্ষক। আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বিয়ের বিষয়টি তিনিই নিশ্চিত করেছেন।
তবে বিয়ের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পালের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, কালিহাতী উপজেলার মগড়া গ্রামের সত্যপালের মেয়ে স্বর্না পালের সঙ্গে গত শুক্রবার আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। স্বর্ণা পাল স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
রনি প্রতাপ পাল গোপালপুর পৌরসভার পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন লাল পালের ছেলে। বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু থাকায় গত জুলাই মাসে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে করতে রনি প্রতাপকে নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো চাপে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করেছি। আমি সবার দোয়া চাই। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করায় কাউকে বলা হয়নি। বিয়ের অনুষ্ঠানে অবশ্যই আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দাওয়াত দেওয়া হবে।’
তবে বিয়ের বিষয়ে তিনি অবগত নন উল্লেখ করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ দিকে নিয়মবহির্ভূত বিয়ের নোটিশ দেওয়া ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি তদন্ত চলমান রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষকেরাসহ স্থানীয়রা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন রনি প্রতাপ পাল। গত ২৬ জুলাই তাঁকে নোটিশ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
নোটিশে বলা হয়, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকেরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে পাক্কা নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
নোটিশটি পাওয়ার দুই দিন পর সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাব দেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার অভিভাবকেরা আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করে না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকেরা আমাকে বিবাহ করাবেন বলে জানিয়েছেন।’
বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন প্রধান শিক্ষকের কাছে বিয়ের নোটিশ পাওয়া সেই সহকারী শিক্ষক। গত শুক্রবার বিয়ের আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন করেছেন তিনি। আগামী ১৫ ডিসেম্বর বিয়ের বাকি কাজ সম্পন্ন হবে বলেও জানিয়েছেন টাঙ্গাইল গোপালপুর সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের রনি প্রতাপ পাল নামের ওই সহকারী শিক্ষক। আজ রোববার আজকের পত্রিকাকে বিয়ের বিষয়টি তিনিই নিশ্চিত করেছেন।
তবে বিয়ের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে দাবি করেছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পালের পরিবার ও স্থানীয়রা বলছে, কালিহাতী উপজেলার মগড়া গ্রামের সত্যপালের মেয়ে স্বর্না পালের সঙ্গে গত শুক্রবার আশীর্বাদ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। স্বর্ণা পাল স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী।
রনি প্রতাপ পাল গোপালপুর পৌরসভার পালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রতন লাল পালের ছেলে। বিদ্যালয়ে সহশিক্ষা চালু থাকায় গত জুলাই মাসে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিয়ে করতে রনি প্রতাপকে নোটিশ ধরিয়ে দিয়েছিলেন প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।
সাজানপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ পাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কোনো চাপে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করেছি। আমি সবার দোয়া চাই। এখন পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ছোটখাটো অনুষ্ঠান করায় কাউকে বলা হয়নি। বিয়ের অনুষ্ঠানে অবশ্যই আমার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে দাওয়াত দেওয়া হবে।’
তবে বিয়ের বিষয়ে তিনি অবগত নন উল্লেখ করে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এ দিকে নিয়মবহির্ভূত বিয়ের নোটিশ দেওয়া ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি তদন্ত চলমান রয়েছেন। প্রধান শিক্ষকের বহিষ্কার চেয়ে ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক, সাবেক শিক্ষকেরাসহ স্থানীয়রা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে সহকারী শিক্ষক পদে ওই বিদ্যালয়ে যোগ দেন রনি প্রতাপ পাল। গত ২৬ জুলাই তাঁকে নোটিশ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
নোটিশে বলা হয়, ‘বিদ্যালয়ে যোগদানের পর আপনাকে বারবার মৌখিকভাবে তাগিদ দিয়েছি বিবাহ করার জন্য। কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয়, কয়েক বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও আপনি বিবাহ করেননি। বিদ্যালয়টিতে সহশিক্ষা চালু রয়েছে। অভিভাবকেরা অবিবাহিত শিক্ষক নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারেন। সুতরাং বিদ্যালয়ের বৃহত্তর স্বার্থে নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে বিবাহের কার্য সম্পন্ন করে কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার জন্য আপনাকে বিশেষভাবে পাক্কা নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
নোটিশটি পাওয়ার দুই দিন পর সহকারী শিক্ষক রনি প্রতাপ প্রধান শিক্ষককে লিখিত জবাব দেন। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমার অভিভাবকেরা আমার বিয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দুদের বিয়ের পাত্র-পাত্রী বাছাইয়ে গোত্র বা বর্ণের বিষয় রয়েছে। এ ছাড়া হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা শ্রাবণ থেকে কার্তিক পর্যন্ত বিয়ে করাটা শুভ মনে করে না। সুতরাং পারিবারিক ও ধর্মীয় রীতির কারণে আগামী অগ্রহায়ণ মাসে আমার অভিভাবকেরা আমাকে বিবাহ করাবেন বলে জানিয়েছেন।’
বাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
৮ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
২৬ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগেসিলেট বিভাগ, মৌলভীবাজার জেলা, কমলগঞ্জ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে