নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে চার বছর আগে হাত হারানো শিশু নাঈম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ লাখ টাকা করে ১০ বছর মেয়াদে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে কারখানার মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সঙ্গে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটির পড়ালেখার খরচ হিসাবে প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। আর এই অর্থ দিতে হবে এইচএসসি পাস করা পর্যন্ত। হাত হারানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানির পর আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এমন সিদ্ধান্ত দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। ওয়ার্কশপের মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। পরে অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ১০ বছর পর মুনাফাসহ এই টাকা শিশুটি উত্তোলন করতে পারবে। চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে ১৫ লাখ ও ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আর বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলেছেন আদালত। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাস পরপর আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
আদেশের পর আদালত ওই শিশুকে বললেন, ‘ভালো করে পড়ালেখা করবে।’ নাঈম বলল, ‘অবশ্যই।’ আদালত বললেন, ‘আমি যখন বুড়ো হয়ে যাব, এখানে থাকব না, তখন এসে দেখা করো। বলিও, পড়াশোনা করে কত দূর গিয়েছ।’
নাঈম জবাবে বলে, ‘জি।’ আদালত বলেন, ‘এসো, চকলেট নিয়ে যাও।’ এরপর শিশুটি এজলাসের কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার তার হাতে চকলেট তুলে দেন। তার আগে সকালে মা, বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে হাইকোর্টে আসে ১৩ বছর বয়সী নাঈম।
ভৈরবে ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানোর ঘটনায় ২০২০ সালে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নাঈমের বাবা কর্মহীন হয়ে পড়েন। ওই সময় বাধ্য হয়ে নাঈমকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপের কাজে দেন তার মা-বাবা।
মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাকে দিয়ে চা এনে দেওয়ার কাজ করানো হবে। তবে পরবর্তী সময় মালিক তাকে দিয়ে ড্রিল মেশিন চালানোর কাজও করান। কাজ করতে গিয়ে শিশুটির ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে তা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তাতে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।
ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে চার বছর আগে হাত হারানো শিশু নাঈম হাসানকে ৩০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। ১৫ লাখ টাকা করে ১০ বছর মেয়াদে দুটি ফিক্সড ডিপোজিট করে দিতে কারখানার মালিককে নির্দেশ দেওয়া হয়। সে সঙ্গে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া শিশুটির পড়ালেখার খরচ হিসাবে প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা করে দিতে বলা হয়েছে। আর এই অর্থ দিতে হবে এইচএসসি পাস করা পর্যন্ত। হাত হারানোর ঘটনায় ক্ষতিপূরণ চেয়ে করা রিটের শুনানির পর আজ বুধবার বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের বেঞ্চ এমন সিদ্ধান্ত দেন।
আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অনীক আর হক ও মো. বাকির উদ্দিন ভূঁইয়া। ওয়ার্কশপের মালিকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত। পরে অনীক আর হক সাংবাদিকদের বলেন, ১০ বছর পর মুনাফাসহ এই টাকা শিশুটি উত্তোলন করতে পারবে। চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে ১৫ লাখ ও ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫ লাখ টাকা দিতে হবে। আর বিষয়টি চলমান তদারকিতে থাকবে বলেছেন আদালত। নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে অগ্রগতি জানিয়ে তিন মাস পরপর আদালতে প্রতিবেদন দিতেও বলা হয়েছে।
আদেশের পর আদালত ওই শিশুকে বললেন, ‘ভালো করে পড়ালেখা করবে।’ নাঈম বলল, ‘অবশ্যই।’ আদালত বললেন, ‘আমি যখন বুড়ো হয়ে যাব, এখানে থাকব না, তখন এসে দেখা করো। বলিও, পড়াশোনা করে কত দূর গিয়েছ।’
নাঈম জবাবে বলে, ‘জি।’ আদালত বলেন, ‘এসো, চকলেট নিয়ে যাও।’ এরপর শিশুটি এজলাসের কাছে গিয়ে হাত বাড়িয়ে দিলে বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি নাইমা হায়দার তার হাতে চকলেট তুলে দেন। তার আগে সকালে মা, বাবা ও ছোট ভাইয়ের সঙ্গে হাইকোর্টে আসে ১৩ বছর বয়সী নাঈম।
ভৈরবে ওয়ার্কশপে কাজ করতে গিয়ে হাত হারানোর ঘটনায় ২০২০ সালে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হলে নাঈমের বাবা কর্মহীন হয়ে পড়েন। ওই সময় বাধ্য হয়ে নাঈমকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের একটি ওয়ার্কশপের কাজে দেন তার মা-বাবা।
মালিকপক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, তাকে দিয়ে চা এনে দেওয়ার কাজ করানো হবে। তবে পরবর্তী সময় মালিক তাকে দিয়ে ড্রিল মেশিন চালানোর কাজও করান। কাজ করতে গিয়ে শিশুটির ডান হাত মেশিনে ঢুকে যায়। পরে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে কনুই থেকে তা বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে হয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে ক্ষতিপূরণ প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে শিশুটির বাবা হাইকোর্টে রিট করেন। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৭ ডিসেম্বর রুল জারি করেন হাইকোর্ট। তাতে শিশুটিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। ওই রুল নিষ্পত্তি করে রায় দেন আদালত।
বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র শ্রীপদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী বলেছেন , দীর্ঘদিন সংখ্যালঘুদের ‘ইন্ডিয়ার দালাল’ ও ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ আখ্যা দিয়ে রাজনীতি করা হয়েছে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আর জ্বালানো যাবে না।
১৮ মিনিট আগেবাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৪২ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
১ ঘণ্টা আগে