গোপালগঞ্জে পিসিআর ল্যাবে জীবাণু সংক্রমণ, পরীক্ষা বন্ধ  

প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ 
প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২১, ১১: ১৭
আপডেট : ২৬ জুলাই ২০২১, ১৩: ০৫

গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পিসিআর ল্যাবে জীবাণুর সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় বন্ধ রয়েছে করোনা পরীক্ষা। বর্তমানে ওই হাসপাতালে র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ১৩ জুলাই থেকে অদ্যাবধি হাসপাতালের একমাত্র আরটি-পিসিআর ল্যাবটি বিকল রয়েছে। ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধাপে জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু বারবার রান টেস্ট দেওয়া হলেও সন্তোষজনক কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি।

এর আগে পিসিআর ল্যাবে যেসব নমুনা পরীক্ষা করা হয়, সেখানে শনাক্তের হার ছিল ৫২ দশিমক ২ শতাংশ, যা ছিল অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এরপর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নজরে আসে।

এরপর ১৬ জুলাই ঢাকার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টারে ৯৩৬টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এর মধ্যে ২২০ জনের তালিকা পাওয়া যায়। ওই তালিকায় ৬২ জনের করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়। অর্থাৎ সংক্রমণের হার দাঁড়ায় ২৮ দশমিক ১ শতাংশে।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. এস এম সাকিবুর রহমান বলেন, মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব বিকল হওয়ার পর অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

এ পর্যন্ত ১ হাজার ৯৩১ জনের পরীক্ষা করা হয়, যেখানে ৫৩২ জনের করোনা শনাক্ত হয়। করোনা শনাক্তের হার দাঁড়ায় ২৭ দশমিক ১ শতাংশে। র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ভালো ফলাফল পাওয়া যাচ্ছে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ল্যাবরেটরি মেডিসিন অ্যান্ড রেফারেল সেন্টার ও র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের ফলাফলের মধ্যে একটি সামঞ্জস্য রয়েছে, কিন্তু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাব টেস্টের ফলাফল এবং অপর দুটি টেস্টের ফলাফলের মধ্যে ব্যবধান অনেক বেশি।

সাকিবুর রহমান আরও বলেন, তাঁদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট রয়েছে। গত ফেব্রুয়ারি-মার্চ মাসে করোনার স্বাভাবিক সময়ে গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন অফিস থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে ৪০ হাজার র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের চাহিদা দেওয়া হয়। সে অনুযায়ী ২১ হাজার ৯৫০টি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিট পাওয়া যায়।

শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. জাকির হোসেন বলেন, `আরটি-পিসিআর মেশিনে মূলত কোনো ত্রুটি নেই। ল্যাব দূষণমুক্ত রাখতে হলে মাঝেমধ্যে বিরতি দিতে হয়। এ কারণে ল্যাবটি জীবাণু দ্বারা সংক্রমিত হয়েছে। রোববার বায়ো মেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারসহ একটি টিম ল্যাবটি পরীক্ষার জন্য এসেছে। দু-এক দিনের মধ্যে আবারও করোনা পরীক্ষা শুরু করতে পারব বলে আশা করছি।'

জাকির হোসেন আরও বলেন, ল্যাব বন্ধ থাকায় পরীক্ষা থেমে নেই। এর মধ্যে ঢাকা থেকেও নমুনা পরীক্ষা করে আনা হয়েছে। এ ছাড়া র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটের মাধ্যমে পরীক্ষা অব্যাহত আছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত