কিশোরগঞ্জে ট্রাফিক পুলিশ অফিসে আগুন, গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র ভষ্ম

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
Thumbnail image
কিশোরগঞ্জ ট্রাফিক পুলিশ অফিসের আগুন ও ভেতরের গুরুত্বপূর্ণ নথি পুড়ে ছাই। ছবি আজকের পত্রিকা।

কিশোরগঞ্জ শহরের পুরোনো কোর্ট এলাকায় জেলা ট্রাফিক পুলিশ অফিসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। এ অগ্নিকাণ্ডে কিশোরগঞ্জ জেলা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ে (ট্রাফিক পুলিশ অফিস) সম্পূর্ণ স্থাপনা, অফিসে থাকা সকল নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। পরে কিশোরগঞ্জ সদরের তিনটি ইউনিটসহ মোট পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ শুক্রবার আনুমানিক ভোর ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে এবং সকাল সাড়ে ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণে আনে।

ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আগুন লাগার বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এ সময় অফিসের ভেতরে চারজন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ঘুমিয়েছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তারা অফিস থেকে দৌড়ে বের হওয়ায় প্রাণহানি ঘটেনি। তবে অগ্নিকাণ্ডে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এ দিকে নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় জেলা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় (ট্রাফিক পুলিশের) কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ট্র্যাফিক আইন লঙ্ঘনের মামলা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে কিছুদিনের জন্য বড় ধরনের অসুবিধা হবে।

এ বিষয়ে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সৈয়দ মুনিরুজ্জামান বলেন, অগ্নিকাণ্ডে তাদের অফিসের চারটি ওয়াকিটকি, অফিসে থাকা ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপির মেশিন, ১৮টি বডিঅন ক্যামেরা এবং ৪ লাখ ৭৫ হাজার পাঁচশ টাকাসহ অফিসের সকল নথিপত্র পুড়ে গেছে।

ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিসার মো. আতাউর রহমান বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডে আমাদের পুরোনো রেকর্ডের কাগজপত্র পুড়ে গেছে। তবে কি পরিমাণ নথিপত্র ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, কী কী কাগজপত্র পুড়েছে, এটা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না। কারণ নথিপত্র তো লিস্ট করা ছিল না। তদন্তের পর সঠিক পরিমাণ জানা যাবে।’

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাফিজুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘খবর পেয়ে প্রথমেই আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে করিমগঞ্জ থেকে আরও দুটি ইউনিট আনা হয়। মোট পাঁচটি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি দল কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতেও সময় লাগবে।’

এ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. মাহমুদুল ইসলাম তালুদকদারকে (পিপিএম) প্রধান করে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত