Ajker Patrika

বাঘ-হাতি রক্ষায় আন্তর্জাতিক করিডর হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৪: ০৫
বাঘ-হাতি রক্ষায় আন্তর্জাতিক করিডর হচ্ছে

সবশেষ জরিপে বাংলাদেশ এশীয় হাতির সংখ্যা ২৬৮ এবং রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা ১১৪। এসব বাঘ-হাতিসহ বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে ‘বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন করিডর’ করবে সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ফিজিবিলিটি স্টাডি অব ট্রান্সবাউন্ডারি ওয়াইল্ডলাইফ করিডর ইন চট্টগ্রাম, চিটাগাং হিলট্রাক্টস অ্যান্ড কক্সবাজার উইথ মিয়ানমার অ্যান্ড ইন্ডিয়া’ শীর্ষক সমীক্ষা প্রকল্পের ফলাফল নিয়ে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী শাহাব উদ্দিন এ কথা বলেন।

ভারত থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের কাসালং, সাঙ্গু হয়ে মিয়ানমার পর্যন্ত এশীয় হাতি ও বেঙ্গল টাইগারের জন্য আন্তদেশীয় নির্বিঘ্ন চলাচলের পথ বা করিডর তৈরির সম্ভাব্যতা নিরূপণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন করিডর করা সম্ভব হলে এই তিন দেশের হাতি ও বাঘের খণ্ডিত আবাসস্থলগুলোর মধ্যে সংযোগ স্থাপিত হবে, যা এই প্রাণী দুটির প্রজনন ও বংশবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এবং একই সঙ্গে এই অঞ্চলের অন্যান্য বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। চলতি বছর জুন মাসে এ উদ্যোগের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার কার্যক্রম শুরু হয়।

বন অধিদপ্তর আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বনভূমির অভ্যন্তরে বসতি স্থাপন, বনভূমিকে কৃষিজমিতে রূপান্তর ও বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের বনভূমি সংকুচিত হচ্ছে। একই সঙ্গে বন্যপ্রাণী হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল ও চারণভূমি। ফলশ্রুতিতে মানুষ ও বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, এতে করে মানুষ ও বন্যপ্রাণী উভয়ই প্রাণ হারাচ্ছে। দ্রুত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে অচিরেই এই গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীগুলো বাংলাদেশ থেকে হারিয়ে যাবে। 
আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) ২০১৬ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে এশীয় হাতির সংখ্যা সর্বমোট প্রায় ২৬৮ এবং ২০১৮ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী বাংলাদেশে সর্বমোট বেঙ্গল টাইগারের সংখ্যা প্রায় ১১৪।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ। প্রজেক্টের সার্বিক বিষয়ে বক্তব্য দেন আইইউসিএন বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেনটেটিভ রকিবুল আমীন। কি-নোট পেপার উপস্থাপন করেন করিডর প্রজেক্টের ন্যাশনাল এক্সপার্ট এম মনিরুল এইচ খান।

কর্মশালায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞগণ প্রজেক্টের বিভিন্ন বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত