শাবিপ্রবির উপাচার্যের পদত্যাগ চাওয়া নীতিবহির্ভূত: ৩৫ উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৯: ৩৮

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদের পদত্যাগ চাওয়া নীতিবহির্ভূত বলে মনে করছে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সংগঠন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। 

সেই সঙ্গে শাবিপ্রবিতে চলমান আন্দোলন ‘দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলার একটি চক্রান্তের অংশ’ বলেও মনে করছেন তাঁরা। 

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অবস্থান জানায় সংগঠনটি। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য ড. মো. হাবিবুর রহমান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহীদুর রহমান ভুইয়া। গতকাল শনিবার (২২ জানুয়ারি) বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন তাঁরা। 

বিবৃতিতে বলা হয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে গত ২০ জানুয়ারি বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের এক জরুরি সভা ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ড. মো. হাবিবুর রহমান। সভায় ৩৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে উপাচার্যরা মতবিনিময় করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বিবৃতি অনুযায়ী, সভায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী মহিলা হলের একজন প্রাধ্যক্ষকে অপসারণের দাবিতে ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে প্রশাসনের অনভিপ্রেত ঘটনার প্রেক্ষাপটে ছাত্র-ছাত্রী, পুলিশ ও শিক্ষকদের যারা আহত হয়েছেন তাঁদের সবার প্রতি আমরা সহমর্মিতা প্রকাশ করছি। এরই মধ্যে বেগম সিরাজুন্নেছা চৌধুরী হলে একজন নতুন প্রাধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হলেও উপাচার্যসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের অবরুদ্ধ করে রাখার মাধ্যমে বর্তমানে যে জটিল পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে তা আমাদের কোনোভাবেই কাম্য নয়। নীতিবহির্ভূতভাবে ভিসির পদত্যাগের দাবিতে এখন ক্রমশ যে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হচ্ছে তা সমগ্র পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তোলার মাধ্যমে দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলার একটি চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতিভাত হচ্ছে। 

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর মধ্যকার সম্পর্কটি শ্রদ্ধা, স্নেহের ও পারস্পরিক সম্মানবোধের। সেটি যেন অক্ষুণ্ন থাকে তা আমাদের অবশ্যই বিবেচনায় নিতে হবে এবং যে কোনো সমস্যা, তা যত বড়ই হোক না কেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে অবশ্যই সমাধান করা সম্ভব বলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ মনে করে। 

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান সংকট নিয়ে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় শিক্ষক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠক শেষে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানান শিক্ষামন্ত্রী। এরই মধ্যে এক দফা আলোচনা হয়ে গেছে বলে জানা গেছে। 

এর আগে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের বৈঠকে শাবিপ্রবির উপাচার্যকে পদত্যাগে বাধ্য করা হলে একযোগে সব বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করবেন- এমন একটি খবর গণমাধ্যমে আসে। অবশ্য পরে বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদের সভাপতি ড. মো. হাবিবুর রহমান তা অস্বীকার করেন। অবশেষে বিবৃতি দিয়ে সেই বৈঠকের বিস্তারিত জানাল বিশ্ববিদ্যালয় পরিষদ। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত