ঘিওর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ ও সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের বিরুদ্ধে হাসপাতালের বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে লাখ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মানিকগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. মকছেদুল মোমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়ে আজ শনিবার পর্যন্ত চলছে এই তদন্ত কার্যক্রম। প্রাথমিকভাবে অনিয়ম ও দুর্নীতির সত্যতাও পেয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তারা।
তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন, হরিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মেহেরুবা পান্না, সিভিল সার্জন অফিসের ডা. আল আমীন ও শিবালয়ে কর্মরত আরএমও।
জানা গেছে, হাসপাতালের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পাওয়ায় শিবালয়বাসী ও বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে গত ২০ আগস্ট শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. ফজলে বারী, সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তার এবং প্রধান সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্ব পালন করবেন না— এই মর্মে অঙ্গীকার করে মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন বরাবর জনসম্মুখে প্রকাশ্যে একটি অব্যাহতিপত্র জমা দেন। এ সময় জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. মকছেদুল মোমিন তাদের মুচলেকা গ্রহণ করে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার আদেশ দেন।
কিন্তু মুচলেকা দেওয়ার কয়েক দিন পর তা প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনের নিকট গোপনে আবেদন করেন প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। এ নিয়ে জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আশরাফুজ্জামান ফরিদ স্থানীয় সাবেক এমপি সালাউদ্দিন মাহমুদ জাহিদের পিএস জুয়েল রানার বোন জামাই পরিচয়ে এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে দুর্নীতিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন। দুর্নীতির দায়ে ২০১৮ সালে শিবালয় থেকে দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়। তদবির করে তিনি মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া হাসপাতালে আসেন। সেখান থেকে পুনরায় শিবালয়ে এসে টানা প্রায় তিন বছর বিস্তর অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গত ২০ আগস্ট মুচলেকা দিয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করেন।
উপজেলার উলাইল ইউনিয়ন সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আলম জানান, প্রধান অফিস সহকারী ফরিদের নামে হাসপাতাল চত্বরে কোনো কোয়ার্টার বরাদ্দ না থাকলেও তিনি প্রভাব খাঁটিয়ে স্টাফ কোয়ার্টারে এসি (শীতাতপ) লাগিয়ে বিলাস বহুল জীবনযাপন করে আসছেন। হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন কর্মকর্তা/কর্মচারীকে বদলির ভয় দেখিয়ে অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে, বদলি ও হয়রানির ভয় দেখাত। এ ছাড়া চাকরি দেওয়ার নামে অনেকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন। এসব বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর কাছে একাধিকজন ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলেও কোনো লাভ হয়নি। দুর্নীতির টাকায় দিয়ে মানিকগঞ্জ শহরে বিলাসবহুল তিনতলা বাড়ি নির্মাণ করেছেন ফরিদ।
আরতি সাহা নামের স্বাস্থ্যের এক মাঠকর্মী বলেন, ‘প্রত্যেক বছরে প্রায় ১১ হাজার টাকার ওপরে আমাদের একটা বিল পাই আর সেই বিলটা করেন অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদ। গত ঈদে আমাদের সেই বিল দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আমাদের মাত্র ৩ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকিটা আর দেয় নাই।’
হাসপাতালের যক্ষ্মা বিভাগের কর্মী তাসলিমা খানম বলেন, ‘ফরিদের বিরুদ্ধে কোনো কথা বলা যায় না। আর যারা কথা বলে, তাঁদের হাসপাতালের ভেতরের ও বাইরের লোকজনকে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করে। এমনকি হাসপাতালের নারীদের কুরুচিপূর্ণ ভাষায় কথা বলে।’
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক তদন্ত কমিটিকে সাক্ষ্য দেওয়া একাধিক শিক্ষার্থী জানান, হাসপাতালের প্রধান অফিস সহকারী আশরাফুজ্জামান ফরিদের অনিয়ম ও দুর্নীতিকে ধামাচাপা দিতে গোপনে টাকা পয়সার মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় তদবির শুরু করেছেন। এমনকি যাদের সামনে অব্যাহতিপত্র জমা দিয়েছেন, তাদের অনেককে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করেছেন।
এদিকে গত শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ফরিদের বিরুদ্ধে আরও কয়েকটি অভিযোগ তদন্ত কমিটির সদস্যদের নিকট তুলে ধরা হয়েছে। অভিযোগের মধ্যে, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারীর যোগসাজশে ২০২২-২৩ অর্থ বছরের এমএইচভিদের বেতন থেকে তিন লাখ টাকা, জিপ গাড়ির জ্বালানি বাবদ দুই বছরে লক্ষাধিক টাকা, হাসপাতাল পরিষ্কার বাবদ গত দুই বছরে দুই লাখ টাকা, উপজেলার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো থেকে বিভিন্ন বরাদ্দে তিন লাখ টাকা, এমএসআর টেন্ডার বাবদ বিশ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ।
এ বিষয়ে আশরাফুজ্জামান ফরিদ জানান, ‘আমি নির্দেশ পালন করেছি মাত্র। এগুলোর সঙ্গে আমি জড়িত না। সব করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে স্যার। আপনি চাইলে আমি স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের তথ্য দিতে পারব।’
তবে সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনা আক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পর তিনি ফোন কেটে দেন। তাই তার মন্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
তবে অব্যাহতি নেওয়া শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ফজলে বারী বলেন, ‘আমরা তিনজন জেনে বুঝে সকলের সামনে অব্যাহতিপত্র লিখেছি এবং শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে অব্যাহতি নিয়েছি।’
তদন্ত কমিটির সভাপতি ডা. মেহেরুবা পান্না বলেন, তদন্ত অনুসন্ধানে ছাত্র-জনতার পক্ষ থেকে ১০ জন ও হাসপাতালের ৮ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। আর কিছু কাজ বাকি আছে। সিভিল সার্জন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন যথাসময়ে (কয়েক দিনের মধ্যে) জমা দেওয়া হবে।
নাম-পদবি প্রকাশ না করার শর্তে তদন্ত কমিটির এক সদস্য জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত কমিটির সভাপতির মাধ্যমে তদন্ত প্রতিবেদন সিভিল সার্জন বরাবর প্রেরণ করা হবে।
এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. মো. মোকছেদুল মোমিন জানান, তাদের মুচলেকাপত্র পাওয়ার পর তাৎক্ষণিকভাবে লিখিত আকারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তবে মুচলেকার কিছুদিন পর অভিযুক্ত ব্যক্তি মুচলেকাপত্রে আপত্তি দেওয়ার কারণে নিয়ম অনুযায়ী তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
৭ মিনিট আগেরংপুর বিভাগীয় সনাতনী সমাবেশস্থল পরিবর্তন করা হয়েছে। রংপুর জেলা স্কুল মাঠে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে শহর থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে মাহীগঞ্জ কলেজ মাঠে আয়োজন করা হচ্ছে...
২২ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাজশাহীর অন্যতম ‘সমন্বয়ক’ সোহেল রানাকে ‘ভুয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে ছাত্রদল। আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় নগরের একটি রেস্তোরাঁয় সংবাদ সম্মেলন করে সোহেল রানাকে হাতুড়িপেটার অভিযোগও অস্বীকার করেছে রাজশাহী নগর ছাত্রদল...
২৬ মিনিট আগেদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক কোটি ৮০ লাখ মানুষের অনুসমর্থনের ভিত্তিতে একটি বিশেষ আইন প্রণয়নের জন্য গত ৪ বছর ধরে আমাদের এই সংগঠন কাজ করছে। গত ১৮ আগস্ট শাহবাগ চত্বরে এক সংহতি সমাবেশের মাধ্যমে আমরা প্রধান উপদেষ্টা বরাবর...
৩৫ মিনিট আগে