নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নাচ-গান ও আলোচনা সভা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সারা দিন নানা আয়োজনে অংশ নেয় দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক, কবি-সাহিত্যিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচির শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যার পরে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান এবং এর সঙ্গেই শেষ হয় বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের আয়োজন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুন নূর তুষার। এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশে ছিল বাংলার ঢাক, চাকমা নৃত্য, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় পাখি দোয়েল, ভরত নাট্যম, বই শুধু বই, বাদ্যযন্ত্রীর দল, জনপ্রিয় চরিত্র, মণিপুরী ন্ত্যৃ, মুক্তিযুদ্ধ, মাছ ধরার দল, বিয়ের দল, সাপুড়ে নৃত্য, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মারমা নৃত্য, লাঠি খেলা, বাংলার ঢাক, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, পতাকাবাহী দল ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। এরপর শুরু হয় আপ্যায়ন পর্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনায় শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ মানুষ তৈরির অগ্রসেনানী। স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা তার আছে। এ জন্য তাকে অভিনন্দন। তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আজ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে জাগ্রত করছে। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
ছড়াকার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছি। ৪৫ বছর পূর্তির পুরো অনুষ্ঠানটি আমার জন্য এক আনন্দ আয়োজন। একদিকে কেন্দ্রের জন্মদিনের আনন্দ অন্যদিকে কেন্দ্র এখন বিশাল কলেবরে তার যাত্রা শুরু করেছে। বিশাল ভবনে কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে।’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৫ বছরে বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্রোতের বিপরীতে গিয়েও যে কিছু একটা করা যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রাস্তায় রাস্তায় বইয়ের লাইব্রেরি ছুটে বেড়ানোর বিষয়টি একসময় অকল্পনীয় ছিল। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ৪০ বছর পর সমগ্র বাংলাদেশেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলো ছড়িয়ে পড়বে।
নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টতা অনেক দিনের। বিগত ৪৫ বছরের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্যারের (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) সঙ্গে শুরু থেকেই আছি। ইন্দিরা রোড থেকে শুরু করে বর্তমান নতুন ভবন সবখানেই স্যারকে সঙ্গ দিয়েছি আমরা। একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সাহস দিয়ে স্যার দেখিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকেও বড় কিছু করা যায়।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুইয়া, ট্রাস্টি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম, ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, ট্রাস্টি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী, চ্যানেল আই পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক আনিসুল হক, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাবেক ট্রাস্টি শাহ আলম সারওয়ার এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ আরও অনেকেই।
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, নাচ-গান ও আলোচনা সভা আর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহাসমারোহে পালিত হয়েছে বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের ৪৫ বছর পূর্তি উৎসব।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে শোভাযাত্রার মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর সারা দিন নানা আয়োজনে অংশ নেয় দেশবরেণ্য শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক, কবি-সাহিত্যিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বগণ ও বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের বিভিন্ন কর্মসূচির শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্টরা। সন্ধ্যার পরে শুরু হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ১০টা পর্যন্ত চলে এই অনুষ্ঠান এবং এর সঙ্গেই শেষ হয় বর্ষপূর্তি উদ্যাপনের আয়োজন।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আব্দুন নূর তুষার। এই অনুষ্ঠানের বিভিন্ন অংশে ছিল বাংলার ঢাক, চাকমা নৃত্য, জাতীয় ফুল শাপলা, জাতীয় পাখি দোয়েল, ভরত নাট্যম, বই শুধু বই, বাদ্যযন্ত্রীর দল, জনপ্রিয় চরিত্র, মণিপুরী ন্ত্যৃ, মুক্তিযুদ্ধ, মাছ ধরার দল, বিয়ের দল, সাপুড়ে নৃত্য, রয়েল বেঙ্গল টাইগার, মারমা নৃত্য, লাঠি খেলা, বাংলার ঢাক, সহযোগী প্রতিষ্ঠান, পতাকাবাহী দল ও ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি। এরপর শুরু হয় আপ্যায়ন পর্ব।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আলোচনায় শিক্ষাবিদ ও কথা সাহিত্যিক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ মানুষ তৈরির অগ্রসেনানী। স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ দেখার ক্ষমতা তার আছে। এ জন্য তাকে অভিনন্দন। তার প্রতিষ্ঠিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র আজ দেশের লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে জাগ্রত করছে। এই প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের তীর্থকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
সাবেক সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ বড় স্বপ্ন দেখেছিলেন আজ সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হয়েছে। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যারা জড়িত ছিলেন তাদের সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।
ছড়াকার আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংগঠক হিসেবে কাজ করেছি। ৪৫ বছর পূর্তির পুরো অনুষ্ঠানটি আমার জন্য এক আনন্দ আয়োজন। একদিকে কেন্দ্রের জন্মদিনের আনন্দ অন্যদিকে কেন্দ্র এখন বিশাল কলেবরে তার যাত্রা শুরু করেছে। বিশাল ভবনে কেন্দ্রের কার্যক্রম চলছে। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এখান থেকে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হবে।’
বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সকলকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ৪৫ বছরে বিস্ময়কর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। স্রোতের বিপরীতে গিয়েও যে কিছু একটা করা যায় বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ। রাস্তায় রাস্তায় বইয়ের লাইব্রেরি ছুটে বেড়ানোর বিষয়টি একসময় অকল্পনীয় ছিল। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ৪০ বছর পর সমগ্র বাংলাদেশেই বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের আলো ছড়িয়ে পড়বে।
নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ বলেন, ‘বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্টতা অনেক দিনের। বিগত ৪৫ বছরের স্মৃতি রোমন্থন করতে গিয়ে তিনি বলেন, স্যারের (আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ) সঙ্গে শুরু থেকেই আছি। ইন্দিরা রোড থেকে শুরু করে বর্তমান নতুন ভবন সবখানেই স্যারকে সঙ্গ দিয়েছি আমরা। একাগ্রতা, নিষ্ঠা ও সাহস দিয়ে স্যার দেখিয়ে দিয়েছেন রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকেও বড় কিছু করা যায়।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন—বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সাবেক ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব খোন্দকার মো. আসাদুজ্জামান, ট্রাস্টি ও সাবেক সচিব আমিনুল ইসলাম ভুইয়া, ট্রাস্টি ও সাবেক সিনিয়র সচিব মো. আবদুস সামাদ, ট্রাস্টি ইফতেখারুল ইসলাম, ট্রাস্টি পারভীন মাহমুদ, ট্রাস্টি সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ আলী নকী, চ্যানেল আই পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শাইখ সিরাজ, কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, কথা সাহিত্যিক ও দৈনিক প্রথম আলোর উপ-সম্পাদক আনিসুল হক, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিকাশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কামাল কাদির, আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সাবেক ট্রাস্টি শাহ আলম সারওয়ার এবং বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আবু সায়ীদসহ আরও অনেকেই।
সম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
৫ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
১২ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
১৫ মিনিট আগেচাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সন্দেহে ৯ কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৯ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন।
১৯ মিনিট আগে