গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটি পাওনার দাবিতে একাধিক কারখানার শ্রমিকেরা কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে মহানগরীর কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল সোমবার ভোরে একটি কারখানার শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি শুরু করলেও আজ মঙ্গলবার আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় কেয়া গ্রুপের একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গতকাল সোমবার কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু আজ কেয়া গ্রুপের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, দুই বছরের ছুটির টাকা ও ঈদ বোনাস এখনো পাননি শ্রমিকেরা। এ কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পরে কিছু শ্রমিককে শুধু ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় অন্য শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কারখানার সামনে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বলেন, গতকাল সোমবার আন্দোলনের মুখে বিকেলে শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। এর পরও তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যান। ইফতারের পর স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের শ্রমিকেরা যোগ দিয়ে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। রাত ১১টার দিকে রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। কিন্তু মূল ফটকে নাইট শিফটের শ্রমিকেরা অবস্থান নেন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সকালের শিফটের শ্রমিকেরা এসে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, গত দুই বছরের ছুটির টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে হবে।
শ্রমিকেরা আরও বলছেন, ‘স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে, আমরা কী অপরাধ করেছি? আমাদের কেন বেতন-বোনাস দিচ্ছে না? বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের কিছু শ্রমিককে ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। তাঁদের বকেয়া বেতন ও অর্জিত ছুটির পাওনা দেওয়া হয়নি। এ কারণে কেয়া গ্রুপের সব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড ছাড়াও কেয়া স্পিনিং মিলস, কেয়া কটন, কেয়া ইয়ার্ন মিলস, কেয়া ডাইং অ্যান্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকস কারখানার শ্রমিকেরাও একই দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেয়া গ্রুপের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা বেতন, ছুটির টাকা ও বোনাসের দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। অধিকাংশ শ্রমিক কারখানার ভেতরে কাজ বন্ধ করে বসে আছেন। কিছু শ্রমিক কারখানার বাইরে অবস্থান করছেন। মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, হয়তো মালিকপক্ষ আগামী ৭ তারিখের দিকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। তিনি কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রমিকেরা তাঁর কথা শোনার পর শান্তভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন। পরে তিনি মালিকপক্ষকেও শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শ্রমিকদের দাবিটি ন্যায্য ও যৌক্তিক। তাঁরা বেতন, অর্জিত ছুটির টাকা ও বোনাস পাচ্ছেন না। এগুলো দ্রুত পরিশোধ করা উচিত। শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তবে কারখানার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেও ব্যস্ততা দেখিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। বলেন, ‘পরে কথা বলছি।’
গাজীপুরে বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটি পাওনার দাবিতে একাধিক কারখানার শ্রমিকেরা কারখানার সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন। আজ মঙ্গলবার ভোর থেকে মহানগরীর কোনাবাড়ী জরুন এলাকায় শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি পালন করছেন। গতকাল সোমবার ভোরে একটি কারখানার শ্রমিকেরা এই কর্মসূচি শুরু করলেও আজ মঙ্গলবার আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন।
স্থানীয়রা জানায়, গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ী থানার জরুন এলাকায় কেয়া গ্রুপের একাধিক শিল্পপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। গতকাল সোমবার কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির পাওনা টাকার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। কিন্তু আজ কেয়া গ্রুপের আরও কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের বকেয়া বেতন, দুই বছরের ছুটির টাকা ও ঈদ বোনাস এখনো পাননি শ্রমিকেরা। এ কারণে গতকাল সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা। পরে কিছু শ্রমিককে শুধু ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। দাবি পূরণ না হওয়ায় অন্য শ্রমিকেরা আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কারখানার সামনে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
আন্দোলনরত শ্রমিকেরা বলেন, গতকাল সোমবার আন্দোলনের মুখে বিকেলে শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। এর পরও তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যান। ইফতারের পর স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের সঙ্গে কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেডের শ্রমিকেরা যোগ দিয়ে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। রাত ১১টার দিকে রাস্তা থেকে অবরোধ তুলে নেন তাঁরা। কিন্তু মূল ফটকে নাইট শিফটের শ্রমিকেরা অবস্থান নেন। আজ মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে সকালের শিফটের শ্রমিকেরা এসে কোনাবাড়ী-কাশিমপুর আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, গত দুই বছরের ছুটির টাকা ও ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন দিতে হবে।
শ্রমিকেরা আরও বলছেন, ‘স্পিনিং মিলের শ্রমিকদের বোনাস দিয়েছে, আমরা কী অপরাধ করেছি? আমাদের কেন বেতন-বোনাস দিচ্ছে না? বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস ও বার্ষিক ছুটির টাকার দাবিতে তাঁরা আন্দোলন করছেন। এসব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শ্রমিক বলেন, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় শুধু কেয়া স্পিনিং মিলের কিছু শ্রমিককে ঈদ বোনাস দেওয়া হয়। তাঁদের বকেয়া বেতন ও অর্জিত ছুটির পাওনা দেওয়া হয়নি। এ কারণে কেয়া গ্রুপের সব কারখানার শ্রমিকেরা আন্দোলনে নেমেছেন। আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে কেয়া নিট কম্পোজিট লিমিটেড ছাড়াও কেয়া স্পিনিং মিলস, কেয়া কটন, কেয়া ইয়ার্ন মিলস, কেয়া ডাইং অ্যান্ড নিটিং এবং কেয়া কসমেটিকস কারখানার শ্রমিকেরাও একই দাবিতে আন্দোলনে অংশ নিচ্ছেন।
কোনাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম আশরাফ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, কেয়া গ্রুপের বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকেরা বেতন, ছুটির টাকা ও বোনাসের দাবিতে আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। অধিকাংশ শ্রমিক কারখানার ভেতরে কাজ বন্ধ করে বসে আছেন। কিছু শ্রমিক কারখানার বাইরে অবস্থান করছেন। মালিক ও শ্রমিক দুই পক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে। তিনি বলেন, হয়তো মালিকপক্ষ আগামী ৭ তারিখের দিকে শ্রমিকদের পাওনা পরিশোধ করতে পারে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারওয়ার আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে। তিনি কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেন। শ্রমিকেরা তাঁর কথা শোনার পর শান্তভাবে অবস্থান গ্রহণ করেন। পরে তিনি মালিকপক্ষকেও শ্রমিকদের বকেয়া পাওনা দ্রুত পরিশোধের ব্যবস্থা নেওয়ার তাগিদ দেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, শ্রমিকদের দাবিটি ন্যায্য ও যৌক্তিক। তাঁরা বেতন, অর্জিত ছুটির টাকা ও বোনাস পাচ্ছেন না। এগুলো দ্রুত পরিশোধ করা উচিত। শ্রমিকেরা কাজ বন্ধ করে সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। তবে কারখানার পরিবেশ শান্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে জানার জন্য কারখানার প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সুমন মিয়াকে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেও ব্যস্ততা দেখিয়ে কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি। বলেন, ‘পরে কথা বলছি।’
রাজধানীর পল্লবী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অপূর্ব হাসানের শতকোটি টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ার দাবি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের তথ্যমতে, এসব সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানী ঢাকায় কয়েকটি ফ্ল্যাট, প্লট...
৬ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবৈধ কারখানায় অবাধে তৈরি করা হচ্ছে সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ পলিথিন। এ ছাড়া পলিথিন কারখানা থেকে অনবরত ছড়াচ্ছে বিষাক্ত অদৃশ্য গ্যাস। এতে মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ ও জনজীবন।
৬ ঘণ্টা আগেমানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার প্রান্তিক চাষিরা ব্যাপকভাবে ঝুঁকে পড়েছেন সবুজ বিষবৃক্ষ তামাক আবাদে। বেশি ফলনের আশায় অতিমাত্রায় সার ও কীটনাশক ব্যবহার করছেন তাঁরা। ফলে মাটির উর্বরতা শক্তি নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে যত্রতত্র তামাক রোদে শুকানোর ফলে এর বিষাক্ত দুর্গন্ধে নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ।
৭ ঘণ্টা আগেশুষ্ক মৌসুমে পানিশূন্য থাকে বগুড়ার অধিকাংশ নদী। এ সময় নদীর বুকজুড়ে চাষ করা হয় বিভিন্ন ফসল। গতিপথ পরিবর্তন করতে শুরু করেছে যমুনাও। এর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য বালুচর। সেখানেও চাষ করা হচ্ছে বিভিন্ন ফসল।
৭ ঘণ্টা আগে