রেললাইনের নাট–বল্টু খোলার অভিযোগে ২ শিশু পুলিশ হেফাজতে 

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০১ জানুয়ারি ২০২৪, ১৬: ১৭

গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইনের নাট-বল্টু খোলার অভিযোগ রেললাইনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরা দুই শিশুকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। শিশুর স্বজনদের দাবি, মজা (খাবার) খাওয়ার জন্য না বুঝেই ওরা রেললাইনের নাট–বল্টু খুলে থাকতে পারে। 

আজ সোমবার বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান। তবে কয়টি নাট-বল্টু খোলা হয়েছে এ বিষয়ে কোনো তথ্য জানান তিনি। 

গত শনিবার এক শিশু ও গতকাল রোববার অপর এক শিশুকে থানা হেফাজতে নেওয়া হয়। এর আগে, গত শনিবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের খাসপাড়া এলাকার রেললাইনের নাট–বল্টু খোলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। 

আটক দুই শিশুর মধ্যে একজনের (১১) বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার বিরুনিয়া গ্রামে ও অপর শিশু (১১) শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের সাতখামাইর গ্রামের খাসপাড়া এলাকায় বাস করে। 

আটক শিশুর মা বলেন, ‘আমি মানুষের বাড়ি বাড়ি ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করি। দিন শেষে সন্ধ্যায় বাড়িতে এসে জানতে পারি আমার ছেলেকে আনসার সদস্যরা ধরে নিয়ে গেছে। এরপর জানতে পারি আমার ছেলেসহ আরেকটি ছেলে মিলে রেললাইনের নাট–বল্টু খুলছে। যার জন্য আমার ছেলেকে পুলিশে দিয়েছে।’ 

খাসপাড়ার রেললাইন এলাকাআরেক শিশুর মা বলেন, ‘আমি পোশাক কারখানায় চাকরি করার কারণে আমার ছেলে নানার বাড়ি থাকে। গত শনিবার রেললাইনের নাট–বল্টু খোলার কারণে এক শিশুকে আটক করে আনসার সদস্যরা। এরপর তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমার ছেলেকে থানায় নিয়ে যেতে বলে। এরপর স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে থানায় নিয়ে গেলে পুলিশ ছেলেকে তাদের হেফাজতে নেয়। খেলার ছলে মিঠায় মজা খেতে তারা নাট–বল্টু খুলতে পারে।’ 

বরমী ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. সুমন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘নাট–বল্টু খুলে ফেলার অভিযোগে এক শিশুকে আটক করে আনসার সদস্যরা। এরপর আটককৃত শিশুর তথ্যের ভিত্তিতে আরেক শিশুকে থানায় নিয়ে যেতে বলে পুলিশ। এরপর ওই শিশুর মা আমাকে সঙ্গে নিয়ে ছেলেকে থানায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকেও হেফাজতে নেয়।’ 

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ্ জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, আটককৃত দুই শিশুর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত