নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন অসম্পূর্ণ। এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা অস্পষ্ট। সংবাদকর্মীদের নানাভাবে বঞ্চিত ও নিগ্রহ করতে এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা ব্যবহৃত হতে পারে ৷ তাই কর্মী সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনের সংশোধন প্রয়োজন।
আজ বুধবার ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সম্পর্কিত অংশীজন সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। তাঁরা জানান, গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রয়োজন। তবে প্রস্তাবিত আইনের সংশোধন ছাড়া এই আইন পাস হয়ে গেলে তা সংবাদমাধ্যমের এগিয়ে যাওয়ার পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সভায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বিজেসির নির্বাহী মিল্টন আনোয়ার। তিনি প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন অসংগতি ও অস্পষ্টতার কথা জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মীর যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত স্থায়ী, অস্থায়ী, ফ্রিল্যান্স সব ধরনের ব্যক্তিকে এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৷
প্রস্তাবিত আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো গণমাধ্যমে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী থাকলে যাঁরা অতিরিক্ত তাঁদের ছাঁটাই করা যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত কর্মীর ব্যাখ্যা আইনের কোথাও নেই। ফলে এই বিধান চাকরির নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের মালিকপক্ষ আইনটি না করার ব্যাপারে সেতুমন্ত্রীকে বলেছেন। কিন্তু আমরা আইনটি চাই। তবে এই আইনের বেশ কিছু ধারায় সংশোধন প্রয়োজন। অন্যথায় সংবাদমাধ্যমকে দুর্বল করবে এই আইন।
বক্তারা জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইনের লক্ষ্য গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ, চাকরির শর্ত ও কর্মপরিবেশসহ গণমাধ্যমকর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে এমন কিছু ধারা রয়েছে, যার ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্নভাবে নিগ্রহের শিকার হবেন।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন যত বড় হবে, বিপদ তত বাড়বে। আইনের প্রথম ধারাতেই থাকতে হবে যে, গণমাধ্যমকর্মীরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতামুক্ত থাকবে। প্রস্তাবিত আইনে ৫৪টি ধারা রয়েছে। এটাকে ১০-১৫ ধারার মধ্যে কীভাবে আনা যায়, সেটা ভাবতে হবে।
সংলাপে বিজেসি সভাপতি মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা জানান, গণমাধ্যমের অংশীজনেরা ঐক্যবদ্ধভাবে এখনো এই আইনের বিষয়ে কোনো সংশোধনী প্রস্তাব দিতে পারেনি। অংশীজনদের বড় অংশ হচ্ছে মালিকপক্ষ। তারা এই আইন না করার ব্যাপারে অবস্থান জানিয়েছে।
বিজেসির সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনটি এখনো পাস হয়নি। প্রস্তাবের পর্যায়ে রয়েছে। এটি আইন হওয়ার পর আগামী বহু বছর আমাদের জীবন, পেশা এবং সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই এই আইনের অসংগতি এবং অসম্পূর্ণতা সম্পর্কে আমাদের এখনই কথা বলতে হবে। যেহেতু কর্মী দুর্বল হলেই মিডিয়া দুর্বল হয়। তাই দুর্বল মিডিয়া তৈরির অংশ হিসেবে এই আইনটি ব্যবহৃত হবে।
সংলাপে আরও অংশ নেন গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন অসম্পূর্ণ। এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা অস্পষ্ট। সংবাদকর্মীদের নানাভাবে বঞ্চিত ও নিগ্রহ করতে এই আইনের বেশ কয়েকটি ধারা ব্যবহৃত হতে পারে ৷ তাই কর্মী সুরক্ষা নিশ্চিত করে প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইনের সংশোধন প্রয়োজন।
আজ বুধবার ডেইলি স্টার ভবনে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত গণমাধ্যমকর্মী আইন সম্পর্কিত অংশীজন সংলাপে এসব কথা বলেন বক্তারা। তাঁরা জানান, গণমাধ্যমকর্মীদের অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিতে গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রয়োজন। তবে প্রস্তাবিত আইনের সংশোধন ছাড়া এই আইন পাস হয়ে গেলে তা সংবাদমাধ্যমের এগিয়ে যাওয়ার পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
সভায় মূল বক্তব্য তুলে ধরেন বিজেসির নির্বাহী মিল্টন আনোয়ার। তিনি প্রস্তাবিত আইনের বিভিন্ন অসংগতি ও অস্পষ্টতার কথা জানান। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে গণমাধ্যমকর্মীর যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা অসম্পূর্ণ। সাংবাদিকতার সঙ্গে জড়িত স্থায়ী, অস্থায়ী, ফ্রিল্যান্স সব ধরনের ব্যক্তিকে এই আইনে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে ৷
প্রস্তাবিত আইনের ১২ ধারায় বলা হয়েছে, কোনো গণমাধ্যমে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত কর্মী থাকলে যাঁরা অতিরিক্ত তাঁদের ছাঁটাই করা যাবে। কিন্তু অতিরিক্ত কর্মীর ব্যাখ্যা আইনের কোথাও নেই। ফলে এই বিধান চাকরির নিরাপত্তার জন্য বড় ধরনের হুমকি বলে জানান বক্তারা।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ বলেন, সংবাদমাধ্যমের মালিকপক্ষ আইনটি না করার ব্যাপারে সেতুমন্ত্রীকে বলেছেন। কিন্তু আমরা আইনটি চাই। তবে এই আইনের বেশ কিছু ধারায় সংশোধন প্রয়োজন। অন্যথায় সংবাদমাধ্যমকে দুর্বল করবে এই আইন।
বক্তারা জানান, গণমাধ্যমকর্মী আইনের লক্ষ্য গণমাধ্যমকর্মীদের কল্যাণ, চাকরির শর্ত ও কর্মপরিবেশসহ গণমাধ্যমকর্মীদের আইনি সুরক্ষা দেওয়া। কিন্তু প্রস্তাবিত আইনে এমন কিছু ধারা রয়েছে, যার ফলে গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্নভাবে নিগ্রহের শিকার হবেন।
এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল বাবু বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন যত বড় হবে, বিপদ তত বাড়বে। আইনের প্রথম ধারাতেই থাকতে হবে যে, গণমাধ্যমকর্মীরা ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের আওতামুক্ত থাকবে। প্রস্তাবিত আইনে ৫৪টি ধারা রয়েছে। এটাকে ১০-১৫ ধারার মধ্যে কীভাবে আনা যায়, সেটা ভাবতে হবে।
সংলাপে বিজেসি সভাপতি মাছরাঙা টিভির বার্তা সম্পাদক রেজওয়ানুল হক রাজা জানান, গণমাধ্যমের অংশীজনেরা ঐক্যবদ্ধভাবে এখনো এই আইনের বিষয়ে কোনো সংশোধনী প্রস্তাব দিতে পারেনি। অংশীজনদের বড় অংশ হচ্ছে মালিকপক্ষ। তারা এই আইন না করার ব্যাপারে অবস্থান জানিয়েছে।
বিজেসির সদস্যসচিব শাকিল আহমেদ বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইনটি এখনো পাস হয়নি। প্রস্তাবের পর্যায়ে রয়েছে। এটি আইন হওয়ার পর আগামী বহু বছর আমাদের জীবন, পেশা এবং সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করবে। তাই এই আইনের অসংগতি এবং অসম্পূর্ণতা সম্পর্কে আমাদের এখনই কথা বলতে হবে। যেহেতু কর্মী দুর্বল হলেই মিডিয়া দুর্বল হয়। তাই দুর্বল মিডিয়া তৈরির অংশ হিসেবে এই আইনটি ব্যবহৃত হবে।
সংলাপে আরও অংশ নেন গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত এবং সংবাদমাধ্যম সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় যাত্রীবাহী একটি বাস ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছে। নিহতেরা সম্পর্কে মামাতো-ফুপাতো ভাই। আজ রোববার সকাল সোয়া ৮ টার দিকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়কের সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বোয়ালিয়া নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ
১৪ মিনিট আগেদেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশেও খ্যাতি ছড়িয়েছিল অবিভক্ত ব্রিটিশ-ভারতে প্রতিষ্ঠিত শতবর্ষী যশোর ইনস্টিটিউট। একটা সময় যশোরের শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া জগৎ উন্নয়নে বিশেষ অবদান রাখে মাতৃস্থানীয় এ সংগঠন।
৩৪ মিনিট আগেভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের আগে পর্যন্ত রাজশাহীর সুলতানগঞ্জ ও ভারতের মুর্শিদাবাদের ময়া পর্যন্ত পদ্মা নদীতে চালু ছিল একটি নৌ-রুট। ৫৯ বছর পর নৌ প্রটোকল চুক্তির আওতায় আবার এই নৌ-রুট চালুর উদ্যোগ নেয় বিগত সরকার।
১ ঘণ্টা আগেযশোরের বেনাপোল পৌর বাস টার্মিনাল চালু করতে বেনাপোল বন্দর আন্তর্জাতিক বাস টার্মিনাল বন্ধ করে দিয়েছে পৌর কর্তৃপক্ষ। গত বৃহস্পতিবার এ সিদ্ধান্ত কার্যকরের পর গতকাল শনিবার সারা দেশ থেকে বেনাপোল রুটে বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় পরিবহন ব্যবসায়ী সমিতি।
১ ঘণ্টা আগে