কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অশান্ত হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে আন্দোলনের ডাক দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে অধ্যক্ষের দাবি, শনিবার থেকে সকল শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৩-১৪ সালে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্ররাজনীতি চালু থাকার সময় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নতুন করে কমিটি দেয় ছাত্রলীগ। সেই কমিটিতে নাহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও অনুপ কুমার রায় তপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটির নেতৃত্বে রাজনীতি ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য র্যাগিংয়ের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের একাধিক ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, এমন পরিস্থিতি জুলাই বিপ্লবের আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর আবারও নতুন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১৯ জানুয়ারি রাতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে ছাত্রদলের সমর্থকেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে শিবির ও ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫-৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে ছাত্রদল কর্মী এ আর রহমান আরাত গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনার পর সহিংসতার আশঙ্কায় ক্লাস বর্জন করতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রাফিউল ইসলাম সাকিব বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ১৯ জানুয়ারি রাতে হোস্টেলের একটি কক্ষে আমরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিবিরের মুখোশধারী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় দুষ্কৃতকারী আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৪ নেতা-কর্মী আহত হয়। এর মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য তিনজন জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তবে, এ ঘটনার সত্যতাকে আড়াল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন মানববন্ধন করে তাদের ওপর হামলা চালানোর মিথ্যা নাটক সাজায়।’
অপর দিকে, মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকারীদের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শিবিরের পরিচয় বহনকারী নাজমুল বাশার নাঈমের বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে রং নম্বর বলে কেটে দেন। একই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ জিহানের মোবাইলে ফোন দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না, পরে কথা হবে।’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নাক-কান–গলার সহযোগী অধ্যাপক ডা. খালিদ আসাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, শনিবার থেকে সব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেবেন। আর সেভাবে ক্লাস রুটিনও ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল অশান্ত হয়ে উঠেছে। ক্যাম্পাসে রাজনীতি করার প্রতিবাদ করায় ছাত্রদলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ করে আন্দোলনের ডাক দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতিতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু এখনো ক্লাস বর্জন কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন শিক্ষার্থীদের একাংশ। তবে অধ্যক্ষের দাবি, শনিবার থেকে সকল শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেবেন।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিগত শেখ হাসিনা সরকারের আমলে ২০১৩-১৪ সালে কিশোরগঞ্জের শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে সক্রিয় ছাত্ররাজনীতি চালু থাকার সময় একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুটি গ্রুপের মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তখন ক্যাম্পাসকে রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। পরবর্তী সময়ে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নতুন করে কমিটি দেয় ছাত্রলীগ। সেই কমিটিতে নাহিদুল ইসলামকে সভাপতি ও অনুপ কুমার রায় তপুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। ওই কমিটির নেতৃত্বে রাজনীতি ও আধিপত্য বিস্তারের জন্য র্যাগিংয়ের নামে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন-নির্যাতনের একাধিক ঘটনা ঘটার অভিযোগ রয়েছে।
ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা জানান, এমন পরিস্থিতি জুলাই বিপ্লবের আগের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। কিন্তু জুলাই বিপ্লবের পর আবারও নতুন করে সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে ক্যাম্পাস রাজনীতিমুক্ত ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে ১৯ জানুয়ারি রাতে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মনসুর খলিল ছাত্রাবাসের একটি কক্ষে সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে ছাত্রদলের সমর্থকেরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২০ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে শিবির ও ছাত্রদল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে উভয় পক্ষের অন্তত ৫-৭ জন আহত হয়। এর মধ্যে ছাত্রদল কর্মী এ আর রহমান আরাত গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ঘটনার পর সহিংসতার আশঙ্কায় ক্লাস বর্জন করতে থাকেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা রাফিউল ইসলাম সাকিব বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে ১৯ জানুয়ারি রাতে হোস্টেলের একটি কক্ষে আমরা ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শিবিরের মুখোশধারী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কতিপয় দুষ্কৃতকারী আমাদের নেতা–কর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে আমাদের ৪ নেতা-কর্মী আহত হয়। এর মধ্যে একজন গুরুতর আহত হয়ে এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছে। অন্য তিনজন জরুরি বিভাগ থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলে কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। তবে, এ ঘটনার সত্যতাকে আড়াল করতে প্রতিপক্ষের লোকজন মানববন্ধন করে তাদের ওপর হামলা চালানোর মিথ্যা নাটক সাজায়।’
অপর দিকে, মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকারীদের মধ্যে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী শিবিরের পরিচয় বহনকারী নাজমুল বাশার নাঈমের বক্তব্য নিতে তাঁর মোবাইলে ফোন দিলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে রং নম্বর বলে কেটে দেন। একই মানববন্ধনে অংশ নেওয়া প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তাহমিদ জিহানের মোবাইলে ফোন দিয়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কিছু জানি না, পরে কথা হবে।’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল ডা. মজিবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় নাক-কান–গলার সহযোগী অধ্যাপক ডা. খালিদ আসাদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, শনিবার থেকে সব শিক্ষার্থী ক্লাসে অংশ নেবেন। আর সেভাবে ক্লাস রুটিনও ঘোষণা করা হয়েছে।
দিনাজপুরের বিরামপুরে হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছাত্রলীগের এক নেতা ও আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা হলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক (৩২) ও জোতবানী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী আওরঙ্গজেব চৌধুরী বাদশা (৫৯)। বিরামপুর থানার ওসি মমতাজুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আ
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর উত্তরার ‘মুগ্ধ মঞ্চে’ হামলা ও কালি মাখানোর প্রতিবাদে মশাল মিছিল করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। মিছিল শেষে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর ছাত্র অর্ণব কুমার সরকার (২২) সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে নগরীর শেখপাড়া তেঁতুলতলা এলাকায় এই হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত অর্ণব নগরীর বানরগাতী ইসলাম কমিশনার মোড়ের চিত্ত রঞ্জন সরকারের ছেলে। অর্ণবের নিহত হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত
২ ঘণ্টা আগেবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু হাসনাত বলেন, ‘আমাদের ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত বিপ্লব বেহাত হতে চলেছে। মীর জাফরের এক ভুলে ২০০ বছর গোলামি করতে হয়েছে। জুলাইয়ের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করলে কত বছর গোলামি করতে হবে, তা খোদা ভালো জানেন।’ সমাবেশস্থলে স্টেজে রাখা চেয়ার দেখে বক্তব্য দেওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ
৩ ঘণ্টা আগে