অপরাধী ব্যবসায়ীদের ব্যক্তি পর্যায়ে শাস্তি হবে: আসিফ মাহমুদ

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১: ২০
অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। ফাইল ছবি

অপরাধী ব্যবসায়ীদের ব্যক্তি পর্যায়ে শাস্তি হবে এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে কাজ চালিয়ে যেতে সরকার সাহায্য করছে বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।

আজ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আসিফ মাহমুদ বলেন, বড় বড় ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই মালিকের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার বা ঋণ খেলাপির অভিযোগ আছে, তাদের বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। তবে ব্যক্তির অপরাধ এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে পার্থক্য আছে। যে ব্যক্তি অপরাধ করেছে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার, সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্কের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছে তাদেরকে আমরা ট্রায়ালের আওতায় নিয়ে আসব। কিন্তু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানকে সক্রিয় রাখার জন্যে সরকার সহযোগিতা করছে। ব্যক্তির অপরাধের কারণে ব্যক্তি ট্রায়ালের শিকার হবে। তবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আমরা অভয় দিতে চাই, আপনারা আপনাদের কাজ করুন।

আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, ইতিপূর্বে সরকারগুলো সবাই করপোরেটদের হাতে জিন্মি ছিল। আমরা কোনো করপোরেটদের হাতে বন্দী নই, আমরা স্বাধীন। আমরা যে কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারি এবং নিচ্ছি। মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয় করাটা এ সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জ।

তিনি আরও বলেন, এ সরকারে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার জন্যে আমি চেষ্টা করি। টাস্কফোর্সে তরুণদের অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আমি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করেছি। ট্রাফিক পুলিশিং যারা করেছিল তাদেরকে পার্ট টাইম পুলিশে কাজ করানোর কাজ চলমান আছে, যেকোনো কাজে তরুণদের অংশগ্রহণই সরকারকে সফল করতে পারে। তরুণদের কাজ করার স্পৃহা, নির্লোভ সত্তা আমাদেরকে নতুন বাংলাদেশের দিকে ধাবিত করতে পারে।

আসিফ মাহমুদ সজীব বলেন, দ্রব্যমূল্যের ক্রমবর্ধমান বৃদ্ধি দেখতে পেয়েছিলাম, চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমরা নিয়েই কার্যক্রম শুরু করি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলায় জেলায় টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। তাদের সঙ্গে ছাত্র প্রতিনিধিরাও রয়েছেন। তার কিছু সুফল আমরা দেখেছি। গত বছর একজন ভোক্তা হিসেবে দেখেছি, যখন দামটা বাড়া শুরু করে তখন সেটা অসীম পর্যায়ে চলে যায়। কাঁচামরিচের দাম ১২০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। দাম সঠিক সময়ে এবার নিয়ন্ত্রণ করায় আর বাড়তে দেওয়া হয়নি। শীতের সবজি আসছে, দাম আরও কমে আসবে বলে আশা রাখছি।

সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম উদ্দীন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান, সাবেক অতিরিক্ত সচিব রাশেদুল হক, শ্রম ও কর্ম সংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, ভোক্তা অধিকার সংস্থার উপদেষ্টা মোস্তফা রফিকুল ইসলাম ডিউক, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী (নাসির আব্দুল্লাহ), ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা প্রমুখ।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত