Ajker Patrika

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ওসি শফিকুল গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯: ৪২
মো. শফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত
মো. শফিকুল ইসলাম। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানায় কর্মরত অবস্থায় তাঁকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গত বছরের ৫ আগস্ট গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয় হত্যা মামলার আসামি তিনি। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সোপর্দ করা হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা। তিনি বলেন, ‘ওসি শফিকুল ইসলামের নামে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা রয়েছে। এ মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ওই আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাঁকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি আমরা আজ রাতে জানতে পেরেছি।’

শফিকুল ইসলাম গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেন। এর আগে তিনি হবিগঞ্জ ডিবির ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দুই মাস আগে তাঁকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশে বদলি করা হয়।

এদিকে ওসি শফিকুল ইসলামকে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ মডেল থানায় করা একটি মামলায় ৪ নম্বর আসামি করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ১৯ আগস্ট হবিগঞ্জ জেলা শহরে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার দেড় বছর পর মামলাটি করেন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আব্দুল আউয়াল।

এ ছাড়া হবিগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) এস এম মুরাদ আলিকে প্রধান আসামি করে পুলিশের ১৮ সদস্যসহ ৭৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় ১০০-১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পুলিশের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে গুলি ছোড়েন এবং টিয়ার শেল নিক্ষেপসহ লাঠিপেটা করেন। এ সময় বিএনপির নেতা-কর্মীরা দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করলে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা তাঁদের ধাওয়া দিয়ে গ্রেপ্তার করেন। আহতদের মধ্যে অনেকে পালিয়ে গেলেও কয়েকজন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছের বাসভবনে আশ্রয় নেন। সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালান বলে অভিযোগ করা হয়।

বিএনপি নেতা এস এম আব্দুল আউয়াল মামলায় উল্লেখ করেন, ঘটনার সময় তিনি গুরুতর আহত হন এবং প্রাণনাশের আশঙ্কায় দীর্ঘদিন আইনের আশ্রয় নিতে পারেননি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় তিনি মামলাটি করেছেন। তিনি এ ঘটনায় সুবিচার দাবি করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশকে ভেঙে ফেলার আহ্বান ত্রিপুরার রাজপরিবার প্রধানের

পরিবারের সামনে পুলিশ কর্মকর্তা লাঞ্ছিত, স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩ নেতা-কর্মী আটক

নয়াদিল্লি হাসিনা আমলের দৃষ্টিভঙ্গিই ধরে রেখেছে: ভারতীয় গণমাধ্যমকে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

বিমসটেক সম্মেলনে ড. ইউনূস ও নরেন্দ্র মোদি বৈঠক হচ্ছে

গ্রেপ্তার আসামিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা, বিএনপির ১৭ নেতা-কর্মী আটক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত