হারুনূর রশিদ, রায়পুরা (নরসিংদী)
১৯ জুলাই। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেলা ৩টার দিকে বন্ধুদের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় মো. রুস্তম (১৫)। পরিবারের সদস্যরা সবাই বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফোন আসে ছেলের গুলিবিদ্ধের খবর। সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবার আহাজারি থামছেই না।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১০ শাহ আলী মার্কেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ জুলাই নিহত হন স্কুলছাত্র মো. রুস্তম। রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাঈনুদ্দিনের ছেলে সে। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে সে মেজো ছিল। বাবা দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ ঢাকার মিরপুরের একটি টেইলারিং দোকানের কর্মচারীর কাজ করে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বাস করে আসছেন। স্বপ্ন বুনা ছেলের মৃত্যুতে এখন শোকের সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার।
নরসিংদী রায়পুরার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে মা এখন পাগলপ্রায়। ছেলের স্মৃতিচারণা করে বিলাপ করে মূর্ছা যাচ্ছেন মা মাসুফিয়া।
তিনি বলছেন, ‘ছেলে আমার জুমার নামাজ শেষে বাসায় এসে খেতে বসে বন্ধুর ফোন পেয়ে বলে, ‘‘মা আমরা যদি এ যুদ্ধে না যাই দেশ স্বাধীন হবে কী করে? অধিকার আদায় করতে হবে।” এই বলে বাসা থেকে বের হয়। সে খুব মেধাবী, সাহসী, প্রতিবাদী, ভয়হীন ছিল। পরিবারের চিন্তা না করে দেশের চিন্তা করে আন্দোলনে চলে গিয়ে নির্দোষ ছেলে গুলিতে মারা গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলের অপেক্ষায় বসেছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খবর এল ছেলে গুলিবিদ্ধ। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তাকে হারিয়ে নিঃস্ব। আমার ছেলে হত্যার বিচার ও শহীদ মর্যাদা চাই।’
বোন বৃষ্টি বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই জুমার নামাজ শেষে বাসায় আসে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রুস্তম ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। পুরো এলাকায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। পুরো পরিবার তার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছিলাম, সে কখন বাসায় আসবে। হঠাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের মাধ্যমে ভাই গুলিবিদ্ধের খবর পাই। সন্ধ্যা ৭টার পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পাই গলায় গুলির ক্ষত। হাসপাতাল থেকে মৃত সার্টিফিকেটবিহীন তাকে রাতে রায়পুরার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন দাফন করি।’
বৃষ্টি আরও বলেন, ‘জানতে পারি, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে শাহ আলী প্লাজার নিচে রাস্তায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় ভাই। কয়েকজন লোক গুলিবিদ্ধ ভাইকে প্রথমে ওই খানকার আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বাবা মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘খুব কষ্ট করে ছেলেকে ঢাকার মিরপুর ২ নম্বরে ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করি। অন্যত্র কাজ করে ঋণে জর্জরিত হয়ে ছেলে–মেয়েদের পড়াশোনায় দিতে হয়েছে। তাকে ঘিরে কতই–না স্বপ্ন বুনেছি। তার কী অপরাধ ছিল যে সে গুলিতে নিহত হলো। কার কাছে চাইব বিচার? কে করবে বিচার, কে দিবে ক্ষতিপূরণ? ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না, রাষ্ট্র যদি তদন্ত করে ছেলে হত্যার বিচারটা করে, তাহলেই তার আত্মা ও আমরা শান্তি পাব।’
চাচি লায়লী বেগম বলেন, ‘রুস্তম খুব ভালো ছেলে ছিল। তাকে নিয়ে সবারই স্বপ্ন ছিল। কী থেকে কী হয়ে গেল। ছেলে শোকে মা-বাবা পাগলপ্রায়।’
চাচাতো বোন জুলেখা ও শারমিন বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ ফোনে চাচার কল আসে। চাচা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘রুস্তম আর নেই, গুলিতে নিহত। লাশ বাড়িতে নিয়ে আসতেছি।” রুস্তমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। রাত ২টার পর লাশ নিয়ে বাড়িতে এল। পরদিন শনিবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’
১৯ জুলাই। কোটা সংস্কার আন্দোলন চলাকালে বেলা ৩টার দিকে বন্ধুদের ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয় মো. রুস্তম (১৫)। পরিবারের সদস্যরা সবাই বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন। হঠাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে ফোন আসে ছেলের গুলিবিদ্ধের খবর। সন্তানকে হারিয়ে মা-বাবার আহাজারি থামছেই না।
রাজধানী ঢাকার মিরপুর ১০ শাহ আলী মার্কেটের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৯ জুলাই নিহত হন স্কুলছাত্র মো. রুস্তম। রাজধানীর মিরপুর ২ নম্বরের ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল সে।
নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মাঈনুদ্দিনের ছেলে সে। দুই ভাই এবং এক বোনের মধ্যে সে মেজো ছিল। বাবা দীর্ঘ ২৫ বছর যাবৎ ঢাকার মিরপুরের একটি টেইলারিং দোকানের কর্মচারীর কাজ করে ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে বাস করে আসছেন। স্বপ্ন বুনা ছেলের মৃত্যুতে এখন শোকের সাগরে ভাসছে পুরো পরিবার।
নরসিংদী রায়পুরার মির্জাপুর গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, ছেলেকে হারিয়ে মা এখন পাগলপ্রায়। ছেলের স্মৃতিচারণা করে বিলাপ করে মূর্ছা যাচ্ছেন মা মাসুফিয়া।
তিনি বলছেন, ‘ছেলে আমার জুমার নামাজ শেষে বাসায় এসে খেতে বসে বন্ধুর ফোন পেয়ে বলে, ‘‘মা আমরা যদি এ যুদ্ধে না যাই দেশ স্বাধীন হবে কী করে? অধিকার আদায় করতে হবে।” এই বলে বাসা থেকে বের হয়। সে খুব মেধাবী, সাহসী, প্রতিবাদী, ভয়হীন ছিল। পরিবারের চিন্তা না করে দেশের চিন্তা করে আন্দোলনে চলে গিয়ে নির্দোষ ছেলে গুলিতে মারা গেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত ছেলের অপেক্ষায় বসেছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় খবর এল ছেলে গুলিবিদ্ধ। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল। তাকে হারিয়ে নিঃস্ব। আমার ছেলে হত্যার বিচার ও শহীদ মর্যাদা চাই।’
বোন বৃষ্টি বলেন, ‘গত ১৮ জুলাই জুমার নামাজ শেষে বাসায় আসে। বেলা সাড়ে ৩টার দিকে রুস্তম ফোন পেয়ে বাসা থেকে বের হয়। পুরো এলাকায় পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। পুরো পরিবার তার অপেক্ষায় প্রহর গুনেছিলাম, সে কখন বাসায় আসবে। হঠাৎ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় সঙ্গে থাকা তার বন্ধুদের মাধ্যমে ভাই গুলিবিদ্ধের খবর পাই। সন্ধ্যা ৭টার পর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পাই গলায় গুলির ক্ষত। হাসপাতাল থেকে মৃত সার্টিফিকেটবিহীন তাকে রাতে রায়পুরার বাড়িতে নিয়ে আসে। পরদিন দাফন করি।’
বৃষ্টি আরও বলেন, ‘জানতে পারি, বিকেল ৫টা ৩৫ মিনিটে শাহ আলী প্লাজার নিচে রাস্তায় পুলিশের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয় ভাই। কয়েকজন লোক গুলিবিদ্ধ ভাইকে প্রথমে ওই খানকার আল হেলাল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে পাঠান। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ওই হাসপাতালের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
বাবা মো. মাঈনুদ্দিন বলেন, ‘খুব কষ্ট করে ছেলেকে ঢাকার মিরপুর ২ নম্বরে ন্যাশনাল বাংলা উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্তি করি। অন্যত্র কাজ করে ঋণে জর্জরিত হয়ে ছেলে–মেয়েদের পড়াশোনায় দিতে হয়েছে। তাকে ঘিরে কতই–না স্বপ্ন বুনেছি। তার কী অপরাধ ছিল যে সে গুলিতে নিহত হলো। কার কাছে চাইব বিচার? কে করবে বিচার, কে দিবে ক্ষতিপূরণ? ছেলেকে তো আর ফিরে পাব না, রাষ্ট্র যদি তদন্ত করে ছেলে হত্যার বিচারটা করে, তাহলেই তার আত্মা ও আমরা শান্তি পাব।’
চাচি লায়লী বেগম বলেন, ‘রুস্তম খুব ভালো ছেলে ছিল। তাকে নিয়ে সবারই স্বপ্ন ছিল। কী থেকে কী হয়ে গেল। ছেলে শোকে মা-বাবা পাগলপ্রায়।’
চাচাতো বোন জুলেখা ও শারমিন বলেন, ‘ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় হঠাৎ ফোনে চাচার কল আসে। চাচা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘‘রুস্তম আর নেই, গুলিতে নিহত। লাশ বাড়িতে নিয়ে আসতেছি।” রুস্তমের মৃত্যুর সংবাদ শুনে সবাই স্তব্ধ হয়ে গেলাম। রাত ২টার পর লাশ নিয়ে বাড়িতে এল। পরদিন শনিবার বেলা ১১টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। তার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নেওয়া যাচ্ছে না।’
কিশোরগঞ্জে সাবেক জেলা প্রশাসক পরিচয়ের প্রভাব খাটিয়ে ছোট ভাইকে পারিবারিক বাসাবাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং সম্পত্তি দখলের পাঁয়তারা ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার শহরের গৌরাঙ্গবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ তুলেন ছোট ভাই আ. করিম মোল্লা।
২ মিনিট আগেমানিকগঞ্জের ঘিওরে কৃষক স্বপন মিয়া হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. বিল্লাল মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ শুক্রবার ভোরে রাজধানীর হাজী ক্যাম্প রোড এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
৩ মিনিট আগেমূল সড়কে অটোরিকশা চালানোর দাবিতে রাজধানীর জুরাইন রেলগেট এলাকায় চালকেরা বিক্ষোভ করলে মারধরের শিকার হয়েছেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা তাঁদের লাঠিপেটা করে সরিয়ে দেন। আজ শুক্রবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে...
২৯ মিনিট আগেকুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় পরিবেশবান্ধব মালচিং পদ্ধতিতে সবজি চাষ বাড়ছে। বিষমুক্ত এই পদ্ধতিতে ফলন ভালো হওয়ায় লাভবান হচ্ছেন কৃষকেরা। এ ছাড়া চাষাবাদে খরচ কম লাগছে।
১ ঘণ্টা আগে