শহীদুল ইসলাম
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ফের চলছে লকডাউন। অফিস-আদালত, গণপরিবহন, দোকানপাট বন্ধ। মানুষের চলাচলের ওপর রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের বেতন আর ঈদের বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। কারও কারও চিন্তা খোদ চাকরি নিয়ে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, চলমান লকডাউনের কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। কেউ কেউ কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হবে।
মহামারীর মধ্যে যারা চাকরি হারাবে বা যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সরকারকে পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, দেশে সব মিলেয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৮১ লাখ। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সাড়ে সাত কোটি মানুষ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৩টির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা মহামারীর মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থপতি হিসেবে কাজ করেন আনোয়ার হোসেন। গতবছর টানা ৬৬ দিনের সরকারি ছুটির পর প্রতিষ্ঠান থেকে তার বেতন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। গত সাত মাস ধরে ওই বেতনে কাজ করছেন তিনি। ফের লকডাউন দেওয়ায় চলতি মাসের বেতন হবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন তিনি।
নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম না জানানোর অনুরোধ করে আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবছর তার প্রতিষ্ঠানের ২২ জনের মধ্যে ছয় জনের চাকরি চলে যায়। এবার এখনো কর্মী ছাটাই না হলেও সম্ভবত ঈদের আগে আর বেতন হবে না। কারণ অফিসের আয় যে কমে গেছে সেটা আমরাও দেখছি।
ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বিক্রির একটি চেইন-শপে কাজ করে কবির আহমেদ। গত বছর লকডাউনের কারণে দুই ঈদে বোনাস পাননি তিনি। এবারও ঈদের আগে লকডাউনে বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকায় বোনাস তো দুরে থাক, ঠিক সময়ে বেতন মিলবে কি না এ নিয়েই চিন্তায় আছেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে কবির বলেন, গবীর দেশে এই লকডাউন আমাদের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। আমার মতো যারা বেতনের উপর নির্ভরশীল তাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। না খেয়ে মরার থেকে করোনায় মরা অনেক ভালো।
একটি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়-কর্মীর কাজ করতেন শিমুল খান। গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণার পর ওই দোকানের পাঁচজন বিক্রয়-কর্মীর মধ্যে তিনজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটি পেয়ে শিমুল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ গেছেন।
শিমুল বলেন, ‘মালিক বলেছিল লকডাউন শেষ হলে ফোন করে ঢাকায় ডেকে আনবেন। রোববার থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়ার খবর টিভিতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে মালিককে ফোন করেছিলাম। তিনি বললেন, এখনই আসার দরকার নেই, কখন আসতে হবে জানাবেন। আমার মনে হয় আমাকে আর কাজে নেবে না।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম অনুবিভাগ) ড. মো. রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো গতবারের থেকে এবার সতর্ক ও সচেতন আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের মধ্যেও সচল রাখতে পেরেছে বলে সেখানে কর্মী ছাটাই হচ্ছে না, বিশৃঙ্খলাও নেই।
মহামারীর মধ্যে দোকানপাট, ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরমাল ওয়েতে বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না।
বেসরকারি ৪৩টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক খাতভুক্ত আছে জানিয়ে রেজাউল হক বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৮১ লাখ। সরকারি-বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে সাত কোটি শ্রমিক রয়েছে।
লকডাউনের প্রভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কত সংখ্যক মানুষ বেতন-ভাতা ও চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই।
সমাধান কী?
লকডাউনের কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন, যাদের বেতন কমে গেছে বা যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের নিয়ে সরকারকে পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি মহামারীর মধ্যে টিকে থাকার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম’র (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশের সবগুলো অর্থনৈতিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বেসরকারি খাত অর্থনীতির সব থেকে বড় চালিকাশক্তি।
অধ্যাপক সেলিম রায়হান আরও বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবে কিনা, তা নির্ভর করছে ওইসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে চালাচ্ছে তার ওপর।
‘গতবছর করোনার সময় যে অবস্থা দেখেছিলাম, সেখান থেকে উঠে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা চেষ্টা গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ফের বড় ধাক্কা লেগেছে। সেদিক থেকে অনেক প্রতিষ্ঠানই সামলে উঠতে পারছে না।’
অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, সামগ্রিকভাবে গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগে একটা মন্দা আছে। ব্যাংকিং খাত থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ পাওয়া নিয়েও সমস্যা আছে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে বড় উদ্বেগের জায়গা।
মহামারীর মধ্যে বেসরকারি খাতগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেখানে অনেক খাতকেই বাইরে রাখা হয়েছে। যারা সুবিধা পেয়েছে সেখানে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাখা হয়নি।
‘সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের বড় অংশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে কীভাবে সুবিধা দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ভাবতে হবে। যারা বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তাদের নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও সমন্বিতভাবে সরকারের সঙ্গে এনিয়ে শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবার লকডাউনের মধ্যে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের সঞ্চয় থেকে কর্মীদের বেতন চালিয়েছে।
তবে অনেকেই কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারেনি। কারণ তাদের কোনো আয় ছিল না। ফলে কেউ কেউ কর্মী ছাটাই করেছেন। আবার কেউ বেতন কমিয়ে দিয়েছেন।
যেটাই করা হোক না কেন শ্রম আইন অনুযায়ী করার দাবি রেখে ড. নাজনীন বলেন, এবার বৈশাখের কোনো বেচা-বিক্রি হয়নি। রোজার মাসেও দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে চাকরি ও বেতন-ভাতা যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে তা অমূলক নয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ায় ফের চলছে লকডাউন। অফিস-আদালত, গণপরিবহন, দোকানপাট বন্ধ। মানুষের চলাচলের ওপর রয়েছে কঠোর বিধিনিষেধ। এমন পরিস্থিতিতে চলতি মাসের বেতন আর ঈদের বোনাস নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবীরা। কারও কারও চিন্তা খোদ চাকরি নিয়ে।
গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলো বলছে, চলমান লকডাউনের কারণে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের ঠিকমতো বেতন-ভাতা দিতে পারবে না। কেউ কেউ কর্মী ছাটাই করতে বাধ্য হবে।
মহামারীর মধ্যে যারা চাকরি হারাবে বা যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যাবে তাদের কীভাবে সহায়তা করা যায় সে বিষয়ে সরকারকে পরিকল্পনা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টদের অনেকেই।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের হিসেব অনুযায়ী, দেশে সব মিলেয়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৮১ লাখ। এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন সাড়ে সাত কোটি মানুষ। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মাত্র ৪৩টির প্রাতিষ্ঠানিক স্বীকৃতি রয়েছে। অপ্রাতিষ্ঠানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীরা মহামারীর মধ্যে বেতন-ভাতা নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন।
গুলশানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্থপতি হিসেবে কাজ করেন আনোয়ার হোসেন। গতবছর টানা ৬৬ দিনের সরকারি ছুটির পর প্রতিষ্ঠান থেকে তার বেতন ৪০ শতাংশ কমিয়ে দেওয়া হয়। গত সাত মাস ধরে ওই বেতনে কাজ করছেন তিনি। ফের লকডাউন দেওয়ায় চলতি মাসের বেতন হবে কি না এ নিয়ে সংশয়ে পড়েছেন তিনি।
নিজের প্রতিষ্ঠানের নাম না জানানোর অনুরোধ করে আনোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবছর তার প্রতিষ্ঠানের ২২ জনের মধ্যে ছয় জনের চাকরি চলে যায়। এবার এখনো কর্মী ছাটাই না হলেও সম্ভবত ঈদের আগে আর বেতন হবে না। কারণ অফিসের আয় যে কমে গেছে সেটা আমরাও দেখছি।
ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী বিক্রির একটি চেইন-শপে কাজ করে কবির আহমেদ। গত বছর লকডাউনের কারণে দুই ঈদে বোনাস পাননি তিনি। এবারও ঈদের আগে লকডাউনে বেচা-বিক্রি বন্ধ থাকায় বোনাস তো দুরে থাক, ঠিক সময়ে বেতন মিলবে কি না এ নিয়েই চিন্তায় আছেন তিনি।
আজকের পত্রিকাকে কবির বলেন, গবীর দেশে এই লকডাউন আমাদের সবকিছু এলোমেলো করে দিয়েছে। আমার মতো যারা বেতনের উপর নির্ভরশীল তাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। না খেয়ে মরার থেকে করোনায় মরা অনেক ভালো।
একটি কাপড়ের দোকানে বিক্রয়-কর্মীর কাজ করতেন শিমুল খান। গত ৫ এপ্রিল লকডাউন ঘোষণার পর ওই দোকানের পাঁচজন বিক্রয়-কর্মীর মধ্যে তিনজনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। ছুটি পেয়ে শিমুল তার গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জ গেছেন।
শিমুল বলেন, ‘মালিক বলেছিল লকডাউন শেষ হলে ফোন করে ঢাকায় ডেকে আনবেন। রোববার থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়ার খবর টিভিতে দেখে সঙ্গে সঙ্গে মালিককে ফোন করেছিলাম। তিনি বললেন, এখনই আসার দরকার নেই, কখন আসতে হবে জানাবেন। আমার মনে হয় আমাকে আর কাজে নেবে না।’
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (শ্রম অনুবিভাগ) ড. মো. রেজাউল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, রপ্তানিমুখী শিল্পগুলো গতবারের থেকে এবার সতর্ক ও সচেতন আছে। এসব প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যবিধি মেনে লকডাউনের মধ্যেও সচল রাখতে পেরেছে বলে সেখানে কর্মী ছাটাই হচ্ছে না, বিশৃঙ্খলাও নেই।
মহামারীর মধ্যে দোকানপাট, ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওইসব প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফরমাল ওয়েতে বেতন-ভাতা দেওয়া হয় না।
বেসরকারি ৪৩টি প্রতিষ্ঠান প্রাতিষ্ঠানিক খাতভুক্ত আছে জানিয়ে রেজাউল হক বলেন, অপ্রাতিষ্ঠানিক খাত মিলিয়ে দেশে কলকারখানাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রায় ৮১ লাখ। সরকারি-বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানে প্রায় সাড়ে সাত কোটি শ্রমিক রয়েছে।
লকডাউনের প্রভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে কত সংখ্যক মানুষ বেতন-ভাতা ও চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে সেই তথ্য সরকারের কাছে নেই।
সমাধান কী?
লকডাউনের কারণে যারা চাকরি হারিয়েছেন, যাদের বেতন কমে গেছে বা যাদের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে গেছে তাদের নিয়ে সরকারকে পরিকল্পনা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
পাশাপাশি মহামারীর মধ্যে টিকে থাকার জন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকেও সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সানেম’র (সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক সেলিম রায়হান আজকের পত্রিকাকে বলেন, করোনাকালে বাংলাদেশের সবগুলো অর্থনৈতিক খাত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর বেসরকারি খাত অর্থনীতির সব থেকে বড় চালিকাশক্তি।
অধ্যাপক সেলিম রায়হান আরও বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান তার কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে পারবে কিনা, তা নির্ভর করছে ওইসব প্রতিষ্ঠান তাদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কীভাবে চালাচ্ছে তার ওপর।
‘গতবছর করোনার সময় যে অবস্থা দেখেছিলাম, সেখান থেকে উঠে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা চেষ্টা গত বছরের শেষ দিক থেকে শুরু হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে ফের বড় ধাক্কা লেগেছে। সেদিক থেকে অনেক প্রতিষ্ঠানই সামলে উঠতে পারছে না।’
অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, সামগ্রিকভাবে গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতিতে বিনিয়োগে একটা মন্দা আছে। ব্যাংকিং খাত থেকে বেসরকারি খাতে ঋণ পাওয়া নিয়েও সমস্যা আছে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে বড় উদ্বেগের জায়গা।
মহামারীর মধ্যে বেসরকারি খাতগুলোর সমন্বিত উদ্যোগ নেই জানিয়ে তিনি বলেন, সরকার যে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সেখানে অনেক খাতকেই বাইরে রাখা হয়েছে। যারা সুবিধা পেয়েছে সেখানে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলোকে রাখা হয়নি।
‘সরকারের প্রণোদনা প্যাকেজের বড় অংশ এখনো বাস্তবায়ন হয়নি, সেখান থেকে ক্ষতিগ্রস্ত খাতগুলোকে কীভাবে সুবিধা দেওয়া যেতে পারে সে বিষয়ে ভাবতে হবে। যারা বেতন পাচ্ছেন না, চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন তাদের নিয়ে উদ্যোগ নেওয়া খুব জরুরি। বেসরকারি খাতের উদ্যোক্তাদেরও সমন্বিতভাবে সরকারের সঙ্গে এনিয়ে শক্তিশালী উদ্যোগ নিতে হবে।’
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. নাজনীন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতবার লকডাউনের মধ্যে অনেক বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজেদের সঞ্চয় থেকে কর্মীদের বেতন চালিয়েছে।
তবে অনেকেই কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারেনি। কারণ তাদের কোনো আয় ছিল না। ফলে কেউ কেউ কর্মী ছাটাই করেছেন। আবার কেউ বেতন কমিয়ে দিয়েছেন।
যেটাই করা হোক না কেন শ্রম আইন অনুযায়ী করার দাবি রেখে ড. নাজনীন বলেন, এবার বৈশাখের কোনো বেচা-বিক্রি হয়নি। রোজার মাসেও দোকানপাট বন্ধ রাখতে হচ্ছে। ফলে বেসরকারি চাকরিজীবীদের মধ্যে চাকরি ও বেতন-ভাতা যে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়েছে তা অমূলক নয়।
পাবনায় ডাকাতি, হত্যাচেষ্টাসহ ১৫ মামলার পলাতক আসামি পলাশ হোসেন ওরফে সাগরকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৫টার দিকে জেলার কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়...
১২ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর সোনাহাট স্থলবন্দর এলাকায় এক স্থানে একই সময়ে দুই গ্রুপের সমাবেশ আহ্বান করায় আজ বৃহস্পতিবার উপজেলা জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় সে জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
৩৮ মিনিট আগেগাজীপুরের কালিয়াকৈরে একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে উপজেলার চন্দ্রা হরীতকীতলা এলাকার মাহমুদ জিনস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকেরা এই বিক্ষোভ করছেন।
১ ঘণ্টা আগেমেহেরপুরের গাংনীতে নছিমন (শ্যালো ইঞ্জিনচালিত তিন চাকার যান) উল্টে চালক আব্দুল আজিজ মোল্লা (৪০) নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের বামন্দী বাজারের অদূরে এ ঘটনা ঘটে...
১ ঘণ্টা আগে