Ajker Patrika

শতভাগ বাকিতে দেশে আসছে ভয়ংকর মাদক আইস, ধরা পড়লে টাকা মাফ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৬: ০৬
শতভাগ বাকিতে দেশে আসছে ভয়ংকর মাদক আইস, ধরা পড়লে টাকা মাফ

শতভাগ বাকিতে বাংলাদেশে ভয়ংকর মাদক আইস পাঠাচ্ছেন মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা। বিক্রির পর হুন্ডির মাধ্যমে পরিশোধ করা হচ্ছে অর্থ। তবে বিক্রির আগে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে মাদক ধরা পড়লে আর কোনো টাকাই পরিশোধ করতে হয় না। 

দেশে মাদক ক্রিস্টাল মেথ (আইস) ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম হোছেন ওরফে খোকন (৩৩) ও তার সহযোগী মোহাম্মদ রফিককে (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। আজ শনিবার ভোরে যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তারের সময় তাঁর কাছ থেকে পাঁচ কেজি ৫০ গ্রাম আইস উদ্ধার করা হয়। দেশে জব্দকৃত আইসের সবচেয়ে বড় চালান এটি। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ১২ কোটি টাকা। 

মিয়ানমার থেকে নাফ নদী দিয়ে আচার, কাপড় ও চায়ের প্যাকেটের মধ্যে করে আইস তারা দেশে নিয়ে আসে বলে জানিয়েছেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার সংস্থাটির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। 

2সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনগ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের কাছে মাদক ছাড়াও একটি বিদেশি পিস্তল, পাঁচটি গুলি, দুটি মোবাইল, তিনটি দেশি-বিদেশি সিম কার্ড ও মাদক কারবারে ব্যবহৃত ২০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। 

খন্দকার আল মঈন আরও বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া খোকন টেকনাফ কেন্দ্রিক একটি বড় মাদক চক্রের নেতৃত্ব দেন। এই চক্রে ২০ থেকে ২৫ জন রয়েছে। তারা ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত ছিল। কয়েক মাস ধরে ইয়াবার সঙ্গে আইস দেশে নিয়ে আসছে। টেকনাফের নাফ নদীতে চক্রের সদস্যরা রাতের অন্ধকারে নৌকায় করে আইস দেশে নিয়ে আসে। এরপর টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত সড়কপথে কিংবা কুরিয়ারে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠায়। ঢাকার উত্তরা, বনানী, গুলশান, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় তাদের চক্রের সদস্যরা রয়েছে। 
 
খন্দকার আল মঈন বলেন, বর্মিজ আচার, কাপড় ও চায়ের চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশে। আইস ব্যবসার অন্যতম হোতা রফিকের বর্মিজ আচার, কাপড় ও চায়ের ব্যবসা ছিল। সেই ব্যবসার সূত্র ধরেই মিয়ানমারের মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পরিচয়। এরপর খোকনের সঙ্গে তার সম্পর্ক হলে দ্রুত ধনী হওয়ার আশায় ভয়ানক মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। তাদের দুজনের বিরুদ্ধেই বিভিন্ন থানায় অস্ত্র ও মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। 
 
3র‍্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়া দুজনআইসে ভয়ানক শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত মাদক হচ্ছে আইস। আইসে ইয়াবার মূল উপাদান এমফিটামিনের পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। তাই মানবদেহে ইয়াবার চেয়েও বহুগুণ ক্ষতি হয় আইসে। সেবনের ফলে অনিদ্রা, অতি উত্তেজনা, স্মৃতিভ্রম, মস্তিষ্ক বিকৃতি, স্ট্রোক, হৃদ্‌রোগ, কিডনি ও লিভার জটিলতা, মানসিক অবসাদ ও বিষণ্নতা বাড়ে। ফলে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি আত্মহত্যার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আইস সেবনের কারণে তরুণ-তরুণীদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয় এবং অস্বাভাবিক আচরণ করে। তারা নানা ধরনের অপরাধেও জড়িয়ে পড়ে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত