টাঙ্গাইলে সন্তানসহ হিজড়া আটক, পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ২৩: ০৭

টাঙ্গাইলে সন্তানসহ এক হিজড়াকে আটকের প্রতিবাদে টাঙ্গাইল সদর পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে একদল হিজড়া। এ সময় হিজড়াদের আক্রমণে এক পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। ভাঙচুরের ঘটনায় আরও তিন হিজড়াকে আটক করা হয়েছে।

মনিকা নামের এক হিজড়াকে আটকের প্রতিবাদে থানা ভাঙচুরের ঘটনাটি ঘটে। মনিকা জানান, তাঁর বাড়ি জামালপুরের মেলান্দ উপজেলার শেহরীপূর্বপাড়া গ্রামে। তাঁর নাম ছিল কামরুজ্জামান। ২০১০ সালে পারিবারিকভাবে একই উপজেলার পপি খাতুন নামের এক নারীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর তাঁদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। এরপর থেকেই তাঁর শারীরিক পরিবর্তন হতে থাকে। এ কারণে তাঁর স্ত্রী পপি খাতুন তাঁকে ছেড়ে তাঁর চাচাতো ভাইকে বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। ২০১৮ সালে তিনি হিজড়ায় পরিণত হয়ে নাম রাখেন মনিকা। এরপর থেকেই তিনি তাঁর কন্যা সন্তানকে লালন পালন করছেন। তিনি শনিবার ঢাকা থেকে মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি জামালপুরে আসেন। বুধবার ঢাকায় ফেরার সময় তাঁকে আটক করে পুলিশ। 

সদর থানার ইন্সপেক্টর শামীম হোসেন বলেন, ‘মনিকা তাঁর মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় ফিরছিলেন। হিজড়ার কোলে সন্তান দেখে বাসে অন্যান্য যাত্রীদের সন্দেহ হয়। এরপর এক নারী যাত্রী ৯৯৯-এ ফোন করে জানায়। পরে তাঁকে শহরের রাবনা বাইপাস মোড় থেকে সন্দেহমূলকভাবে আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়। এ খবর পেয়ে কয়েকজন হিজড়া থানায় হামলা চালায়। তাঁরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ভাঙচুর করে। এ সময় তিন হিজড়াকে আটক করা হয়।’ 

শামীম হোসেন আরও জানান, মনিকা ওরফে কামরুজ্জামানের সাবেক স্ত্রী পপি খাতুনকে খবর দেওয়া হয়েছিল। তিনি এসেছেন এবং তাঁর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে যে সন্তান তাদেরই। তাঁর স্বামীর শারীরিক পরিবর্তন হওয়ায় তিনি তাঁকে তালাক দিয়েছেন। এ কারণে তাঁর সন্তানটি স্বামী মনিকা ওরফে কামরুজ্জামানের কাছেই থাকে। এ জন্য মনিকাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর আটককৃত তিনজনের বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত