নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার জাল নোটসহ সগীর হোসেন (৪৭) ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ছগির দৈনিক ১ লাখ টাকা সমমূল্যের জাল নোট তৈরি করতে পারতেন। বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে তিনি গত তিন-চার মাস ধরে জাল নোট তৈরি করে মজুত করে আসছিলেন। চক্রের মূল হোতা ছগীর জাল টাকা তৈরির বিষয়ে কাউকে কিছুই বলতেন না। তিনি নিজেই সব কাজ করতেন। এ ছাড়া পুরান ঢাকা থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম নিজেই সংগ্রহ করতেন।
গ্রেপ্তার সহযোগী সেলিনা আক্তার পাখি (২০) ও রুহুল আমিনসহ (৩৩) ৮-১০ জন সদস্য রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়া এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের দৈনন্দিন কাজ করতেন জাল টাকা দিয়ে। এ অবস্থায় কয়েকজন ধরা পড়লেও পরে টাকা দিয়ে ছাড়া।
আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার রুহুল আমিন চক্রের মূল হোতা ছগিরের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। রুহুল আমিনের মাধ্যমে ছগিরের অন্যান্য সহযোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এ ছাড়া ছগীর ও বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি। জাল নোট তৈরি ও বিক্রির মামলায় ২০১৭ সালে জেলে ছিলেন এবং বর্তমানে তাঁর নামে মামলা চলমান রয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্ন লোকের কাছে স্বল্পমূল্যে জাল নোট বিক্রি করে আসছেন। এই চক্রের মূল হোতা ছগীর হোসেন ও অন্যরা তাঁর সহযোগী। তাঁরা জানান, এই চক্রে ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছেন।
মঈন বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর র্যাব-৪-এর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোটসহ জাল নোট তৈরি ও বিক্রয়কারী চক্রের সক্রিয় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকেই চক্রটির মূল হোতা ও অন্যান্য সহযোগী সম্পর্কে জানাতে পারে র্যাব। তাঁদের তথ্যেই এই ছগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, ৩টি প্রিন্টার, একটি হ্যান্ড এয়ার ড্রয়ারসহ জাল নোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
জাল নোট তৈরির পরে ছগীর তাঁর সহযোগীদের জাল নোট নিয়ে যেতে বলতেন। প্রতি ১ লাখ জাল নোট ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চাহিদার ওপর নির্ভর করে ১০-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন। আর এর ওপরে যা বিক্রি করতেন, তা তাঁদের লাভ থাকত। এ ছাড়া টার্গেট অনুযায়ী ছগীর প্রতি মাসে তাঁর সহযোগীদের বোনাসও দিতেন।
গ্রেপ্তার সেলিনা আক্তার পাখির স্বামীও জাল নোট তৈরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং বর্তমানে তিনি জেলে আছেন। সেলিনা ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীরচরে একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। পরে স্বামীর মাধ্যমে এই চক্রের মূল হোতা ছগীরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এখন পাখি নিজেও এই চক্রে জড়িয়ে জাল নোটের ব্যবসা শুরু করেন।
র্যাব জানায়, ছগীর হোসেন ১৯৮৭ সালে বরগুনা থেকে ঢাকায় এসে প্রথমে একটি হোটেলে বয়ের কাজ নেন। পরে ভ্যানে ফেরি করে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি করতেন। গার্মেন্টস পণ্য বিক্রির সময় আসামি ছগীরের সঙ্গে ইদ্রিস নামক একজনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইদ্রিসের মাধ্যমে তাঁর জাল নোট তৈরির হাতেখড়ি হয়। প্রথমে তিনি জাল নোট বিক্রি এবং পরে জাল নোট তৈরির বিষয় রপ্ত করেন। ২০১৭ সালে জাল নোটসহ ইদ্রিস ও ছগীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এক বছর জেল খেটে পুনরায় সে ২০১৮ সাল হতে জাল নোট তৈরি শুরু করে। তৈরিকৃত জাল নোটগুলো তাঁর চক্রে থাকা অন্যান্য সহযোগী গ্রেপ্তার রুহুল আমিন, সেলিনাসহ সাত-আটজনের মাধ্যমে বিক্রি করেন।
রাজধানীর পল্লবী এলাকা থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকার জাল নোটসহ সগীর হোসেন (৪৭) ও তাঁর দুই সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ মঙ্গলবার কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই জানিয়েছেন আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, ‘ছগির দৈনিক ১ লাখ টাকা সমমূল্যের জাল নোট তৈরি করতে পারতেন। বাণিজ্য মেলাকে কেন্দ্র করে তিনি গত তিন-চার মাস ধরে জাল নোট তৈরি করে মজুত করে আসছিলেন। চক্রের মূল হোতা ছগীর জাল টাকা তৈরির বিষয়ে কাউকে কিছুই বলতেন না। তিনি নিজেই সব কাজ করতেন। এ ছাড়া পুরান ঢাকা থেকে জাল টাকা তৈরির সরঞ্জাম নিজেই সংগ্রহ করতেন।
গ্রেপ্তার সহযোগী সেলিনা আক্তার পাখি (২০) ও রুহুল আমিনসহ (৩৩) ৮-১০ জন সদস্য রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এ ছাড়া এই চক্রের সদস্যরা নিজেদের দৈনন্দিন কাজ করতেন জাল টাকা দিয়ে। এ অবস্থায় কয়েকজন ধরা পড়লেও পরে টাকা দিয়ে ছাড়া।
আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার রুহুল আমিন চক্রের মূল হোতা ছগিরের অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। রুহুল আমিনের মাধ্যমে ছগিরের অন্যান্য সহযোগীর সঙ্গে পরিচয় হয়। এ ছাড়া ছগীর ও বিক্রয় প্রতিনিধির মধ্যে যোগাযোগ রক্ষা করতেন তিনি। জাল নোট তৈরি ও বিক্রির মামলায় ২০১৭ সালে জেলে ছিলেন এবং বর্তমানে তাঁর নামে মামলা চলমান রয়েছে।
র্যাবের মুখপাত্র বলেন, তাঁরা পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকা, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় এই জাল নোট তৈরি করে বিভিন্ন লোকের কাছে স্বল্পমূল্যে জাল নোট বিক্রি করে আসছেন। এই চক্রের মূল হোতা ছগীর হোসেন ও অন্যরা তাঁর সহযোগী। তাঁরা জানান, এই চক্রে ১৫-২০ জন সদস্য রয়েছেন।
মঈন বলেন, গত বছরের ২৮ নভেম্বর র্যাব-৪-এর মিরপুর মডেল থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা মূল্যমানের জাল নোটসহ জাল নোট তৈরি ও বিক্রয়কারী চক্রের সক্রিয় চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকেই চক্রটির মূল হোতা ও অন্যান্য সহযোগী সম্পর্কে জানাতে পারে র্যাব। তাঁদের তথ্যেই এই ছগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি মোবাইল, দুটি ল্যাপটপ, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, ৩টি প্রিন্টার, একটি হ্যান্ড এয়ার ড্রয়ারসহ জাল নোট তৈরির বিপুল পরিমাণ সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
জাল নোট তৈরির পরে ছগীর তাঁর সহযোগীদের জাল নোট নিয়ে যেতে বলতেন। প্রতি ১ লাখ জাল নোট ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে চাহিদার ওপর নির্ভর করে ১০-১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করতেন। আর এর ওপরে যা বিক্রি করতেন, তা তাঁদের লাভ থাকত। এ ছাড়া টার্গেট অনুযায়ী ছগীর প্রতি মাসে তাঁর সহযোগীদের বোনাসও দিতেন।
গ্রেপ্তার সেলিনা আক্তার পাখির স্বামীও জাল নোট তৈরি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য এবং বর্তমানে তিনি জেলে আছেন। সেলিনা ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীরচরে একটি বিউটি পার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করতেন। পরে স্বামীর মাধ্যমে এই চক্রের মূল হোতা ছগীরের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। এখন পাখি নিজেও এই চক্রে জড়িয়ে জাল নোটের ব্যবসা শুরু করেন।
র্যাব জানায়, ছগীর হোসেন ১৯৮৭ সালে বরগুনা থেকে ঢাকায় এসে প্রথমে একটি হোটেলে বয়ের কাজ নেন। পরে ভ্যানে ফেরি করে গার্মেন্টস পণ্য বিক্রি করতেন। গার্মেন্টস পণ্য বিক্রির সময় আসামি ছগীরের সঙ্গে ইদ্রিস নামক একজনের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে তাঁদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। ইদ্রিসের মাধ্যমে তাঁর জাল নোট তৈরির হাতেখড়ি হয়। প্রথমে তিনি জাল নোট বিক্রি এবং পরে জাল নোট তৈরির বিষয় রপ্ত করেন। ২০১৭ সালে জাল নোটসহ ইদ্রিস ও ছগীর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন। এক বছর জেল খেটে পুনরায় সে ২০১৮ সাল হতে জাল নোট তৈরি শুরু করে। তৈরিকৃত জাল নোটগুলো তাঁর চক্রে থাকা অন্যান্য সহযোগী গ্রেপ্তার রুহুল আমিন, সেলিনাসহ সাত-আটজনের মাধ্যমে বিক্রি করেন।
অন্তর্বর্তী সরকারের বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ এম হাসান আরিফ বলেছেন, ‘আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত ভিসার ব্যাপারে কিছুটা কড়াকড়ি করেছে। তারা আমাদের ভিসা দেবে কি না, এটা তাদের বিষয়।’
৩ ঘণ্টা আগেনাটোরের বড়াইগ্রামে আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। মারধরের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ আহত ওই যুবককেই আটক করে। পরে তিনি জামিনে ছাড়া পান
৩ ঘণ্টা আগেঅন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘আপনারা ভালো কাজ করলে আমাদের সমর্থন পাবেন। জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে এক সেকেন্ডও সময় নেব না আপনাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে। দায়সারা কথা বলে ছাত্র-জনতার সঙ্গে প্রহসন করবেন না।
৪ ঘণ্টা আগেলক্ষ্মীপুরে একটি তাফসিরুল কোরআন মাহফিল ও ইসলামি সংগীত সন্ধ্যা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মোহাম্মদিয়া জামে মসজিদ মাঠে এই আয়োজন করা হয়েছিল। মাহফিলে জামায়াত নেতাকে প্রধান অতিথি করায় বিএনপি সেটি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৫ ঘণ্টা আগে