কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি
দেশের রাজনীতিতে সততা আর শিষ্টাচারের অন্যতম উদাহরণ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জের মানুষ তাঁকে চেনেন একজন সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিবিদ হিসেবে। আগামীকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্টরা কোনো কর্মসূচি না নেওয়ায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সৈয়দ আশরাফ ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। সৈয়দ আশরাফের স্মরণে আগামীকাল কোনো কর্মসূচি পালন করবে না জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মরণে কোনো কর্মসূচি পালিত হবে না।’
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক মেয়ের বাবা। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলছেন, সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন না করা মানে উনাকে অপমান করা। অন্ততপক্ষে ফুল দিয়েতো তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো রাজনীতির মধ্যে পড়ে না।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই মাটির মানুষ ছিলেন। তাঁর ভিতরে কোনো অহংকার ছিল না, অত্যন্ত সহজ-সরল ও প্রচারবিমুখ রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। জাতির ক্রান্তিলগ্নে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই সময়ে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সৈয়দ সাফায়েতুল আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় সৈয়দ আশরাফের কঠোর ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব হেফাজতের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সময়োপযোগী দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যে রাজনীতিতে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেন। সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি সারা জীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।’
সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের বাড়ির মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া সদর ও হোসেনপুর উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হবে। আগামীকাল সকালে ভাইয়ের স্মরণে ভাইয়ের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করব।’
লিপি বড় ভাই সৈয়দ আশরাফের বিষয়ে আরও বলেন, ‘আমার ভাই ছিল নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ মানুষ। অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ ছিলেন তিনি। বাবার অবর্তমানে ভাই আমাদের মানুষ করেছেন। আমাদের অভিভাবক ছিলেন।’ পিতৃস্নেহে তাঁদের বড় করেছেন বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি লিপি।
দেশের রাজনীতিতে সততা আর শিষ্টাচারের অন্যতম উদাহরণ সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। কিশোরগঞ্জের মানুষ তাঁকে চেনেন একজন সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিবিদ হিসেবে। আগামীকাল বুধবার আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এই উপলক্ষে সংশ্লিষ্টরা কোনো কর্মসূচি না নেওয়ায় অনেকে ক্ষোভ জানিয়েছেন।
সৈয়দ আশরাফ ২০১৯ সালের ৩ জানুয়ারি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। সৈয়দ আশরাফের স্মরণে আগামীকাল কোনো কর্মসূচি পালন করবে না জেলা আওয়ামী লীগ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ আফজল বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম স্মরণে কোনো কর্মসূচি পালিত হবে না।’
জেলা আওয়ামী লীগ থেকে জানা গেছে, ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর কারাগারে বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলামসহ জাতীয় চার নেতা হত্যাকাণ্ডের শিকার হওয়ার পর সৈয়দ আশরাফ যুক্তরাজ্যে চলে যান। প্রবাস জীবনে তিনি যুক্তরাজ্যে আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৯৬ সালে দেশে ফিরে আসেন এবং কিশোরগঞ্জ সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে প্রথমবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ সময় তিনি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় সৈয়দ আশরাফ নির্বাচিত হন এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন এবং স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৫ সালের ১৬ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তিনি এক মেয়ের বাবা। তাঁর স্ত্রী শিলা ইসলাম ২০১৭ সালের অক্টোবরে মারা যান।
আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, সৈয়দ আশরাফ ১৯৫২ সালের ১ জানুয়ারি ময়মনসিংহে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সৈয়দ নজরুল ইসলাম ১৯৭১ সালে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। এ ছাড়া তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
সৈয়দ আশরাফ ছাত্রজীবনে ছাত্র রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি ময়মনসিংহ জেলার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-প্রচার সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। আশরাফুল ইসলাম ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিবাহিনীর একজন সদস্য ছিলেন। ভারতের দেরাদুনে প্রশিক্ষণ নেন তিনি।
স্থানীয় সাধারণ মানুষ বলছেন, সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কোনো কর্মসূচি পালন না করা মানে উনাকে অপমান করা। অন্ততপক্ষে ফুল দিয়েতো তাঁকে শ্রদ্ধা জানাবে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো রাজনীতির মধ্যে পড়ে না।
সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের ছোট ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাই মাটির মানুষ ছিলেন। তাঁর ভিতরে কোনো অহংকার ছিল না, অত্যন্ত সহজ-সরল ও প্রচারবিমুখ রাজনীতিবিদ ছিলেন তিনি। জাতির ক্রান্তিলগ্নে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশেষ করে ওয়ান ইলেভেনের সময় ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় যখন দুই নেত্রীকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে দেশের রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছিল সেই সময়ে সৈয়দ আশরাফের ভূমিকা বাংলাদেশের ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
সৈয়দ সাফায়েতুল আরও বলেন, ‘২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতের তাণ্ডবের সময় সৈয়দ আশরাফের কঠোর ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব হেফাজতের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছিল। সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সময়োপযোগী দায়িত্বশীল কর্মকাণ্ডের মধ্যে রাজনীতিতে সুদৃঢ় অবস্থান তৈরি করেন। সব শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। তিনি সারা জীবন অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।’
সৈয়দ আশরাফের ছোট বোন কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আমাদের বাড়ির মসজিদে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এ ছাড়া সদর ও হোসেনপুর উপজেলার প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মিলাদ ও দোয়ার আয়োজন করা হবে। আগামীকাল সকালে ভাইয়ের স্মরণে ভাইয়ের ম্যুরালে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করব।’
লিপি বড় ভাই সৈয়দ আশরাফের বিষয়ে আরও বলেন, ‘আমার ভাই ছিল নিভৃতচারী, প্রচারবিমুখ মানুষ। অত্যন্ত সহজ-সরল মানুষ ছিলেন তিনি। বাবার অবর্তমানে ভাই আমাদের মানুষ করেছেন। আমাদের অভিভাবক ছিলেন।’ পিতৃস্নেহে তাঁদের বড় করেছেন বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন এমপি লিপি।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিজের স্বামীকে ‘নিহত’ দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাঁকে কক্সবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় এ ঘটনায় জড়িত শফিকুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকেও...
১২ মিনিট আগেসম্প্রতি নগরের বিনোদপুর বাজারের এক ভাঙারি ব্যবসায়ী আমিরুল মোমেনিনের স্টুডিও থেকে ভাস্কর্য দুটি কিনে এনেছেন। এখন বিনোদপুর বাজারে খোকন নামের ওই ব্যবসায়ীর দোকানের সামনে পড়ে আছে ভাস্কর্য দুটি। দোকানটির নাম ‘খোকন আয়রন ঘর’। খোকন আছেন ক্রেতার অপেক্ষায়। কেউ না কিনলে ভাস্কর্য দুটি ভেঙে লোহা হিসেবে বিক্রি করব
১৭ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। শুক্রবার দুপুরে আরএমপির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২৪ মিনিট আগেঅভ্যুত্থান পরবর্তী রাষ্ট্র যদি একটি বিশেষ লিঙ্গের, বিশেষ শ্রেণির, বিশেষ জাতি-ধর্ম পরিচয়ের নাগরিকের প্রতিনিধিত্বকারী হয়ে ওঠে, তবে তা হবে শহীদ ও আহতদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানী।
২৭ মিনিট আগে