মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)

হাওরের বুক চিরে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো এক মৃত বাড়ি। সোয়ারির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে, কাটবেন বাঁশ, খুঁড়বেন মানুষের শেষ ঠিকানা ‘কবর’। তিনি মনু মিয়া; স্বেচ্ছাশ্রমে কবর খনন করাই তাঁর নেশা।
গেল ৫০ বছরে ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন বলে দাবি মনু মিয়ার। জীবনের শেষ দিন অবধি এ কাজ করতে চান বলে নিজের আশার কথাও জানালেন।
শেষ ঠিকানার নিপুণ কারিগর মনু মিয়া (৭০) কিশোরগঞ্জের ইটনার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হেকিম ও সারবানু দম্পতির সন্তান। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে গতকাল শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, সিটি মেয়র, চেয়ারম্যান, আলেম, শিক্ষকসহ ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন।
মনু মিয়া কারও মৃত্যুর খবর পেলেই ছোটেন মৃতের বাড়িতে। কবর খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে বাঁশ কাটা ও কবর খোঁড়া শুরু করেন। নিজ উপজেলাসহ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বহু কবর খনন করেছেন তিনি। হাওরজুড়ে শেষ ঠিকানার নিখুঁত ও দক্ষ কারিগর হিসেবে মনু মিয়ার খ্যাতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মনু মিয়ার মা সারবানু মারা যান। গ্রামবাসী তাঁর কবর খনন করেন যত্নসহকারে। তা দেখে সেদিন থেকে মনু মিয়া কবর খোঁড়া শুরু করেন। তবে তাঁর জীবনের বড় আক্ষেপ জন্মদাতা বাবার কবর খুঁড়তে পারেননি তিনি। মোবাইলবিহীন আমলে ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার পর তাঁর বাবা আবদুল হাকিম মারা যান। বাবার মৃত্যুর সে খবর ১৫ দিন পর খবর পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দিকে কবর খননে অন্যদের সহযোগিতা করতেন মনু মিয়া। একসময় দেখেন তিনি নিজেই সুন্দরভাবে কবর খনন করতে পারেন। মানুষজনও প্রশংসা করেন। এতে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়।
ঝড়, বৃষ্টি, শরীর খারাপ—এমনকি কোনো কাজই মনু মিয়াকে থামাতে পারেনি। মোবাইলে বা লোকমুখে মৃতের খবর পেতে বিলম্ব হলেও খবর খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়তে তাঁর বিলম্ব হয় না। মৃতের পরিবার থেকে কোনো রকম টাকাপয়সা, যাতায়াত ভাড়া বা খাবার গ্রহণ করেন না তিনি। নিয়মিত দাফন শেষে বাড়ি ফিরে গোসল করেন। পরে লেখাপড়া জানা কাউকে ডেকে ডায়েরিতে মৃতের নাম ও ঠিকানা লিখে নেন। তারপর সাংসারিক কাজ করেন। অনেক সময় দাফন করা ব্যক্তির স্বজনেরা মৃত্যু তারিখ জানতে আসেন।
মনু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে কবর খোঁড়ার চিন্তা নিয়ে যদি তিনি ঘুমান, তাহলে সারা রাত ভালো ঘুম হয় না তাঁর। শুধু অপেক্ষা করেন, কখন সকাল হবে। আর কেউ মারা গেলে তিনি কেমনে যে খবর পান, আমি বুঝি না। যদি কোথাও বেড়াতে গিয়ে শোনেন কেউ মারা গেছেন, তাহলে সেখানেই কবর খুঁড়তে লেগে যান তিনি। কখনো যদি শরীর একটু খারাপ থাকে, তখনও মৃতের খবরে ঘোড়া ও ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।’
মনু মিয়া বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে সবকিছু ফেলে চলে যাওয়ার সময় তাঁর আর কিছুই থাকে না। চুড়ান্ত আশ্রয় শেষ ঠিকানা কবরটা একটু সুন্দর হোক—এটাই আমি সব সময় চাই। বিয়ের পর স্ত্রী রহিমা খাতুন আমার এ কাজে বাধা দিতেন। তারপরও নিষেধ অমান্য করে কবর খনন অব্যাহত থাকায় একসময় আমার স্ত্রীও মৃত নারীর গোসল করানো শুরু করেন।’
বহু মানুষের কবর খুঁড়েছেন জানিয়ে মনু মিয়া বলেন, ‘জীবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাইসহ বহুজনের কবর খুঁড়েছি। শরীর ভালো থাকলে জীবনের শেষদিনও কবর খুঁড়তে চাই। সবচেয়ে খারাপ লাগছিল মায়ের কবর খুঁড়তে গিয়ে। আরেক দুঃখ রয়েছে যে, বাবার কবর খুঁড়তে পারি নাই।’

হাওরের বুক চিরে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো এক মৃত বাড়ি। সোয়ারির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে, কাটবেন বাঁশ, খুঁড়বেন মানুষের শেষ ঠিকানা ‘কবর’। তিনি মনু মিয়া; স্বেচ্ছাশ্রমে কবর খনন করাই তাঁর নেশা।
গেল ৫০ বছরে ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন বলে দাবি মনু মিয়ার। জীবনের শেষ দিন অবধি এ কাজ করতে চান বলে নিজের আশার কথাও জানালেন।
শেষ ঠিকানার নিপুণ কারিগর মনু মিয়া (৭০) কিশোরগঞ্জের ইটনার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হেকিম ও সারবানু দম্পতির সন্তান। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে গতকাল শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, সিটি মেয়র, চেয়ারম্যান, আলেম, শিক্ষকসহ ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন।
মনু মিয়া কারও মৃত্যুর খবর পেলেই ছোটেন মৃতের বাড়িতে। কবর খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে বাঁশ কাটা ও কবর খোঁড়া শুরু করেন। নিজ উপজেলাসহ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বহু কবর খনন করেছেন তিনি। হাওরজুড়ে শেষ ঠিকানার নিখুঁত ও দক্ষ কারিগর হিসেবে মনু মিয়ার খ্যাতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মনু মিয়ার মা সারবানু মারা যান। গ্রামবাসী তাঁর কবর খনন করেন যত্নসহকারে। তা দেখে সেদিন থেকে মনু মিয়া কবর খোঁড়া শুরু করেন। তবে তাঁর জীবনের বড় আক্ষেপ জন্মদাতা বাবার কবর খুঁড়তে পারেননি তিনি। মোবাইলবিহীন আমলে ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার পর তাঁর বাবা আবদুল হাকিম মারা যান। বাবার মৃত্যুর সে খবর ১৫ দিন পর খবর পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দিকে কবর খননে অন্যদের সহযোগিতা করতেন মনু মিয়া। একসময় দেখেন তিনি নিজেই সুন্দরভাবে কবর খনন করতে পারেন। মানুষজনও প্রশংসা করেন। এতে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়।
ঝড়, বৃষ্টি, শরীর খারাপ—এমনকি কোনো কাজই মনু মিয়াকে থামাতে পারেনি। মোবাইলে বা লোকমুখে মৃতের খবর পেতে বিলম্ব হলেও খবর খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়তে তাঁর বিলম্ব হয় না। মৃতের পরিবার থেকে কোনো রকম টাকাপয়সা, যাতায়াত ভাড়া বা খাবার গ্রহণ করেন না তিনি। নিয়মিত দাফন শেষে বাড়ি ফিরে গোসল করেন। পরে লেখাপড়া জানা কাউকে ডেকে ডায়েরিতে মৃতের নাম ও ঠিকানা লিখে নেন। তারপর সাংসারিক কাজ করেন। অনেক সময় দাফন করা ব্যক্তির স্বজনেরা মৃত্যু তারিখ জানতে আসেন।
মনু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে কবর খোঁড়ার চিন্তা নিয়ে যদি তিনি ঘুমান, তাহলে সারা রাত ভালো ঘুম হয় না তাঁর। শুধু অপেক্ষা করেন, কখন সকাল হবে। আর কেউ মারা গেলে তিনি কেমনে যে খবর পান, আমি বুঝি না। যদি কোথাও বেড়াতে গিয়ে শোনেন কেউ মারা গেছেন, তাহলে সেখানেই কবর খুঁড়তে লেগে যান তিনি। কখনো যদি শরীর একটু খারাপ থাকে, তখনও মৃতের খবরে ঘোড়া ও ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।’
মনু মিয়া বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে সবকিছু ফেলে চলে যাওয়ার সময় তাঁর আর কিছুই থাকে না। চুড়ান্ত আশ্রয় শেষ ঠিকানা কবরটা একটু সুন্দর হোক—এটাই আমি সব সময় চাই। বিয়ের পর স্ত্রী রহিমা খাতুন আমার এ কাজে বাধা দিতেন। তারপরও নিষেধ অমান্য করে কবর খনন অব্যাহত থাকায় একসময় আমার স্ত্রীও মৃত নারীর গোসল করানো শুরু করেন।’
বহু মানুষের কবর খুঁড়েছেন জানিয়ে মনু মিয়া বলেন, ‘জীবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাইসহ বহুজনের কবর খুঁড়েছি। শরীর ভালো থাকলে জীবনের শেষদিনও কবর খুঁড়তে চাই। সবচেয়ে খারাপ লাগছিল মায়ের কবর খুঁড়তে গিয়ে। আরেক দুঃখ রয়েছে যে, বাবার কবর খুঁড়তে পারি নাই।’
মো. ফরিদ রায়হান, অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ)

হাওরের বুক চিরে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো এক মৃত বাড়ি। সোয়ারির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে, কাটবেন বাঁশ, খুঁড়বেন মানুষের শেষ ঠিকানা ‘কবর’। তিনি মনু মিয়া; স্বেচ্ছাশ্রমে কবর খনন করাই তাঁর নেশা।
গেল ৫০ বছরে ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন বলে দাবি মনু মিয়ার। জীবনের শেষ দিন অবধি এ কাজ করতে চান বলে নিজের আশার কথাও জানালেন।
শেষ ঠিকানার নিপুণ কারিগর মনু মিয়া (৭০) কিশোরগঞ্জের ইটনার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হেকিম ও সারবানু দম্পতির সন্তান। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে গতকাল শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, সিটি মেয়র, চেয়ারম্যান, আলেম, শিক্ষকসহ ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন।
মনু মিয়া কারও মৃত্যুর খবর পেলেই ছোটেন মৃতের বাড়িতে। কবর খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে বাঁশ কাটা ও কবর খোঁড়া শুরু করেন। নিজ উপজেলাসহ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বহু কবর খনন করেছেন তিনি। হাওরজুড়ে শেষ ঠিকানার নিখুঁত ও দক্ষ কারিগর হিসেবে মনু মিয়ার খ্যাতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মনু মিয়ার মা সারবানু মারা যান। গ্রামবাসী তাঁর কবর খনন করেন যত্নসহকারে। তা দেখে সেদিন থেকে মনু মিয়া কবর খোঁড়া শুরু করেন। তবে তাঁর জীবনের বড় আক্ষেপ জন্মদাতা বাবার কবর খুঁড়তে পারেননি তিনি। মোবাইলবিহীন আমলে ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার পর তাঁর বাবা আবদুল হাকিম মারা যান। বাবার মৃত্যুর সে খবর ১৫ দিন পর খবর পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দিকে কবর খননে অন্যদের সহযোগিতা করতেন মনু মিয়া। একসময় দেখেন তিনি নিজেই সুন্দরভাবে কবর খনন করতে পারেন। মানুষজনও প্রশংসা করেন। এতে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়।
ঝড়, বৃষ্টি, শরীর খারাপ—এমনকি কোনো কাজই মনু মিয়াকে থামাতে পারেনি। মোবাইলে বা লোকমুখে মৃতের খবর পেতে বিলম্ব হলেও খবর খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়তে তাঁর বিলম্ব হয় না। মৃতের পরিবার থেকে কোনো রকম টাকাপয়সা, যাতায়াত ভাড়া বা খাবার গ্রহণ করেন না তিনি। নিয়মিত দাফন শেষে বাড়ি ফিরে গোসল করেন। পরে লেখাপড়া জানা কাউকে ডেকে ডায়েরিতে মৃতের নাম ও ঠিকানা লিখে নেন। তারপর সাংসারিক কাজ করেন। অনেক সময় দাফন করা ব্যক্তির স্বজনেরা মৃত্যু তারিখ জানতে আসেন।
মনু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে কবর খোঁড়ার চিন্তা নিয়ে যদি তিনি ঘুমান, তাহলে সারা রাত ভালো ঘুম হয় না তাঁর। শুধু অপেক্ষা করেন, কখন সকাল হবে। আর কেউ মারা গেলে তিনি কেমনে যে খবর পান, আমি বুঝি না। যদি কোথাও বেড়াতে গিয়ে শোনেন কেউ মারা গেছেন, তাহলে সেখানেই কবর খুঁড়তে লেগে যান তিনি। কখনো যদি শরীর একটু খারাপ থাকে, তখনও মৃতের খবরে ঘোড়া ও ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।’
মনু মিয়া বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে সবকিছু ফেলে চলে যাওয়ার সময় তাঁর আর কিছুই থাকে না। চুড়ান্ত আশ্রয় শেষ ঠিকানা কবরটা একটু সুন্দর হোক—এটাই আমি সব সময় চাই। বিয়ের পর স্ত্রী রহিমা খাতুন আমার এ কাজে বাধা দিতেন। তারপরও নিষেধ অমান্য করে কবর খনন অব্যাহত থাকায় একসময় আমার স্ত্রীও মৃত নারীর গোসল করানো শুরু করেন।’
বহু মানুষের কবর খুঁড়েছেন জানিয়ে মনু মিয়া বলেন, ‘জীবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাইসহ বহুজনের কবর খুঁড়েছি। শরীর ভালো থাকলে জীবনের শেষদিনও কবর খুঁড়তে চাই। সবচেয়ে খারাপ লাগছিল মায়ের কবর খুঁড়তে গিয়ে। আরেক দুঃখ রয়েছে যে, বাবার কবর খুঁড়তে পারি নাই।’

হাওরের বুক চিরে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো এক মৃত বাড়ি। সোয়ারির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে, কাটবেন বাঁশ, খুঁড়বেন মানুষের শেষ ঠিকানা ‘কবর’। তিনি মনু মিয়া; স্বেচ্ছাশ্রমে কবর খনন করাই তাঁর নেশা।
গেল ৫০ বছরে ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন বলে দাবি মনু মিয়ার। জীবনের শেষ দিন অবধি এ কাজ করতে চান বলে নিজের আশার কথাও জানালেন।
শেষ ঠিকানার নিপুণ কারিগর মনু মিয়া (৭০) কিশোরগঞ্জের ইটনার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের আলগাপাড়া গ্রামের মৃত আবদুল হেকিম ও সারবানু দম্পতির সন্তান। তিনি ১৯৭২ সাল থেকে গতকাল শনিবার প্রয়াত রাষ্ট্রপতি, সিটি মেয়র, চেয়ারম্যান, আলেম, শিক্ষকসহ ২ হাজার ৮৫৮টি কবর খুঁড়েছেন।
মনু মিয়া কারও মৃত্যুর খবর পেলেই ছোটেন মৃতের বাড়িতে। কবর খোঁড়ার যন্ত্রপাতি নিয়ে বাঁশ কাটা ও কবর খোঁড়া শুরু করেন। নিজ উপজেলাসহ ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, হবিগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে বহু কবর খনন করেছেন তিনি। হাওরজুড়ে শেষ ঠিকানার নিখুঁত ও দক্ষ কারিগর হিসেবে মনু মিয়ার খ্যাতি রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭২ সালে মনু মিয়ার মা সারবানু মারা যান। গ্রামবাসী তাঁর কবর খনন করেন যত্নসহকারে। তা দেখে সেদিন থেকে মনু মিয়া কবর খোঁড়া শুরু করেন। তবে তাঁর জীবনের বড় আক্ষেপ জন্মদাতা বাবার কবর খুঁড়তে পারেননি তিনি। মোবাইলবিহীন আমলে ঢাকায় বেড়াতে যাওয়ার পর তাঁর বাবা আবদুল হাকিম মারা যান। বাবার মৃত্যুর সে খবর ১৫ দিন পর খবর পেয়েছিলেন তিনি।
প্রথম দিকে কবর খননে অন্যদের সহযোগিতা করতেন মনু মিয়া। একসময় দেখেন তিনি নিজেই সুন্দরভাবে কবর খনন করতে পারেন। মানুষজনও প্রশংসা করেন। এতে তাঁর আগ্রহ বেড়ে যায়।
ঝড়, বৃষ্টি, শরীর খারাপ—এমনকি কোনো কাজই মনু মিয়াকে থামাতে পারেনি। মোবাইলে বা লোকমুখে মৃতের খবর পেতে বিলম্ব হলেও খবর খোঁড়ার যন্ত্র নিয়ে ঘোড়ায় চড়তে তাঁর বিলম্ব হয় না। মৃতের পরিবার থেকে কোনো রকম টাকাপয়সা, যাতায়াত ভাড়া বা খাবার গ্রহণ করেন না তিনি। নিয়মিত দাফন শেষে বাড়ি ফিরে গোসল করেন। পরে লেখাপড়া জানা কাউকে ডেকে ডায়েরিতে মৃতের নাম ও ঠিকানা লিখে নেন। তারপর সাংসারিক কাজ করেন। অনেক সময় দাফন করা ব্যক্তির স্বজনেরা মৃত্যু তারিখ জানতে আসেন।
মনু মিয়ার স্ত্রী রহিমা বেগম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাতে কবর খোঁড়ার চিন্তা নিয়ে যদি তিনি ঘুমান, তাহলে সারা রাত ভালো ঘুম হয় না তাঁর। শুধু অপেক্ষা করেন, কখন সকাল হবে। আর কেউ মারা গেলে তিনি কেমনে যে খবর পান, আমি বুঝি না। যদি কোথাও বেড়াতে গিয়ে শোনেন কেউ মারা গেছেন, তাহলে সেখানেই কবর খুঁড়তে লেগে যান তিনি। কখনো যদি শরীর একটু খারাপ থাকে, তখনও মৃতের খবরে ঘোড়া ও ব্যাগ নিয়ে বেরিয়ে পড়েন।’
মনু মিয়া বলেন, ‘মানুষ পৃথিবীতে সবকিছু ফেলে চলে যাওয়ার সময় তাঁর আর কিছুই থাকে না। চুড়ান্ত আশ্রয় শেষ ঠিকানা কবরটা একটু সুন্দর হোক—এটাই আমি সব সময় চাই। বিয়ের পর স্ত্রী রহিমা খাতুন আমার এ কাজে বাধা দিতেন। তারপরও নিষেধ অমান্য করে কবর খনন অব্যাহত থাকায় একসময় আমার স্ত্রীও মৃত নারীর গোসল করানো শুরু করেন।’
বহু মানুষের কবর খুঁড়েছেন জানিয়ে মনু মিয়া বলেন, ‘জীবনে রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান, মেয়র সাদেক হোসেন খোকা, রাষ্ট্রপতির ছোট ভাইসহ বহুজনের কবর খুঁড়েছি। শরীর ভালো থাকলে জীবনের শেষদিনও কবর খুঁড়তে চাই। সবচেয়ে খারাপ লাগছিল মায়ের কবর খুঁড়তে গিয়ে। আরেক দুঃখ রয়েছে যে, বাবার কবর খুঁড়তে পারি নাই।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৯ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
২৩ মিনিট আগেফরিদপুর প্রতিনিধি

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুকু মোল্লা গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
অভিযুক্ত নারী হলেন সীমা বেগম। তিনি গুনপালদী গ্ৰামের তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী। সম্পর্কে নিহত টুকু সীমা বেগমের ভাশুর হন।
নিহত টুকুর চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে টুকু বাড়িতে আসে। আজ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় টুকু তার (সীমার) ঘরে গিয়ে হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে সীমা হাতে থাকা বঁটি দিয়ে টুকুকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় টুকুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সীমা বেগমকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত টুকু মোল্লা গুনপালদী গ্রামের ইদ্রিস মোল্লার ছেলে।
অভিযুক্ত নারী হলেন সীমা বেগম। তিনি গুনপালদী গ্ৰামের তুরস্কপ্রবাসী সোহাগ মোল্লার স্ত্রী। সম্পর্কে নিহত টুকু সীমা বেগমের ভাশুর হন।
নিহত টুকুর চাচাতো ভাই শাহিন মোল্লা বলেন, ‘আমার ছেলে আবিরের সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ঢাকা থেকে টুকু বাড়িতে আসে। আজ অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় টুকু তার (সীমার) ঘরে গিয়ে হাঁস পালনকে কেন্দ্র করে কথা-কাটাকাটি করে। একপর্যায়ে সীমা হাতে থাকা বঁটি দিয়ে টুকুকে কোপ দিয়ে পালিয়ে যায়। আমরা গুরুতর আহত অবস্থায় টুকুকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে থানার পুলিশ গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুন হোসেন বলেন, ‘সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হবে। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত সীমা বেগমকে ধরতে পুলিশ কাজ করছে।’

হাওরের বুক ছিঁড়ে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো মৃত বাড়ি। সোয়াড়ির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে কুন্তী-শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে...
২২ মে ২০২২
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৯ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
২৩ মিনিট আগেশরণখোলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার তাফালবাড়ি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সামনে আঞ্চলিক মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত বাদল মুন্সীর বাড়ি রায়েন্দা ইউনিয়নের লাকুড়তলা-চালিতাবুনিয়া গ্রামে। আহত চালক জান্নাত আকনের বাড়ি উপজেলা সাউথখালী ইউনিয়নের সোনাতলা গ্রামে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাদল মুন্সী জুমার নামাজ পড়তে বেলা সোয়া ১টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন। স্কুলের সামনে রাস্তা পার হতে গেলে মোটরসাইকেলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে তাঁর। এতে চালক ও বাদল মুন্সী দুজনে আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের শরণখোলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বাদল মুন্সীকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া আহত চালককে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শরণখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আরিফ মোহাম্মদ জানান, বাদল মুন্সীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। চালকের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। তাঁকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে খুলনা মেডিকেলে রেফার্ড করা হয়েছে।
শরণখোলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামিনুল হক জানান, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

হাওরের বুক ছিঁড়ে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো মৃত বাড়ি। সোয়াড়ির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে কুন্তী-শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে...
২২ মে ২০২২
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
২৩ মিনিট আগেহাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

নোয়াখালীর হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় হাতিয়া থানার গেটে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
বিক্ষোভকারীরা থানা গেটে অবস্থান নিয়ে ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ অতিরিক্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করতে দেখা যায়।
উপজেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়কারী শামছল তিব্রিজের সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন এনসিপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোশাররফ হোসেন, সদস্যসচিব মো. আলা উদ্দিন, জাতীয় যুবশক্তির জেলা আহ্বায়ক নুরুল আমিন রিপন, উপজেলা আহ্বায়ক ইউসুফ রেজা, সদস্যসচিব সাইফুল ইসলাম রাকিব, কেন্দ্রীয় উপপ্রকাশনা ও গ্রন্থনা সম্পাদক হাফিজুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, হাতিয়ায় সন্ত্রাসীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদিকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, আর এখন প্রকাশ্যে এনসিপি প্রার্থী হান্নান মাসউদকে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
তাঁরা হাদি হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারীসহ সব খুনিকে অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তার, হান্নান মাসউদকে দেওয়া হুমকির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা এবং সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশি টহল জোরদারের দাবি জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
পরে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁরা আশ্বস্ত করেন যে ওসমান হাদি হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত গতিতে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং হান্নান মাসউদকে হুমকির বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। দ্রুতই দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাসের পর বিক্ষোভকারীরা সাময়িকভাবে কর্মসূচি স্থগিত করে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। তবে এলাকায় এখনো থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

হাওরের বুক ছিঁড়ে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো মৃত বাড়ি। সোয়াড়ির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে কুন্তী-শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে...
২২ মে ২০২২
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া
২৩ মিনিট আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।
আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিকল্প সড়কসমূহ
১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।
৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।
৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির জানাজার দিন রাজধানীতে বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বাদ জোহর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এতে বিপুলসংখ্যক মানুষের সমাগমের সম্ভাবনা থাকায় ওই সময় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও আশপাশের এলাকায় যান চলাচল সীমিত থাকবে।
আজ শুক্রবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান (পিপিএম) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, জানাজা অনুষ্ঠানের সুবিধার্থে খেজুরবাগান ক্রসিং থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ পর্যন্ত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। ফলে শনিবার সকাল থেকে জানাজা ও দাফন সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত নগরবাসীকে বিকল্প সড়ক ব্যবহার করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বিকল্প সড়কসমূহ
১. মিরপুর রোড টু ফার্মগেট ভায়া মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী যানবাহন মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহন গণভবন ক্রসিং-লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেটের দিকে গমন করবে।
২. ফার্মগেট টু মানিক মিয়া অ্যাভিনিউগামী ভায়া ইন্দিরা রোডগামী যানবাহন ফার্মগেট হতে খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-গণভবন ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৩. ধানমন্ডি থেকে ফার্মগেটগামী যানবাহন ধানমন্ডি ২৭ থেকে আগত যানবাহন আসাদগেট-গণভবন ক্রসিং ডানে ইউটার্ন করে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমনাগমন করবে।
৪. আসাদগেট থেকে ফার্মগেট ক্রসিংগামী যানবাহন আসাদগেট-বাঁয়ে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট ক্রসিংয়ের দিকে গমন করবে।
৫. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে ধানমন্ডিগামী যানবাহন এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে/ইন্দিরা রোড থেকে আগত যানবাহন খেজুরবাগান ক্রসিং-ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং-বাঁয়ে মোড় নিয়ে লেক রোড-বায়ে মোড় নিয়ে আসাদগেট-সোজা পথে ধানমন্ডির দিকে গমন করবে।
৬. মিরপুর রোড থেকে ধানমন্ডি ২৭ গামী যানবাহন মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ থেকে ব্লকেড সরিয়ে ফেলা হবে বিধায় মিরপুর রোড থেকে দক্ষিণ অভিমুখী যানবাহন শ্যামলী-শিশুমেলা-গণভবন-আসাদগেট থেকে সোজা ধানমন্ডি ২৭-এর দিকে গমনাগমন করবে।
৭. এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েগামী যানবাহনসমূহকে জানাজা চলাকালীন ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হলো।
নিরাপত্তার স্বার্থে জানাজায় অংশগ্রহণকারীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারী সামগ্রী বহন না করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ নগরবাসীর সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছে।

হাওরের বুক ছিঁড়ে ছুটছে লাল ঘোড়া। গন্তব্য কোনো মৃত বাড়ি। সোয়াড়ির এক হাতে ঘোড়ার লাগাম, অন্য হাতে কুন্তী-শাবল। কাঁধে ঝোলানো ব্যাগে থাকে কোদাল, ছেনি, মাপের ফিতা, করাতসহ কবর খোঁড়ার হরেক যন্ত্র। ছুটছেন মৃত ব্যক্তির বাড়িতে...
২২ মে ২০২২
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় হাঁস পালা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে চাচাতো ভাইয়ের স্ত্রীর বঁটির কোপে টুকু মোল্লা (৪৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার আলগী ইউনিয়নের গুনপালদী গ্ৰামে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগে
বাগেরহাটের শরণখোলায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় বাদল মুন্সী (৬০) নামের এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন জান্নাত আকন (২৫) নামের ওই মোটরসাইকেলের চালকও।
১৯ মিনিট আগে
হাতিয়ায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সিনিয়র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০ মিনিট আগে