Ajker Patrika

বর্ষা শেষেই ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকাজ শুরু হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৭ জুন ২০২১, ১৮: ১৯
বর্ষা শেষেই ডিএনসিসির নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকাজ শুরু হবে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা: চলমান বর্ষা মৌসুম শেষেই ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নতুন ওয়ার্ডগুলোর উন্নয়নকাজ শুরু হবে। এর জন্য সরকার প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। পরিকল্পনার অভাবে পুরোনো ওয়ার্ডগুলোয় যে সমস্যাগুলো রয়েছে নতুন ওয়ার্ডগুলোয় সেই সমস্যা থাকবে না।

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসির) ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় জনগণের উদ্যোগে স্বেচ্ছায় প্রশস্ত করা সড়ক পরিদর্শন অনুষ্ঠানে এ কথা জানান স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।

মন্ত্রী বলেন, যেকোনো জনবসতি গড়ে উঠলে সেখানে পরিকল্পিত রাস্তা, বাড়িঘর, বিদ্যালয়, কমিউনিটি সেন্টার, দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য শপিংমল, স্বাস্থ্যসেবার জন্য হেলথ ক্লিনিক, খেলার মাঠ এবং পরিবেশ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয় গাছপালা থাকতে হবে। এগুলো বাদ দিয়ে যদি কোন উন্নয়ন হয় সেগুলো কোন উন্নয়ন নয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, অপরিকল্পিতভাবে অবকাঠামো নির্মাণ করে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত করে জনজীবন অতিষ্ঠ এবং শহরকে বিপর্যস্ত করার অধিকার কারও নেই এবং এটা করতে দেওয়া হবে না। রাজধানীসহ দেশের বড় বড় নগরে অবৈধভাবে জায়গা দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের ফলে অপরিকল্পিতভাবে জনবসতি গড়ে উঠছে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। পর্যাপ্ত রাস্তা, খোলা জায়গা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, নিজস্ব সেপ্টিক ট্যাংকসহ অন্যান্য নাগরিক সেবা নিশ্চিত না করে আর কোনো অবকাঠামো নির্মাণ করতে দেওয়া হবে না।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, স্বেচ্ছাশ্রমকে উদ্বুদ্ধ করতে পারলে জনসম্পৃক্ততা বাড়বে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এটা খুবই কার্যকর হয়েছে। জনসম্পৃক্ততার কারণেই ডেঙ্গু নিয়ে এবার বিশেষজ্ঞদের ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এবার ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কম এবং এখন পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি।

রাস্তা প্রশস্ত করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কাউন্সিলর, জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা, মসজিদের ইমাম, নারী-পুরুষ এবং স্বেচ্ছাসেবক অর্থাৎ সব শ্রেণির মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলে এসব কাজ করা সম্ভব হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে না পারলে যে কোন কাজে সফলতা পাওয়া সম্ভব না। জনগণকে সম্পৃক্ত করায় প্রত্যাশিত ফল আসছে।

খালগুলো দখলদারদের কাছ থেকে উদ্ধার করে দুই পাশে ওয়াকওয়ে নির্মাণ, সবুজায়ন করে সুন্দর নগরী গড়ে তোলার জন্য কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন হাতিরঝিলের চেয়েও আরও সুন্দর করে খালগুলোকে বিনির্মাণ করা হবে। পরিবেশের ক্ষতি করে উন্নয়নের সুফল পাওয়া যাবে না বরং কুফল বয়ে আসবে। সুন্দর জীবন-জীবিকার জন্য পারিপার্শ্বিক সবকিছু আমলে নিয়ে উন্নয়ন করতে হবে।

ঢাকা ওয়াসা থেকে খাল এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থার দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের নিকট হস্তান্তর করার ফলে রাজধানীতে জলাবদ্ধতা নিরসনে যে কাজ হয়েছে তা ম্যাজিকের মত। যার সুফল নগরবাসী পেতে শুরু করেছে। মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে দুই সিটি করপোরেশন যে কাজ করেছে এর চেয়ে বেশি কাজ করা মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় বলেও মন্তব্য করেন তাজুল ইসলাম।

পরে, মন্ত্রী স্বেচ্ছায় রাস্তা প্রশস্তকরণে যারা জায়গা দিয়েছেন এবং স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেছেন তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। এ ছাড়া, সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত