আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। এই দুই জঙ্গি নেতার নির্দেশে জেএমবির তৎকালীন সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানির নেতৃত্বে মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে শামীম, হাফিজ মাহমুদসহ অন্যরা হুমায়ুন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
এই মামলার দুই আসামি মিজানুর ও আনোয়ারুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে অমর একুশে বইমেলায় হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ প্রকাশিত হয়। বই আকারে প্রকাশের আগে উপন্যাসটি একটি জাতীয় দৈনিকের ঈদসংখ্যায় ছাপা হয়। তখন জঙ্গিরা ঈদসংখ্যাটি সংগ্রহ করে শায়খ আবদুর রহমানের নজরে আনেন। তিনি উপন্যাসটি পড়ে হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করতে জেএমবির সামরিক কমান্ডার সানিকে নির্দেশ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
একটি মামলায় ২০০৭ সালে আবদুর রহমান, বাংলা ভাই ও সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ কারণে এ মামলা থেকে তাঁদের চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঘটনার দিন হুমায়ুন আজাদ রাত সোয়া ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বের হয়ে হেঁটে টিএসসির দিকে যেতে থাকেন। বাংলা একাডেমি ও টিএসসির মাঝামাঝি অবস্থানে পৌঁছালে সানির নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা হুমায়ুন আজাদকে ঘেরাও করে ফেলেন। মিজানুর ও নূর মোহাম্মদ ব্যাগ থেকে চাপাতি-ছুরি বের করে হুমায়ুন আজাদের ঘাড়, মাথা, মুখ, গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এ সময় আনোয়ারুল ও নুরুল্লাহ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ান। এভাবে হামলাকারীরা সাধারণ লোকজনের সঙ্গে মিশে যান। রাত ১১টার দিকে শায়খ আবদুর রহমানকে এই ঘটনা মোবাইল ফোনে জানানো হয়।
আসামি আনোয়ারুল স্বীকারোক্তিতে বলেন, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যাচেষ্টার আগে বাংলা ভাই দিনাজপুরে যান। সেখানে তিনি আনোয়ারুলকে নূর মোহাম্মদের মোবাইল নম্বর দেন।
পরে ঢাকায় আনোয়ারুলের সঙ্গে মিজানুর, সানি ও নুরুল্লাহর দেখা হয়। সানি তখন আনোয়ারুল ও নুরুল্লাহকে বলেন, ‘তোমরা আজকে আমাদের সঙ্গে একটা কাজে যাবে। তোমাদের কাজ হবে নূর মোহাম্মদ ও মিজানুরকে অনুসরণ করা। তাঁদের কাজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোমা ফাটিয়ে নিরাপদে তাঁদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ পরে তাঁরা রিকশায় করে বইমেলায় যান।
নূর মোহাম্মদ ও মিজানুরের ব্যাগে চাপাতি-ছুরি ছিল। নুরুল্লাহর ব্যাগে তিনটি বোমা ছিল। বইমেলার গেটের বিপরীত পাশে একটা চটপটির দোকানে তাঁর অপেক্ষা করছিলেন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে সানি ইশারা দিয়ে হুমায়ুন আজাদের পিছু নিতে বলেন। তখন নূর মোহাম্মদ ও মিজানুর চাপাতি-ছুরি বের করে হুমায়ুন আজাদকে কোপাতে শুরু করেন। রাস্তার লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
মিজানুর বলেছেন, তাঁরা আগেই জানতেন, বইমেলা থেকে প্রতিদিন রাত ৮টা বা সাড়ে ৮টার দিকে হুমায়ুন আজাদ হেঁটে বাসায় যান। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সেদিন তাঁরা বাংলা একাডেমিতে যান। রাত সোয়া ৯টায় হুমায়ুন আজাদ যখন বইমেলা শেষে বাসায় ফিরছিলেন, তখন তারা পিছু নেন।
জবানবন্দিতে মিজানুর বলেছেন, ‘হুমায়ুন আজাদকে আমি ও নূর মোহাম্মদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করি। তখন দূরে থাকা লোকজন ছুটে এলে আনোয়ারুল একটা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। তখন লোকজন বিক্ষিপ্তভাবে পালাতে থাকে। আমরাও পালিয়ে যাই। রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে শায়খ আবদুর রহমানকে এই ঘটনা জানাই।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ও লেখক হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) শীর্ষ নেতা শায়খ আবদুর রহমান ও সিদ্দিকুল ইসলাম ওরফে বাংলা ভাই। এই দুই জঙ্গি নেতার নির্দেশে জেএমবির তৎকালীন সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানির নেতৃত্বে মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগনে শহীদ, নূর মোহাম্মদ ওরফে শামীম, হাফিজ মাহমুদসহ অন্যরা হুমায়ুন আজাদকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করেন।
এই মামলার দুই আসামি মিজানুর ও আনোয়ারুলের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালে অমর একুশে বইমেলায় হুমায়ুন আজাদের উপন্যাস ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ প্রকাশিত হয়। বই আকারে প্রকাশের আগে উপন্যাসটি একটি জাতীয় দৈনিকের ঈদসংখ্যায় ছাপা হয়। তখন জঙ্গিরা ঈদসংখ্যাটি সংগ্রহ করে শায়খ আবদুর রহমানের নজরে আনেন। তিনি উপন্যাসটি পড়ে হুমায়ুন আজাদকে হত্যার নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, হুমায়ুন আজাদকে হত্যা করতে জেএমবির সামরিক কমান্ডার সানিকে নির্দেশ দেন শায়খ আবদুর রহমান।
একটি মামলায় ২০০৭ সালে আবদুর রহমান, বাংলা ভাই ও সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। এ কারণে এ মামলা থেকে তাঁদের চার্জশিটে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
ঘটনার দিন হুমায়ুন আজাদ রাত সোয়া ৯টার দিকে বইমেলা থেকে বের হয়ে হেঁটে টিএসসির দিকে যেতে থাকেন। বাংলা একাডেমি ও টিএসসির মাঝামাঝি অবস্থানে পৌঁছালে সানির নেতৃত্বে তাঁর সহযোগীরা হুমায়ুন আজাদকে ঘেরাও করে ফেলেন। মিজানুর ও নূর মোহাম্মদ ব্যাগ থেকে চাপাতি-ছুরি বের করে হুমায়ুন আজাদের ঘাড়, মাথা, মুখ, গলা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে উপর্যুপরি আঘাত করেন। এ সময় আনোয়ারুল ও নুরুল্লাহ বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক ছড়ান। এভাবে হামলাকারীরা সাধারণ লোকজনের সঙ্গে মিশে যান। রাত ১১টার দিকে শায়খ আবদুর রহমানকে এই ঘটনা মোবাইল ফোনে জানানো হয়।
আসামি আনোয়ারুল স্বীকারোক্তিতে বলেন, ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে হুমায়ুন আজাদকে হত্যাচেষ্টার আগে বাংলা ভাই দিনাজপুরে যান। সেখানে তিনি আনোয়ারুলকে নূর মোহাম্মদের মোবাইল নম্বর দেন।
পরে ঢাকায় আনোয়ারুলের সঙ্গে মিজানুর, সানি ও নুরুল্লাহর দেখা হয়। সানি তখন আনোয়ারুল ও নুরুল্লাহকে বলেন, ‘তোমরা আজকে আমাদের সঙ্গে একটা কাজে যাবে। তোমাদের কাজ হবে নূর মোহাম্মদ ও মিজানুরকে অনুসরণ করা। তাঁদের কাজ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বোমা ফাটিয়ে নিরাপদে তাঁদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করবে।’ পরে তাঁরা রিকশায় করে বইমেলায় যান।
নূর মোহাম্মদ ও মিজানুরের ব্যাগে চাপাতি-ছুরি ছিল। নুরুল্লাহর ব্যাগে তিনটি বোমা ছিল। বইমেলার গেটের বিপরীত পাশে একটা চটপটির দোকানে তাঁর অপেক্ষা করছিলেন।
রাত সোয়া ৯টার দিকে সানি ইশারা দিয়ে হুমায়ুন আজাদের পিছু নিতে বলেন। তখন নূর মোহাম্মদ ও মিজানুর চাপাতি-ছুরি বের করে হুমায়ুন আজাদকে কোপাতে শুরু করেন। রাস্তার লোকজন চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করলে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।
মিজানুর বলেছেন, তাঁরা আগেই জানতেন, বইমেলা থেকে প্রতিদিন রাত ৮টা বা সাড়ে ৮টার দিকে হুমায়ুন আজাদ হেঁটে বাসায় যান। এই তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সেদিন তাঁরা বাংলা একাডেমিতে যান। রাত সোয়া ৯টায় হুমায়ুন আজাদ যখন বইমেলা শেষে বাসায় ফিরছিলেন, তখন তারা পিছু নেন।
জবানবন্দিতে মিজানুর বলেছেন, ‘হুমায়ুন আজাদকে আমি ও নূর মোহাম্মদ ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করি। তখন দূরে থাকা লোকজন ছুটে এলে আনোয়ারুল একটা বোমার বিস্ফোরণ ঘটান। তখন লোকজন বিক্ষিপ্তভাবে পালাতে থাকে। আমরাও পালিয়ে যাই। রাত ১১টার দিকে মোবাইল ফোনে শায়খ আবদুর রহমানকে এই ঘটনা জানাই।’
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং চোরাচালান বন্ধে বুলেটপ্রুফ গাড়ি নিয়ে টহল শুরু করেছে বিজিবি। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে চোরাচালানের জোন বলে খ্যাত সীমান্ত সড়কের ৪২ নম্বর পিলার থেকে ৫৪ নম্বর পিলার পর্যন্ত আট কিলোমিটার এলাকায় টহল দিচ্ছেন বিজিবির
৪ মিনিট আগেবাগেরহাটের কচুয়ায় ‘চলো পাল্টাই’ সংগঠন ও শিক্ষার্থীরা বিনা লাভের বাজার চালু করেছে। খোলা বাজারের চেয়ে ১০-২০ টাকা কমে আলু, পেঁয়াজ, ডালসহ বিভিন্ন পণ্য বিক্রি হচ্ছে।
১৪ মিনিট আগেবৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় করা মামলায় কুড়িগ্রামের উলিপুরে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চার নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করে।
৩৩ মিনিট আগেপদ্মা সেতু নির্মাণে আওয়ামী লীগের কৃতিত্ব নেই উল্লেখ করে এই নেতা বলেন, ‘বলতে পারেন আওয়ামী লীগ পদ্মা সেতু করেছে। আমি যদি কষ্ট করে উপার্জন করে একটা তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে সাধুবাদ জানাবে, মোবারকবাদ জানাবে। আর যদি মানুষের থেকে লোন নিয়ে তিনতলা বিল্ডিং করি, মানুষ আমাকে বেহায়া বলবে। হাসিনা যখন ২০০৯
১ ঘণ্টা আগে