Ajker Patrika

টিকটকে ভাইরাল হতে মদের বোতলে জুস খেয়েছিল শিক্ষার্থীরা: তদন্ত প্রতিবেদন

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৪, ২২: ৩১
টিকটকে ভাইরাল হতে মদের বোতলে জুস খেয়েছিল শিক্ষার্থীরা: তদন্ত প্রতিবেদন

টিকটকে ভাইরাল হতে শিক্ষাসফরের বাসে মদের বোতলে জুস নিয়ে মদ্যপানের অভিনয় করে ভিডিও করে শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক মাধ্যমে সেটি ছড়িয়ে পড়ে। ওই ঘটনায় মদ্যপানের অভিযোগ এনে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

তবে ডোপ টেস্ট আর তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এসেছে, টিকটকে ভাইরাল হতেই মদের বোতলে জুস ভরে পান করার দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে শিক্ষার্থীরা। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুর জেলার শিবচরের শিকদারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের থেকে পিকনিক করতে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও যায় নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী-শিক্ষকেরা। যাওয়ার পথে বাসের ভেতর মদের বোতল থেকে তরল বস্তু পান করার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যা মদ বলে প্রচারিত হয়। 

এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক ওয়ালিদ মোর্শেদ ও আল নোমানকে সাময়িক বরখাস্ত এবং চার শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। 

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ডোপ টেস্টে অভিযুক্তদের শরীরে মদের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। 

 ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত শিকদারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা সাড়ে ৪০০। সেখান থেকে নবম ও দশম শ্রেণির ৪১ শিক্ষার্থী পিকনিকে অংশ নেয়। তাদের সঙ্গে যান বিদ্যালয়ের ১৬ জন শিক্ষক-কর্মচারী। 

বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী নাফিস আহম্মেদ বলে, ‘ভিডিওতে দেখলাম ছাত্ররা জুস মিশিয়ে খেয়েছে, এটা আসলে মদ ছিল না। ওরা ভাইরাল হওয়ার জন্যই এটি করেছে।’ 
মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী নুর আলম বলে, ‘বন্ধুরা ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার জন্য জুস বোতলে ভরে পান করে। সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে যায়।’

সাময়িক বরখাস্ত শিক্ষক মো. ওয়ালিদ মোর্শেদ বলেন, ‘টিকটকে আসক্ত হয়েই শিক্ষার্থীরা এই কর্মকাণ্ড করে। আমি বোতল হাতে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখেছিলাম ভেতরে কী আছে, এতেই আমার কাল হয়! বাসের ভেতর আমার পুরো পরিবার ছিল, তাদের সামনে মদ পান করা কখনই সম্ভব না।’ 

এ বিষয়ে শিকদারহাট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আলাউদ্দিন শিকদার বলেন, ‘পুরাতন মদের বোতল সংগ্রহ করে শিক্ষার্থীরা টিকটক করার জন্য জুস ভরে ভিডিও করে। আর সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এতে একদিকে বিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে, অন্যদিকে মানসম্মান নষ্ট হয়েছে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের। এটি প্রথমে বুঝতে পারলে সবাইকে সতর্ক করা হতো। শেষমেশ সবাইকে ডোপ টেস্ট করানো হলে, সবার নেগেটিভ আসে রিপোর্টে। কিন্তু বিদ্যালয়ের যা ক্ষতি হয়েছে সেটা কখনই পূরণ হওয়ার নয়।’ 

মাদারীপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাবিব উল্লাহ খান জানান, ঘটনার পর তিন সদস্যদের তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। তদন্তে উঠে এসেছে মদ নয়, বোতলে জুস পানের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোঁড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত