মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে ২০ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাঁদের মধ্যে দুজন জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৭। এখানে ১৮০টি কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৫২২টি। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ (ঈগল) ৮৬ হাজার ৯৪১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম রুবেল ৩৮ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়েছেন। অন্য দুজন প্রার্থী আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি। তাঁরা দুজন হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোনায়েম খান ও গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খান।
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-সদরের একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তাঁদের আটজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। ১৯৩টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২টি। এ আসনে ট্রাক প্রতীকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান, দেওয়ান সফিউল আরেফিন, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ কে এম ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এ কে নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীর হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফেরদৌস আহমেদ আসিফ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাকির হোসেন।
মানিকগঞ্জ-৩ (সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদরের সাতটি ইউনিয়ন) আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৫২টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সবাই জামানাত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল আলম রুবেল, গণফোরামের মফিজুল ইসলাম খান কামাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ খালেক দেওয়ান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এম হাবিব উল্লাহ ও তৃণমূল বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ।
মানিকগঞ্জে ১৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপিসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় অধিকাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থেকেছেন। এ ছাড়া যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তার অধিকাংশই নতুন। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো নেই। এলাকায় তাদের পরিচিতি নেই। মূলত আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচনে ছিলেন। এই নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়াই ছিল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। এসব কারণেই তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানিকগঞ্জের তিনটি সংসদীয় আসনে ২০ জন সংসদ সদস্য প্রার্থী হয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীই জামানত হারিয়েছেন। জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ঘোষিত ফলাফল বিশ্লেষণ করে এ চিত্র পাওয়া গেছে।
নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী, কোনো আসনে প্রদত্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগের কম পেলে ওই প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।
রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ (ঘিওর-দৌলতপুর-শিবালয়) আসনে প্রার্থী ছিলেন চারজন। তাঁদের মধ্যে দুজন জামানত হারাচ্ছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৩৬ হাজার ৯৯৭। এখানে ১৮০টি কেন্দ্রের প্রদত্ত ভোটের সংখ্যা ১ লাখ ২৯ হাজার ৫২২টি। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সালামের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়। এই আসনে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ (ঈগল) ৮৬ হাজার ৯৪১ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের জাতীয় পার্টির প্রার্থী মো. জহিরুল আলম রুবেল ৩৮ হাজার ৯৪২ ভোট পেয়েছেন। অন্য দুজন প্রার্থী আট ভাগের এক ভাগ ভোট পাননি। তাঁরা দুজন হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের মোনায়েম খান ও গণফ্রন্টের মোহাম্মদ শাহজাহান খান।
মানিকগঞ্জ-২ (সিঙ্গাইর-হরিরামপুর-সদরের একাংশ) আসনে প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। তাঁদের আটজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৯। ১৯৩টি কেন্দ্রে প্রদত্ত ভোট ১ লাখ ৯৪ হাজার ৭৫২টি। এ আসনে ট্রাক প্রতীকে আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী দেওয়ান জাহিদ আহমেদ ৮৮ হাজার ৩০৯ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম পেয়েছেন ৮২ হাজার ১৩৮ ভোট। এ আসনে জামানত হারানো প্রার্থীরা হলেন আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী মুশফিকুর রহমান খান, দেওয়ান সফিউল আরেফিন, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ কে এম ইকবাল হোসেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির এ কে নাহিদ, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের তানভীর হাসান, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশনের ফেরদৌস আহমেদ আসিফ ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের মো. জাকির হোসেন।
মানিকগঞ্জ-৩ (সাটুরিয়া, মানিকগঞ্জ পৌর এলাকা ও সদরের সাতটি ইউনিয়ন) আসনে প্রার্থী ছিলেন ছয়জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজনই জামানত হারিয়েছেন। এ আসনে ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৫৯। মোট ভোট পড়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ৬৫২টি। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ১ লাখ ২৬ হাজার ৭২০ ভোট পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সবাই জামানাত হারিয়েছেন। তাঁরা হলেন জাতীয় পার্টির মো. জহিরুল আলম রুবেল, গণফোরামের মফিজুল ইসলাম খান কামাল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এ খালেক দেওয়ান, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এম হাবিব উল্লাহ ও তৃণমূল বিএনপির মোয়াজ্জেম হোসেন খান মজলিশ।
মানিকগঞ্জে ১৫ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জ জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান মিঞা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) মানিকগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বিশ্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিএনপিসহ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করায় অধিকাংশ ভোটার ভোটদানে বিরত থেকেছেন। এ ছাড়া যেসব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে, তার অধিকাংশই নতুন। তাদের সাংগঠনিক কাঠামো নেই। এলাকায় তাদের পরিচিতি নেই। মূলত আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই নির্বাচনে ছিলেন। এই নির্বাচনকে বৈধতা দেওয়াই ছিল অন্যান্য রাজনৈতিক দলের লক্ষ্য। এসব কারণেই তাঁদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
কালাবদর নদের তীরের গ্রাম বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ জাঙ্গালিয়া। গভীর রাতে খননযন্ত্রের (এক্সকাভেটর) শব্দে গ্রামটির মানুষের ঘুম ভেঙে যায়। প্রতিরাতে একদল লোক কয়েকটি ট্রলারে এসে এক্সকাভেটর দিয়ে নদের তীরের মাটি কেটে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী ভয়ে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।
৮ মিনিট আগেচট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বাসচাপায় মো. ফটিক ইসলাম (৩৫) নামে পথচারী এক যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাড়বকুণ্ড বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অজ্ঞাত গাড়ির চাপায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই যুবক নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত সোয়া দশটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের উপজেলার উত্তর হারবাং এলাকার আজিজনগর নুরু চেয়ারম্যান ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনায় ঘটে। নিহত দুজনের নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
১ ঘণ্টা আগে