Ajker Patrika

মনোনয়নপত্র বাতিলই থাকল সেলিম প্রধানের, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ১৬ মে ২০২৪, ১৫: ০২
মনোনয়নপত্র বাতিলই থাকল সেলিম প্রধানের, ১০ হাজার টাকা জরিমানা

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন না ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত ও সাজাপ্রাপ্ত সেলিম প্রধান। নির্বাচনে ফিরতে আপিল বিভাগে মামলা না চালানোর আর্জি জানালে তাঁকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন। 

বৃহস্পতিবার মামলাটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ছিল। তবে সেলিম প্রধানের পক্ষে অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড এ কে এম নরুল আলম আবেদনটি নন-প্রসিকিউশন (মামলা না চালানো) করার আবেদন করেন। তখন আপিল বিভাগ বলেন, আপনাদের জরুরি বিবেচনা করে আবেদনটি লিস্টে আনা হয়েছে। এখন বলছেন নন প্রসিকিউশন করবেন। এটা ছেলেখেলা না। সবকিছুর একটা সীমা থাকা দরকার। এরপর আপিল বিভাগ চেম্বার আদালতের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন। আর আদালতের সময় নষ্ট করায় সেলিম প্রধানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। 

দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় চার বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছিলেন সেলিম প্রধান। মুক্তির পর উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। তবে সেই দণ্ড থেকে মুক্তিলাভের পর পাঁচ বছর অতিবাহিত না হওয়ার কথা উল্লেখ করে গত ২৩ এপ্রিল সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এর বিরুদ্ধে সেলিম প্রধান আপিল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে গত ২৮ এপ্রিল নামঞ্জুর হয়। পরে আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। 

সেলিম প্রধানের করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ এপ্রিল রুল দিয়ে হাইকোর্ট মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন। একই সঙ্গে সেলিম প্রধানের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করে তাঁকে প্রতীক বরাদ্দ দিতে নির্দেশ দেন। এতে সেলিম প্রধানের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার পথ খুলেছিল। 

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের অপর প্রার্থী হাবিবুর রহমান আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ২ মে চেম্বার আদালত সেলিম প্রধানের প্রার্থিতা বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেন। এরপর ৬ মে হাইকোর্টের আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করা হয়। এরপর নির্বাচনে ফিরতে চেম্বার আদালতের আদেশ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করতে আবেদন করেন সেলিম প্রধান, যা পাঠানো হয় আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে। 

নির্বাচন কমিশনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার খান মোহাম্মদ শামীম আজিজ, ব্যারিস্টার আশফাকুর রহমান। অপর প্রার্থী হাবীবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন খুরশীদ আলম খান ও ব্যারিস্টার মাহিন এম রহমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত