Ajker Patrika

পদের আশায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত করেছিলেন যুবদলের ২ নেতা: র‍্যাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১৬: ৩৫
পদের আশায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত করেছিলেন যুবদলের ২ নেতা: র‍্যাব

বড় পদের আশায় উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন বিস্ফোরক মজুত করেছিলেন যুবদলের দুই নেতা। এসব বিস্ফোরক সরবরাহও করেছেন তাঁরা। এমন অভিযোগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে কালভার্ট রোড এলাকা থেকে মুগদা যুবদল নেতা মো. বাবুল মিয়া (৪০) ও মো. মাসুদ শেখকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-৩।

আজ বুধবার দুপুরে কারওয়ান বাজার র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

গ্রেপ্তারদের কাছে থেকে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ৬ কেজি ১০০ গ্রাম বিস্ফোরক পাউডার, ১৫৭ বোতল ফেনসিডিল, একটি ডিজিটাল পাল্লা, ১০টি মোবাইল ফোন এবং নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে বলে র‍্যাব জানিয়েছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র‍্যাবের অধিনায়ক আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, ‘রাজধানীর ফকিরাপুল কালভার্ট রোড এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারী মুগদা থানাধীন ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল নেতা বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি মুগদা থানার যুবদলের পদপ্রত্যাশী। দলের উচ্চপর্যায় থেকে তাঁকে নাশকতামূলক কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করলে উচ্চপদ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়।’

তিনি আরও বলেন, এরই পরিপ্রেক্ষিতে, তিনি মুগদা থানার যুবদল নেতা জসীমউদ্দিন বাবু ও মো. আল মামুন পান্নার সহযোগিতায় উচ্চ বিস্ফোরণ ক্ষমতাসম্পন্ন বোমা তৈরির বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পাউডার সংগ্রহ করে নিজের কাছে মজুত রাখেন। তিনি বিভিন্ন সময় দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশে বিভিন্ন নেতা-কর্মীর কাছে এই বিস্ফোরকদ্রব্য সরবরাহ করে আসছেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরে বড় ধরনের নাশকতা সৃষ্টির জন্যই এসব উচ্চক্ষমতার বিস্ফোরক সংগ্রহ করা হয়েছে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে জানিয়েছেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ। তিনি বলেন, ‘এর আগে ২০১৮ সালে সংঘটিত নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশ্যে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার সময় তাকে (বাবুল) হাতেনাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।’ 

র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আসামি মাসুদ শেখ ১৯৯৮ সালে খুলনা জিলা স্কুল থেকে এসএসসি পাস করে ২০০২ সালে ঢাকা আল-আমিন বিস্কুট কোম্পানিতে বিক্রেতা হিসেবে ছয় বছর চাকরি করে। চাকরির পাশাপাশি অধিক লাভের আশায় তিনি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। জিজ্ঞাসাবাদে মাসুদ নিজেকে বিএনপির সমর্থক বলে পরিচয় দিয়েছেন। রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী এবং একই দলের সম্পৃক্ততার কারণে মাসুদ তাঁর মাদক ব্যবসা বিস্তারের জন্য বিগত এক বছর ধরে বাবুলের সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘গ্রেপ্তার বাবুল মিয়া মুগদা এলাকায় নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার পর পালিয়ে গিয়ে ফকিরাপুলের কালভার্ট রোডে মাসুদের বাসায় আত্মগোপন করেন। বাবুল মিয়াকে অর্থ দিয়ে সহায়তা করেন মাসুদ এবং বিস্ফোরকদ্রব্য নিজ বাসায় রাখতে সহায়তা করেন।’

পুরান ঢাকায় আদালতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। একজন বোরকা পরিহিত নারীর ব্যাগে রাখা ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।’

পুরান ঢাকায় কেমিক্যাল মার্কেটে নজরদারির বিষয়ে জানতে চাইলে র‍্যাব-৩-এর অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা তদন্তের স্বার্থে এখনো কিছু বলছি না। এই বিস্ফোরকের উৎস নিয়ে কাজ করছি। আমাদের গোয়েন্দারা নজরদারি করছেন। দ্রুতই এ বিষয়ে বিস্তারিত পাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতীয় নির্বাচন: ভোট কমিটির নেতৃত্বে ডিসি–ইউএনওকে না রাখার চিন্তা

মাগুরার শিশুটি এখনো অচেতন, চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান

ঈদে পুলিশের সহযোগী ফোর্স হবে বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মী, পাবে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা

তিন নারী আমার জীবনে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ: তারেক রহমান

গত দশ বছর ভিসা না পাওয়ার কারণে বাংলাদেশে আসতে পারিনি: মাইলাম

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত