নিজস্ব প্রতিবেদক, নারায়ণগঞ্জ থেকে

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার আজ। গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই চোখ নারায়ণগঞ্জে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে রাস্তায় নেমেছেন হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। কিন্তু জানা গেল, বেলা ৩টায় রেলগেটের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভা ছাড়া তেমন কোনো শোডাউন নেই নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
সংবাদকর্মীরা যান আইভীর দেওভোগের বাসায়। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বাসভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ।
বহিরাগতদের এনে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন হোটেলে তাঁরা থাকছেন, যেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তৈমুর আলম খন্দকারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘সার্কিট হাউসে কারা থাকছেন আমার জানা নেই। আমি যতটুকু জানি, অনেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও হতে পারে। অথবা অন্য কেউ হতে পারে। তবে কারা আসছেন। কারা থাকছেন, আমার জানা নাই। জনতাই আমার শক্তি। আমি কিন্তু মানুষের কাছেই যাই। তাই বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচন করাব কেন? উনি কাকে বুঝিয়েছেন জানি না। কারণ আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে, মানুষও নারায়ণগঞ্জের। আমার বাড়ি রূপগঞ্জে না যে বহিরাগত কাউকে আনব।’
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন কারণে হয়তো আসছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি। তাঁরাও কিন্তু জানেন আইভী কীভাবে রাজনীতি করে। কীভাবে ভোটারদের কাছে যায়। যদি তা না জানতেন, তাহলে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে আমাকে নৌকা দিতেন না। কারণ উনিও জানেন ওনার আইভী মানুষের দ্বারেই যায়। আমার একমাত্র পথ হলো জনগণ। তাই নেতারা আসতেই পারেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ কী করছে, তাদের অবস্থানটা কোথায়, এটা পর্যবেক্ষণ করতে তাঁরা আসতে পারেন। কিন্তু আমাকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি তো সারাক্ষণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগে আপনারা বিব্রত কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকার পাশেই আসলে নারায়ণগঞ্জ। এখানে নির্বাচন হচ্ছে। আসতেই পারেন। দেখতেই পারেন। আর অনেকেই বলছেন এখানে নির্বাচন একটু ভিন্ন। তাই তাঁদের অনেকেই আসেন। আমাদের প্রতিপক্ষের কিন্তু অনেকেই আসেন। তাঁরা হয়তো নীরবে প্রচারণা করছেন।’
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিরোধী পক্ষ। আপনি কি আশা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।’
নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হবে মনে করেন না জানিয়ে আইভী বলেন, ‘আমার কোনো বাহিনীও নাই। আর কোনো দিন সহিংসতা করিও না। বরং সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি, একটি পক্ষ তা-ই চাইছে। আমার যেসব এলাকা জমজমাট, সেখানে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে এবং নারী ভোটাররা আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই। সুতরাং আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংসতা করে, তাহলে এটা ঠিক হবে না। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব তা নিয়ন্ত্রণ আনতে।’
কারা আপনার ভোটারদের বাধা দিচ্ছে, সেটা প্রতিপক্ষ নাকি নিজ দলের—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘যারা বাধা দিচ্ছে, তারা কিন্তু একটা সময়ে এক হয়ে যায়। আপন আর পর কী? এখানে তো নির্বাচনটা হচ্ছে আইভী বনাম অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে অনেক পক্ষই এক হতে পারে। আমি ধারণা করছি। আইভীকে পরাজিত করতে অনেক পক্ষই এক হয়ে গেছে। সেটা ঘরেরও হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়। বিশৃঙ্খলা করে ভোটটাকে ঝামেলা করা যায়। কারণ সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
এই অনেক পক্ষ নিয়ে আপনি কি আপনার পুরোনো অবস্থানেই রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার আগের জায়গায় রয়েছি। প্রথম থেকে যা বলেছি, এখনো সেই জায়গায় আছি। বারবার বলেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে সতর্ক থাকে।’
বহু পক্ষের খেলা বন্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে আলাপ-আলোচনা করি নাই। কারণ বিগত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তা ছাড়া দলের উচ্চপর্যায়ের বিষয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’
আইভী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয় এবং কোথাও কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। এটা আমার চাচা নিজেও জানেন, এখানে আসলে আমার কী অবস্থা।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ। আমার বন্ধন হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে সব জায়গার মানুষের। আমাকে দুর্বল করা এত সহজ কিছু নয়। আমি কোনো কিছুতেই দুর্বল হব না। দুর্বল করতে পারবে না। কেউ প্রভাবিত করতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশাসনের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, তাঁরা কী আলাপ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছেন। আমার বিজয় নিয়ে তারা শঙ্কিত ছিলেন না। তাঁরা ভালো করেই জানেন আইভী বিজয়ী হবে। আমার মনে হয় কেন্দ্রের নেতারা কাউকে প্রভাবিত করছেন। তারা হয়তো এখানে এসে কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। এত বড় দলে একটু সমস্যা থাকেই। তাই তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করছেন বলে আমার মনে হয়।’
তাঁরা নিজ দলের কাউকে নজরদারিতে রাখছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘তা ঠিক বলব না। কেন্দ্র কী করছে, তাঁরাই বলবেন। আমি তো আপনাদের সামাল দিতে ব্যস্ত আছি। প্রতিটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটির আলাদা আলাদা ধরন ছিল। এই নির্বাচন বিভিন্ন কারণেই চ্যালেঞ্জিং।’
মানুষের প্রত্যাশা কেমন—এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘প্রত্যাশার কোনো শেষ নাই। আপনি যত দেবেন, আরও চাহিদা তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু পুরোনো জনবহুল শহর। এখানে ভাসমান মানুষ অনেক। প্রতিদিনই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তার পরও চেষ্টা ইট-পাথরের এই শহরকে সবুজায়নের জন্য। বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং। এখানে জবাবদিহিও বেশি। তাই আমি নগরকে একটু নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেখ রাসেল পার্ক করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু কেউ রুখতে পারেনি। এখন তো সবাই যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কাজ করা খুব কঠিন। সেটা নিয়ে কাজ করি। কোনো কাজ থেকে পিছপা হইনি।’
সমর্থকদের আটক সম্পর্কে তৈমুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাকে ধরেছে আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করি নাই। নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের অভাব নাই। কালকে রাতেও মোটরসাইকেল মহড়া হয়েছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাইছে। আমার গাড়ির সামনে দুইটা মোটরসাইকেল থাকুক তা-ও চাই না। এই শহরের মানুষ আমার চরিত্র জানে। আমি রিকশায় যাই, নিজে হাঁটি। হঠাৎ করে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাওয়ার কারণটা কী? সন্ত্রাসী যেকোনো দলের হতে পারে। আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। সেই কাজগুলো অতি উৎসাহী হয়ে কারা করছে? নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা আমি করি নাই। যদি কেউ করে, সেটা ঠিক রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক সবার চাওয়া। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই। আমি তো ভয় পাচ্ছি কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়ে আমার নির্বাচনে সমস্যা হয় নাকি। আমি বিজয়ী হব। চাচার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। তার সঙ্গে কাজ করব।’
সংখ্যালঘুদের ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে একটা অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুব খারাপ। নেতারা গেলে মানুষ ভয় পায়। ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটাকে বাধা দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে কে বা কারা টাকা দিচ্ছে জানি না। আমার টাকা নাই। থাকলেও দিতাম না। নির্বাচনে টাকা দেওয়া নীতি-নৈতিকতার ব্যাপার। খুবই বিব্রতকর। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
শামীম ওসমানের অনুসারীরা কী কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে কাজ করেছে বা করে নাই। আমার দেখারও সময় ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে ছিলেন। তাঁরা দেখবেন। আমি আওয়ামী লীগের সব কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন আমাকে ভোট দেয়। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করেছি। ওই সিটে বসে দল, ধর্ম দেখি নাই। দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। শুধু একজনের না, আমার দল আওয়ামী লীগের না, সবার কাছে ভোট চাই। এটা আমার অধিকার, আত্মিক সম্পর্কের দাবি। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। আমার কোনো বাহিনী নাই। তাই আমার জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রয়েছে। সহিংসতা হলে তারা রোধ করবেন।’
জিতলে আগামী দিনের কার্যক্রম নিয়ে নাসিকের দুইবারের মেয়র বলেন, ‘আমি শীতলক্ষ্যার দিকে নজর দেব। কদমরসুল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন হবে। ভোটারদের কাছে অনুরোধ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোট দেবেন নৌকায়। আমি বিগত সময় থেকে অন্যায়ের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলাম। যেটাতে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন সেখানে হব। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করব না। এই শহরে খুন ও রাহাজানির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নিজেও কখনো এটা করি না।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘আপনারা আইভীকে চেনেন ও জানেন। আমি আপনাদের মানুষ। নিজের দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। টাকাপয়সার সঙ্গে লেনদেন ছিলাম না। কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। সেটাই হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ শহর গড়ার জন্য আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। বিপদে আপনাদের পাশে থাকব। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করব না। কারণ আমার কোনো বিশেষ বাহিনী নাই।’
আরও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচার আজ। গণমাধ্যমকর্মী থেকে শুরু করে সবারই চোখ নারায়ণগঞ্জে। আজ শুক্রবার সকাল থেকে পুরোদমে রাস্তায় নেমেছেন হাতি মার্কার প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। কিন্তু জানা গেল, বেলা ৩টায় রেলগেটের আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে পথসভা ছাড়া তেমন কোনো শোডাউন নেই নৌকার প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভীর।
সংবাদকর্মীরা যান আইভীর দেওভোগের বাসায়। শুক্রবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের বাসভবনে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি ।
বহিরাগতদের এনে নির্বাচন পরিচালনা করছেন। সার্কিট হাউসসহ বিভিন্ন হোটেলে তাঁরা থাকছেন, যেটা আচরণবিধি লঙ্ঘন। তৈমুর আলম খন্দকারের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে আইভী বলেন, ‘সার্কিট হাউসে কারা থাকছেন আমার জানা নেই। আমি যতটুকু জানি, অনেকেই নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসেন। সেটা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর লোকজনও হতে পারে। অথবা অন্য কেউ হতে পারে। তবে কারা আসছেন। কারা থাকছেন, আমার জানা নাই। জনতাই আমার শক্তি। আমি কিন্তু মানুষের কাছেই যাই। তাই বহিরাগতদের দিয়ে নির্বাচন করাব কেন? উনি কাকে বুঝিয়েছেন জানি না। কারণ আমার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে, মানুষও নারায়ণগঞ্জের। আমার বাড়ি রূপগঞ্জে না যে বহিরাগত কাউকে আনব।’
ঢাকা থেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের আগমন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘তারা হয়তো তাঁদের দায়িত্ব পালন করছেন। বিভিন্ন কারণে হয়তো আসছেন। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে বলছি। তাঁরাও কিন্তু জানেন আইভী কীভাবে রাজনীতি করে। কীভাবে ভোটারদের কাছে যায়। যদি তা না জানতেন, তাহলে কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এই সময়ে আমাকে নৌকা দিতেন না। কারণ উনিও জানেন ওনার আইভী মানুষের দ্বারেই যায়। আমার একমাত্র পথ হলো জনগণ। তাই নেতারা আসতেই পারেন। নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ কী করছে, তাদের অবস্থানটা কোথায়, এটা পর্যবেক্ষণ করতে তাঁরা আসতে পারেন। কিন্তু আমাকেও মুক্ত করে দিয়েছেন। আমি তো সারাক্ষণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছি।’
কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে বিরোধী পক্ষের অভিযোগে আপনারা বিব্রত কি না— এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঢাকার পাশেই আসলে নারায়ণগঞ্জ। এখানে নির্বাচন হচ্ছে। আসতেই পারেন। দেখতেই পারেন। আর অনেকেই বলছেন এখানে নির্বাচন একটু ভিন্ন। তাই তাঁদের অনেকেই আসেন। আমাদের প্রতিপক্ষের কিন্তু অনেকেই আসেন। তাঁরা হয়তো নীরবে প্রচারণা করছেন।’
নির্বাচনে সহিংসতার আশঙ্কা করছে বিরোধী পক্ষ। আপনি কি আশা করছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী।’
নির্বাচনে কোনো সহিংসতা হবে মনে করেন না জানিয়ে আইভী বলেন, ‘আমার কোনো বাহিনীও নাই। আর কোনো দিন সহিংসতা করিও না। বরং সহিংসতা হলে আমার ক্ষতি হবে। ভোটাররা আসতে পারবে না। আমি যদি বলি, একটি পক্ষ তা-ই চাইছে। আমার যেসব এলাকা জমজমাট, সেখানে হয়তো কেউ সহিংসতা করে ভোটকেন্দ্রে আসতে বাধা দিতে পারে। ভোটের দিন যাতে উৎসবমুখর পরিবেশ থাকে এবং নারী ভোটাররা আসতে পারে। কারণ আমি জানি এই ভোটগুলো আমার। আমি নির্বাচনে জিতবই। সুতরাং আমার বিজয় সুনিশ্চিত জেনে কেউ যদি সহিংসতা করে, তাহলে এটা ঠিক হবে না। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অনুরোধ করব তা নিয়ন্ত্রণ আনতে।’
কারা আপনার ভোটারদের বাধা দিচ্ছে, সেটা প্রতিপক্ষ নাকি নিজ দলের—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘যারা বাধা দিচ্ছে, তারা কিন্তু একটা সময়ে এক হয়ে যায়। আপন আর পর কী? এখানে তো নির্বাচনটা হচ্ছে আইভী বনাম অনেক কিছু। সে ক্ষেত্রে অনেক পক্ষই এক হতে পারে। আমি ধারণা করছি। আইভীকে পরাজিত করতে অনেক পক্ষই এক হয়ে গেছে। সেটা ঘরেরও হতে পারে, বাইরেরও হতে পারে। কীভাবে আমাকে পরাজিত করা যায়। বিশৃঙ্খলা করে ভোটটাকে ঝামেলা করা যায়। কারণ সবাই জানে আমার বিজয় সুনিশ্চিত।’
এই অনেক পক্ষ নিয়ে আপনি কি আপনার পুরোনো অবস্থানেই রয়েছেন—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আমার আগের জায়গায় রয়েছি। প্রথম থেকে যা বলেছি, এখনো সেই জায়গায় আছি। বারবার বলেছি, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে সতর্ক থাকে।’
বহু পক্ষের খেলা বন্ধে কেন্দ্রীয় নেতারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে ওইভাবে আলাপ-আলোচনা করি নাই। কারণ বিগত ২৮ ডিসেম্বর থেকে খুবই ব্যস্ত ছিলাম। তা ছাড়া দলের উচ্চপর্যায়ের বিষয়ে আমার কথা না বলাই ভালো।’
আইভী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক হয় এবং কোথাও কেন্দ্র বন্ধ না হয়, তাহলে ইনশাআল্লাহ আমি লক্ষাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হব। এটা আমার চাচা নিজেও জানেন, এখানে আসলে আমার কী অবস্থা।’
তৈমুর আলমের অভিযোগ আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করার জন্য কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি স্ট্রং পার্সোনালিটির মানুষ। আমার বন্ধন হলো তৃণমূল পর্যায় থেকে সব জায়গার মানুষের। আমাকে দুর্বল করা এত সহজ কিছু নয়। আমি কোনো কিছুতেই দুর্বল হব না। দুর্বল করতে পারবে না। কেউ প্রভাবিত করতে পারবে না।’
আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশাসনের বৈঠক প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না, তাঁরা কী আলাপ করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়েছেন। আমার বিজয় নিয়ে তারা শঙ্কিত ছিলেন না। তাঁরা ভালো করেই জানেন আইভী বিজয়ী হবে। আমার মনে হয় কেন্দ্রের নেতারা কাউকে প্রভাবিত করছেন। তারা হয়তো এখানে এসে কাউকে পর্যবেক্ষণ করছেন। কোনো বিশৃঙ্খলা যাতে তৈরি না হয়। এত বড় দলে একটু সমস্যা থাকেই। তাই তাঁরা সেটাই পর্যবেক্ষণ করছেন বলে আমার মনে হয়।’
তাঁরা নিজ দলের কাউকে নজরদারিতে রাখছেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘তা ঠিক বলব না। কেন্দ্র কী করছে, তাঁরাই বলবেন। আমি তো আপনাদের সামাল দিতে ব্যস্ত আছি। প্রতিটি নির্বাচনই চ্যালেঞ্জিং ছিল। প্রতিটির আলাদা আলাদা ধরন ছিল। এই নির্বাচন বিভিন্ন কারণেই চ্যালেঞ্জিং।’
মানুষের প্রত্যাশা কেমন—এ বিষয়ে আইভী বলেন, ‘প্রত্যাশার কোনো শেষ নাই। আপনি যত দেবেন, আরও চাহিদা তৈরি হবে। নারায়ণগঞ্জ কিন্তু পুরোনো জনবহুল শহর। এখানে ভাসমান মানুষ অনেক। প্রতিদিনই বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হয়। তার পরও চেষ্টা ইট-পাথরের এই শহরকে সবুজায়নের জন্য। বাংলাদেশের স্থানীয় পর্যায়ে কাজ করা চ্যালেঞ্জিং। এখানে জবাবদিহিও বেশি। তাই আমি নগরকে একটু নিশ্বাস নেওয়ার জায়গা করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। শেখ রাসেল পার্ক করতে গিয়ে মামলা-হামলার শিকার হয়েছি। কিন্তু কেউ রুখতে পারেনি। এখন তো সবাই যাচ্ছে। নারায়ণগঞ্জে কাজ করা খুব কঠিন। সেটা নিয়ে কাজ করি। কোনো কাজ থেকে পিছপা হইনি।’
সমর্থকদের আটক সম্পর্কে তৈমুরের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘কাকে ধরেছে আমি জানি না। জানার চেষ্টাও করি নাই। নারায়ণগঞ্জ শহরে কিশোর গ্যাংয়ের অভাব নাই। কালকে রাতেও মোটরসাইকেল মহড়া হয়েছে। ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাইছে। আমার গাড়ির সামনে দুইটা মোটরসাইকেল থাকুক তা-ও চাই না। এই শহরের মানুষ আমার চরিত্র জানে। আমি রিকশায় যাই, নিজে হাঁটি। হঠাৎ করে মোটরসাইকেল মহড়া দিয়ে নৌকার ভোট চাওয়ার কারণটা কী? সন্ত্রাসী যেকোনো দলের হতে পারে। আমার চরিত্রের সঙ্গে যায় না। সেই কাজগুলো অতি উৎসাহী হয়ে কারা করছে? নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা আমি করি নাই। যদি কেউ করে, সেটা ঠিক রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হোক সবার চাওয়া। সন্ত্রাসীদের কোনো দল নাই। আমি তো ভয় পাচ্ছি কাউন্সিলর নির্বাচন নিয়ে সহিংসতা হয়ে আমার নির্বাচনে সমস্যা হয় নাকি। আমি বিজয়ী হব। চাচার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে। তার সঙ্গে কাজ করব।’
সংখ্যালঘুদের ভোটে প্রভাবিত করার চেষ্টা হচ্ছে বলে একটা অভিযোগ এসেছে। তিনি বলেন, ‘এটা খুব খারাপ। নেতারা গেলে মানুষ ভয় পায়। ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এটাকে বাধা দিতে হবে। নারায়ণগঞ্জ নির্বাচনে কে বা কারা টাকা দিচ্ছে জানি না। আমার টাকা নাই। থাকলেও দিতাম না। নির্বাচনে টাকা দেওয়া নীতি-নৈতিকতার ব্যাপার। খুবই বিব্রতকর। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।’
শামীম ওসমানের অনুসারীরা কী কাজ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না কে কাজ করেছে বা করে নাই। আমার দেখারও সময় ছিল না। কেন্দ্রীয় নেতারা এখানে ছিলেন। তাঁরা দেখবেন। আমি আওয়ামী লীগের সব কর্মীর প্রতি আহ্বান জানাব, তারা যেন আমাকে ভোট দেয়। আমি দলমতের ঊর্ধ্বে কাজ করেছি। ওই সিটে বসে দল, ধর্ম দেখি নাই। দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। শুধু একজনের না, আমার দল আওয়ামী লীগের না, সবার কাছে ভোট চাই। এটা আমার অধিকার, আত্মিক সম্পর্কের দাবি। আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। আমার কোনো বাহিনী নাই। তাই আমার জনগণ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর আস্থা রয়েছে। সহিংসতা হলে তারা রোধ করবেন।’
জিতলে আগামী দিনের কার্যক্রম নিয়ে নাসিকের দুইবারের মেয়র বলেন, ‘আমি শীতলক্ষ্যার দিকে নজর দেব। কদমরসুল ব্রিজের ভিত্তিপ্রস্তর আগামী দুই-তিন মাসের মধ্যে উদ্বোধন হবে। ভোটারদের কাছে অনুরোধ, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় ভোট দেবেন নৌকায়। আমি বিগত সময় থেকে অন্যায়ের বিপক্ষে সোচ্চার ছিলাম। যেটাতে সোচ্চার হওয়ার প্রয়োজন সেখানে হব। বিরোধিতার জন্য বিরোধিতা করব না। এই শহরে খুন ও রাহাজানির বিরুদ্ধে কথা বলেছি। নিজেও কখনো এটা করি না।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলব, ‘আপনারা আইভীকে চেনেন ও জানেন। আমি আপনাদের মানুষ। নিজের দায়িত্ব ইমানের সঙ্গে পালন করেছি। টাকাপয়সার সঙ্গে লেনদেন ছিলাম না। কাজ করতে গেলে ভুলভ্রান্তি হতেই পারে। সেটাই হবে। তাই আপনাদের কাছে অনুরোধ, সুন্দর, নিরাপদ ও সবুজ শহর গড়ার জন্য আপনারা আমাকে ভোট দেবেন। বিপদে আপনাদের পাশে থাকব। সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি করব না। কারণ আমার কোনো বিশেষ বাহিনী নাই।’
আরও পড়ুন:

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেআবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
সাতক্ষীরাবাসী বলছে, শত বছরের প্রতীক্ষিত রেললাইন নির্মিত হলে একদিকে যেমন সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটন বিকশিত হবে, অন্যদিকে পণ্য পরিবহনে খরচ কমায় ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসন ও অন্যান্য সূত্রে জানা যায়, ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ ভাইসরয় সাতক্ষীরাকে রেললাইনে সংযুক্ত করে সুন্দরবন পর্যন্ত সম্প্রসারণের নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা বাস্তবায়িত হয়নি। ১৯৫৮ সালে সাতক্ষীরা-ভেটখালি সড়ক নির্মাণের সময় জমি অধিগ্রহণ করেও নির্মিত হয়নি রেললাইন।
দীর্ঘকাল পরে ২০১০ সালে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে এক জনসভায় তৎকালীন সরকারপ্রধান নাভারণ-সাতক্ষীরা-মুন্সিগঞ্জ রেললাইন নির্মাণের ঘোষণা দেন। ২০১৩ সালে সম্ভাব্যতা যাচাই করে মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দেয় অস্ট্রেলিয়ার ক্যানারেইল কোম্পানি লিমিটেড। সম্ভাব্যতা যাচাই করতে খরচ হয় ১১ কোটি টাকা। সম্ভাব্যতা ম্যাপে ৯৮ কিলোমিটার রেললাইনে ৮টি স্টেশনের প্রস্তাব রাখা হয়।
এরপর আবারও থেমে যায় রেললাইন নির্মাণের উদোগ। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রেললাইন স্থাপনের দাবিতে সাতক্ষীরায় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন শুরু হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নাভারণ-সাতক্ষীরা রেললাইন স্থাপনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে যশোর রেলওয়ের পক্ষ থেকে সরেজমিন পরিদর্শন করা হয়। এরপর গত মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত ৫টি স্টেশনযুক্ত ৪২ কিলোমিটার রেললাইনের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা প্রশাসনের একটি সূত্র।
সাতক্ষীরার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের শেষ জেলা সাতক্ষীরায় ২২ লাখের বেশি মানুষের বাস। এ জেলা থেকে দেশের অন্যান্য স্থানে যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম সড়কপথ। সুন্দরবন, চিংড়ি, আম ও ভোমরা বন্দরের কারণে অর্থনৈতিকভাবে ক্রমেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠায় সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ এখন সময়ের দাবি।
জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সাধারণ সম্পাদক ডা. আবুল কালাম বাবলা বলেন, নৌপথ ও আকাশপথে যাতায়াতের কোনো সুযোগ নেই জেলাবাসীর। রেললাইন নির্মিত হলে মৎস্য খাতের নতুন দিকের সূচনা হবে।
সাতক্ষীরা জেলা নাগরিক কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী নূর খান বাবুল বলেন, ‘সাতক্ষীরা থেকে আমরা যে পরিমাণ রাজস্ব সরকারকে দিই, সে ধরনের উন্নয়ন চোখে পড়ে না।’
ভোমরা সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আবু মুসা বলেন, কলকাতা থেকে ভোমরা স্থলবন্দরের দূরত্ব মাত্র ৬০ কিলোমিটার। তাই রেললাইন হলে ভোমরায় ব্যবসা-বাণিজ্যের চিত্র পাল্টে যাবে।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক আফরোজা আখতার বলেন, ‘জিআই পণ্য আম, চিংড়ি এবং ভোমরা স্থলবন্দরের পণ্য পরিবহনের জন্য সাতক্ষীরায় রেললাইন নির্মাণ জরুরি। আমি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেললাইন নির্মাণের জন্য যত প্রচেষ্টা রয়েছে, সেটা করব।’

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেআরিফ রহমান, ঝালকাঠি

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতু দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এতে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিক্ষার্থী, নারী, শিশু ও হাসপাতালে আসা রোগীরা।
উপজেলা প্রকৌশল কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স সুপ্তি কনস্ট্রাকশন এবং কবির ট্রেডার্স যৌথভাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রকল্পটির কার্যাদেশ পায়। সেতুটি নির্মাণে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ১৯ হাজার ৬৮০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। নির্মাণকাজ ২০২২ সালের মে মাসে শুরু হয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সেতুর নকশা পরিবর্তনের কারণে প্রকল্পের ব্যয় বাড়িয়ে ৬ কোটি ১৩ লাখ ২৫ হাজার ৪৪৭ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ জন্য মেয়াদ নির্ধারণ করা হয় চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত। কিন্তু প্রায় ছয় মাস আগে মেয়াদ শেষ হলেও নির্মাণকাজ খুঁটি পর্যন্তই আটকে আছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির মালিকেরা জেলহাজতে থাকা এবং তাঁদের সব ব্যাংক হিসাব স্থগিত রয়েছে। এ কারণে নির্মাণকাজ বন্ধ রয়েছে। ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে বারবার প্রতিশ্রুতি দিলেও কার্যক্রম শুরু করতে পারছে না।
ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষে প্রকল্প প্রকৌশলী মিলন ঘরামি ও ব্যবস্থাপক মো. বাহাদুর হাওলাদার জানিয়েছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ পুনরায় শুরু করা হবে এবং তিন থেকে চার মাসের মধ্যে শেষ করা হবে।
প্রকল্পের অগ্রিম কোনো বিল তোলা হয়েছে কি না জানতে চাইলে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মো. জিয়াউর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অগ্রিম কোনো বিল তোলেনি। তবে কাজের বেশ কয়েকটি মেমো তাঁদের কাছে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ধোপাবাড়ির খাল অনেক প্রশস্ত। এ জন্য স্থানীয়দের কাছে এটি নদী হিসেবে পরিচিত। খালটি বিষখালী নদীর সঙ্গে যুক্ত। খালের ওপর দীর্ঘদিন ধরে একটি কাঠের সেতু রয়েছে। এটি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। নড়বড়ে হওয়ায় পথচারীরাও অনেক ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন। সেতুটি শুধু আমুয়া ইউনিয়নের নয়, বরং পুরো কাঁঠালিয়া উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগমাধ্যম। সেতুটিকে কেন্দ্র করে রয়েছে ৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, উপজেলার একমাত্র আমুয়া হাসপাতাল, আমুয়া বন্দর ও তিনটি বড় বাজার। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ এই সেতু ব্যবহার করছে, যার মধ্যে শিক্ষার্থী, রোগী, ব্যবসায়ী, নারী ও শিশু রয়েছে। বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি বাড়লে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে সেতুর কাজ বন্ধ থাকায় স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। স্কুলশিক্ষার্থীরা আতঙ্ক নিয়ে কাঠের সেতু পার হয়। রোগী নিয়ে হাসপাতালে যেতে গিয়ে পরিবারগুলোর দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
আমুয়ার জনপ্রতিনিধি নকিরুল ইসলাম বলেন, ‘সেতুটি আমাদের এলাকার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বছরের পর বছর কাজ বন্ধ হয়ে আছে।’
শেখ ফজিলাতুন্নেছা ভোকেশনাল ইনস্টিটিউটের প্রধান শিক্ষক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রতিদিন ভাঙাচোরা কাঠের সেতু দিয়ে স্কুলে আসা-যাওয়া করে। যেকোনো সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে দ্রুত কাজ শেষ করা প্রয়োজন।’
কাঁঠালিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. গোলাম মোস্তফা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য নিয়মিত তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি না থাকায় কাজ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঝালকাঠির জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহীদুল ইসলাম সরকারের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তিনি সাড়া দেননি।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেনান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
হাবিবুর রহমান বাচ্চু মুশুল্লি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। তিনি তারের ঘাট বাজার পাথর ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক।
সরেজমিনে দেখা যায়, তারের ঘাট বাজারে নরসুন্দা নদীর ওপর সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি সেতু রয়েছে। সেতুর পশ্চিম পাশে নদীর উপরে নির্মাণ হচ্ছে পাকা ভবন। সাংবাদিকেরা ছবি তুলতে গেলে হাবিবুর রহমান বাচ্চুর ছেলে মো. ফয়সাল ছবি তোলার কারণ জানতে যান। এ সময় তিনি দাবি করেন, নদীর ওপর কোনো মার্কেট নির্মাণ করা হচ্ছে না। নিজেদের জায়গায় নির্মাণ করা হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ আমলে সাবেক এমপি তুহিনের প্রভাব খাটিয়ে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করেছেন হাবিবুর রহমান বাচ্চু। অবৈধভাবে পাথর ব্যবসার পাশাপাশি দখল করেছেন সরকারি জায়গা। ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকে চেয়ারম্যান হতে চেয়েছিলেন। তবে সরকার পতনের পর ভোল বদলে ফেলেন।
নদীর জায়গায় ভবন নির্মাণের বিষয়ে হাবিবুর রহমান বাচ্চু বলেন, ‘এই জমি আমার নিজস্ব সম্পত্তি। নদীর পাড়ের ভেতরে আমার আরও প্রায় ৫০ ফুট জমি আছে।’ তবে মুশুল্লি ইউনিয়নের সহকারী ভূমি কর্মকর্তা (তহশিলদার) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘নির্মাণাধীন স্থাপনাটি কোনো ব্যক্তিগত জমিতে নয়। এটি সড়ক ও জনপথ বিভাগের অধিগ্রহণ করা জমির মধ্যে পড়ে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশে নির্মাণকাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী বিজয় চন্দ্র বসাক বলেন, ‘সড়ক ও সেতুর দুই পাশে সওজের নিজস্ব জমি রয়েছে। সওজের জায়গায় স্থাপনা নির্মাণ করা হলে তদন্তের মাধ্যমে অপসারণ করা হবে।’
নান্দাইলের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতেমা জান্নাত বলেন, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আপাতত নির্মাণকাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা।
২ ঘণ্টা আগেহাসান মাতুব্বর, ফরিদপুর

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুরের চারটি আসনের সব কটিতে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন উভয় দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরা। তৎপর এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো দলগুলোও। আগামী নির্বাচনে জেলায় অন্তত ৩০ জন প্রার্থী হবেন। তাঁদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদসহ অন্তত ছয়জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন।
চার আসনের দুটিতেই বিএনপির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। তবে চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার ব্যাপারে আশাবাদী জেলা বিএনপির সদস্যসচিব এ কে এম কিবরিয়া স্বপন। তিনি বলেন, ‘অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ভোটে প্রভাব ফেলবে না। বিভেদ ভুলে
সবাই ধানের শীষের পক্ষেই কাজ করবে।’ জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মুহাম্মাদ বদরুদ্দীন বলেন, ‘চার আসনেই আমাদের ভালো অবস্থান রয়েছে। এখন ইসলামি সমমনা ৮ দলের বিষয়ে কেন্দ্র যে সিদ্ধান্ত দেবে, সেটি মেনে নেওয়া হবে।’
ফরিদপুর-১
আলফাডাঙ্গা, বোয়ালমারী ও মধুখালী উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-১ আসন। তিন উপজেলার মধ্যে বোয়ালমারী ও মধুখালীতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের ভোট প্রায় সমান। আলফাডাঙ্গায় প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগ সমর্থক। ৫ আগস্টের পর বিএনপির প্রভাব বাড়লেও দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দল চরমে। উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সঙ্গে কৃষক দলের সহসভাপতি খন্দকার নাসিরুল ইসলামের বিবাদে নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েন। গত ৭ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেয়। এর মধ্যে ৪ ডিসেম্বর সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে খন্দকার নাসিরুল ইসলামের নাম ঘোষণা করে বিএনপি। এ ঘোষণায় ক্ষুব্ধ শামসুদ্দিন মিয়া ঝুনুর সমর্থকেরা।
খন্দকার নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে বহুদিন পরে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের সুযোগ এসেছে। এটি কাজে লাগাতে দলে কোনো ভেদাভেদ না রেখে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার চেষ্টা করছি।’ শামসুদ্দীন মিয়া বলেন, ‘খন্দকার নাসিরকে মনোনয়ন দিয়ে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করা হয়েছে। তাঁর কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই, এলাকায় তাঁর কোনো ভোট নেই। যারা দলকে আজকের পর্যায়ে এনেছে, তাদের মূল্যায়ন করা হয়নি। সমর্থকদের নিয়ে বসে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’
জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মো. ইলিয়াস মোল্যা। নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। দলের জেলা আমির মুহাম্মদ বদরুদ্দীন বলেন, একজন হেভিওয়েট প্রার্থী হিসেবে এলাকায় ইলিয়াস মোল্যার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। ভোটারদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া মিলছে।
জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে মুফতি মো. জাকির হুসাইন কাসেমী, খেলাফত মজলিস থেকে মুফতি শারাফাত হুসাইন ও ইসলামী আন্দোলন থেকে ওয়ালিউর রহমান প্রার্থী হতে পারেন। এনসিপির মনোনয়ন পেতে পারেন হাসিবুর রহমান অপু। সাবেক ছাত্রদল নেতা আবুল বাসার খান ও সাংবাদিক আরিফুর রহমান দোলন স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
ফরিদপুর-২
সালথা ও নগরকান্দা উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-২ আসন। ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে এখান থেকে নির্বাচিত হন বিএনপির সাবেক মহাসচিব কে এম ওবায়দুর রহমান। এবার বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন তাঁর মেয়ে শামা ওবায়েদ। নির্বাচনী প্রচারে বাবার উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী নগরকান্দা উপজেলা আমির সোহরাব হোসেন। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন শাহ আকরাম আলী। ফরিদপুরে তিনি সর্বজনশ্রদ্ধেয় মুরব্বি হিসেবে পরিচিত। ইসলামি বক্তা হিসেবেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। শাহ আকরাম আলী বলেন, ‘আমাদের এলাকায় আলেম-ওলামাদের সমর্থক বেশি। সেই হিসেবে চেষ্টা করছি ইসলামি দলগুলোর একক প্রার্থী হতে। সভা-সমাবেশে যেভাবে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমি বিজয়ী হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী।’
ফরিদপুর-৩
ফরিদপুর সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন এবং একটি পৌরসভা নিয়ে ফরিদপুর-৩ আসন। ১৯৯১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত আসনটি ছিল বিএনপির সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের দখলে। এবার এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী তাঁর মেয়ে চৌধুরী নায়াব ইউসুফ। তবে তাঁকে মেনে নিতে রাজি নন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মোদাররেছ আলী ইছার অনুসারীরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফের প্রাথমিক মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে সমাবেশও করেছেন তাঁরা। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ বলেন, ‘আমার বাবা এখান থেকে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। এটা প্রমাণিত যে ফরিদপুর সদরের মানুষ বিএনপিকে ভালোবাসে। মানুষ গত ১৫ বছর ভোট দিতে পারেনি। তারা আবার বিএনপির শাসন ফেরাতে চায়।’
জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী আবদুত তাওয়াব নেতা-কর্মীদের নিয়ে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রচারে দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিমুক্ত একটি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ। স্বতন্ত্র হলেও তাঁকে শক্তিশালী প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। ২০২৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি প্রায় ৬০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন। তবে গত ১৯ অক্টোবর তাঁর গণসংযোগে বিএনপি সমর্থকদের হামলার পর তাঁকে আর মাঠে দেখা যায়নি।
খেলাফত মজলিস থেকে আমজাদ হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম থেকে কামরুজ্জামান ও ইসলামী আন্দোলন থেকে কে এম সারোয়ার মনোনয়ন পেতে পারেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারেন মোর্শেদুল ইসলাম আসিফ নামের এক তরুণ। হাতেনাতে চাঁদাবাজ ধরে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ফরিদপুর পৌরসভায় নিজ উদ্যোগে মশকনিধন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
ফরিদপুর-৪
ভাঙ্গা, চরভদ্রাসন ও সদরপুর উপজেলা নিয়ে ফরিদপুর-৪ আসন। এখানে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবলু। তাঁর পৈতৃক বাড়ি ফরিদপুর-২ আসনে হলেও দল তাঁকে এখানে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছে। তাঁর বিভিন্ন সমাবেশ ও উঠান বৈঠকে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের দেখা গেছে। জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী ভাঙ্গা উপজেলা আমির সরোয়ার হোসেন। সভা-সমাবেশের মাধ্যমে ভোটারদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছেন তিনি। খেলাফত মজলিসের প্রার্থী হতে পারেন মো. মিজানুর রহমান মোল্যা। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রচার চালাচ্ছেন স্থপতি মুজাহিদ বেগ।

আমি সব সময়ই নির্বাচনী সহিংসতার বিপক্ষে। উনি আমার চাচা। জন্মের পর থেকেই উনি মনে হয় আমাকে দেখছেন। এই বাড়িতে তিনি অনেকবার এসেছেন। আমার বাবার কর্মী ছিলেন। আমাদের বন্ধনটা অনেক আগের। যুদ্ধের ময়দানে হয়তো আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী
১৪ জানুয়ারি ২০২২
সাতক্ষীরার বহুল প্রতীক্ষিত রেললাইনের নির্মাণকাজ এগোচ্ছে কচ্ছপগতিতে। এক যুগ আগে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের পর গেল মাসে যশোরের নাভারণ থেকে সাতক্ষীরা পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণের ডিপিপি প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
৩৬ মিনিট আগে
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার আমুয়া ইউনিয়নে হাসপাতালসংলগ্ন ধোপাবাড়ির খালের ওপর সেতুর নির্মাণ প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হলেও কাজ শেষ হয়নি। দুই পাড়ে খুঁটি (পিলার) নির্মাণ করে বন্ধ রয়েছে কাজ। এতে পাশের ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতু ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
১ ঘণ্টা আগে
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুর রহমান বাচ্চুর বিরুদ্ধে নরসুন্দা নদীর পাড় দখল করে পাকা ভবন নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। মুশুল্লি ইউনিয়নের তারের ঘাট বাজারসংলগ্ন নদীর জায়গা দখল করে দোতলা মার্কেট নির্মাণ করছেন তিনি।
১ ঘণ্টা আগে