গজারিয়া (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
আহনাফ ও আদনীন দুই ভাই-বোন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন খালাতো, মামাতো ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনসহ ১০ জন। সবার বয়স ১৭ থেকে ২৫-এর মধ্যে। দুদিন আনন্দ-উল্লাসে কাটলেও তৃতীয় দিনে এসে সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল! রোয়াংছড়ির তারাছার বাধরা ঝরনার পাশে সাঙ্গু নদীতে গোসলে নেমে লাশ হলেন তাঁদের তিন জন। নদীতে ডুবতে থাকা খালাতো ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান অন্য তিন জন বলে জানা যায়।
প্রাণ হারানো তরুণ-তরুনীরা হলেন, গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. আহনাফ আকিব, তাঁর ছোট মেয়ে মারিয়াম আদনীন এবং তাঁর শ্যালিকার মেয়ে মারিয়া ইসলাম। আজ রোববার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত বুধবার ফতুল্লা থেকে তারা বান্দরবান যান। ওঠেন শহরের হোটেল দ্য প্যারাডাইসে। প্রথম দুদিন মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরেছেন। এরপর শুক্রবার রাতে তাঁদের ফতুল্লা ফেরার কথা। সকালে হোটেলে ব্যাগ, কাপড় গুছিয়ে বের হন নৌকা ভ্রমণে। শহরের ক্যাচিংঘাটা থেকে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে চলে যান বেতছড়ার বাধরা ঝরনায়। সেখানে ঝরনার মোহনায় নদীর স্বচ্ছ পানি দেখে সাঁতার না জানা সত্ত্বেও আট জন নেমে পড়েন। দুজন নদীর পাড়ে ছিলেন। প্রায় ৪০ মিনিট নদীতে গোসল করে সাত জন তিরে এলেও রয়ে যান খালাতো ভাই তানিশ। তানিশকে ডুবতে দেখে তাকে বাঁচাতে নেমে পড়েন সবাই। বহু কষ্টে তানিশকে টেনে তুললেও ডুবে যান মো. আহনাফ আকিব, তাঁর ছোট বোন মারিয়াম আদনীন ও তাঁদের খালাতো বোন মারিয়া ইসলাম। পরে মারিয়াকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিখোঁজ থেকে যান আহনাফ আকিব ও ছোট বোন মারিয়াম আদনীন। গতকাল শনিবার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা তাঁদেরও মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ দিকে সন্তানদের বিপদের কথা শুনে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে বান্দরবান ছুটে যান সবার বাবা-মা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদনীনের ও দুপুর দেড়টায় আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ দেখে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন বাবা জহিরুল ইসলাম ও মা সাইদা শিউলী। নদীর পাড়ে শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি।
ঘটনার বর্ণনায় এক ভাই তানিশ বলেন, ‘নদীর স্বচ্ছ পানি দেখে আট জন গোসল করতে নামি। প্রায় ৪০ মিনিট পানিতে গোসলের পর বুঝতে পারি, আমার পায়ের নিচে মাটি নেই। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকি। ওই মুহূর্তে আমাকে বাঁচাতে সবাই নদীতে নামেন। পরে টেনে তোলেন। ততক্ষণে অন্য ভাইবোনেরা নিখোঁজ হয়ে যান। হাঁটু পানি হঠাৎ এত গভীর হলো কীভাবে, বুঝতে পারিনি।’
আহনাফ ও আদনীনের বাবা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মেয়ে আদনীন সবার ছোট। আহনাফ সবার বড়। আদনীন নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আহনাফ ঢাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখন মেজো ছেলে ছাড়া তাদের আর কোনও সন্তান রইল না।’
আহনাফ ও আদনীন দুই ভাই-বোন। নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে বান্দরবানে বেড়াতে গিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন খালাতো, মামাতো ভাই-বোন ও আত্মীয়-স্বজনসহ ১০ জন। সবার বয়স ১৭ থেকে ২৫-এর মধ্যে। দুদিন আনন্দ-উল্লাসে কাটলেও তৃতীয় দিনে এসে সব আনন্দ মাটি হয়ে গেল! রোয়াংছড়ির তারাছার বাধরা ঝরনার পাশে সাঙ্গু নদীতে গোসলে নেমে লাশ হলেন তাঁদের তিন জন। নদীতে ডুবতে থাকা খালাতো ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে মারা যান অন্য তিন জন বলে জানা যায়।
প্রাণ হারানো তরুণ-তরুনীরা হলেন, গজারিয়া উপজেলা বালুয়াকান্দি এলাকার জহিরুল ইসলামের ছেলে মো. আহনাফ আকিব, তাঁর ছোট মেয়ে মারিয়াম আদনীন এবং তাঁর শ্যালিকার মেয়ে মারিয়া ইসলাম। আজ রোববার পারিবারিক কবরস্থানে তাঁদের দাফন করা হয়।
জানা যায়, গত বুধবার ফতুল্লা থেকে তারা বান্দরবান যান। ওঠেন শহরের হোটেল দ্য প্যারাডাইসে। প্রথম দুদিন মেঘলা, নীলাচল, নীলগিরিসহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরেছেন। এরপর শুক্রবার রাতে তাঁদের ফতুল্লা ফেরার কথা। সকালে হোটেলে ব্যাগ, কাপড় গুছিয়ে বের হন নৌকা ভ্রমণে। শহরের ক্যাচিংঘাটা থেকে শ্যালো ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে চলে যান বেতছড়ার বাধরা ঝরনায়। সেখানে ঝরনার মোহনায় নদীর স্বচ্ছ পানি দেখে সাঁতার না জানা সত্ত্বেও আট জন নেমে পড়েন। দুজন নদীর পাড়ে ছিলেন। প্রায় ৪০ মিনিট নদীতে গোসল করে সাত জন তিরে এলেও রয়ে যান খালাতো ভাই তানিশ। তানিশকে ডুবতে দেখে তাকে বাঁচাতে নেমে পড়েন সবাই। বহু কষ্টে তানিশকে টেনে তুললেও ডুবে যান মো. আহনাফ আকিব, তাঁর ছোট বোন মারিয়াম আদনীন ও তাঁদের খালাতো বোন মারিয়া ইসলাম। পরে মারিয়াকে উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে নিলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। নিখোঁজ থেকে যান আহনাফ আকিব ও ছোট বোন মারিয়াম আদনীন। গতকাল শনিবার পুলিশ, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মীরা তাঁদেরও মরদেহ উদ্ধার করেন।
এ দিকে সন্তানদের বিপদের কথা শুনে গত শুক্রবার নারায়ণগঞ্জ থেকে বান্দরবান ছুটে যান সবার বাবা-মা। শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আদনীনের ও দুপুর দেড়টায় আহনাফের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ছেলে-মেয়ের মৃতদেহ দেখে চিৎকার করে কেঁদে ওঠেন বাবা জহিরুল ইসলাম ও মা সাইদা শিউলী। নদীর পাড়ে শুরু হয় স্বজনদের আহাজারি।
ঘটনার বর্ণনায় এক ভাই তানিশ বলেন, ‘নদীর স্বচ্ছ পানি দেখে আট জন গোসল করতে নামি। প্রায় ৪০ মিনিট পানিতে গোসলের পর বুঝতে পারি, আমার পায়ের নিচে মাটি নেই। বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করতে থাকি। ওই মুহূর্তে আমাকে বাঁচাতে সবাই নদীতে নামেন। পরে টেনে তোলেন। ততক্ষণে অন্য ভাইবোনেরা নিখোঁজ হয়ে যান। হাঁটু পানি হঠাৎ এত গভীর হলো কীভাবে, বুঝতে পারিনি।’
আহনাফ ও আদনীনের বাবা জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘দুই ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে মেয়ে আদনীন সবার ছোট। আহনাফ সবার বড়। আদনীন নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। আহনাফ ঢাকা ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। এখন মেজো ছেলে ছাড়া তাদের আর কোনও সন্তান রইল না।’
কোটি টাকা লেনদেনে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় একটি পশুর হাট ইজারায় ব্যাপক অনিয়মের মধ্য দিয়ে সমঝোতার অভিযোগ উঠেছে পৌর প্রশাসন ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। সমঝোতার একটি অডিও কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা সৃষ্টি হয়।
২৫ মিনিট আগেরাজধানীসহ সারা দেশে যৌথ বাহিনীর ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’-এ ২১ দিনে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সাড়ে ১২ হাজার জনকে। কিন্তু কোনো শীর্ষ সন্ত্রাসী বা দাগি অপরাধী ধরা পড়েনি। আবার উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে ছুরি, রামদা, লাঠি, রডই বেশি; আগ্নেয়াস্ত্র মাত্র ৩৯টি। এর মধ্যে গত বছরের আগস্টে পুলিশের লুট হওয়া...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের টঙ্গীর শরীফ হোসেন (২০) বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়, মারা গেছেন টঙ্গীতে নির্মাণকাজের সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে। এ ঘটনায় তাঁর বাবা জয়নাল আবেদিন ওরফে জয়নাল বাবুর্চি অর্থ নিয়ে আপসও করেছিলেন। পরে এক ব্যক্তি সরকার থেকে অনেক টাকা পাওয়ার লোভ দেখালে...
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহের ত্রিশালে জনস্বাস্থ্য কার্যালয়ের নলকূপ স্থাপন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সরকারি কর্মকর্তারা সরাসরি অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার পাশাপাশি তাঁদের অনুগত স্থানীয় ঠিকাদারের প্রতিনিধি, আওয়ামী লীগ নেতা, নৈশপ্রহরীর স্বামী, নলকূপ বিক্রেতাসহ এলাকাভিত্তিক বেশ কয়েকজনের মাধ্যমে...
২ ঘণ্টা আগে